sponsor

sponsor

Slider

Categories

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Archive

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Author Details

Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.

Breaking

Fashion

News

Food

Sports

Food

Technology

Featured

Sponsor

ads

Videos

Text Widget

Sample Text

Contact Form

Name

Email *

Message *

Categories

Breaking News

Popular

Responsive Ads Here

Popular Posts

Recent Tube

Business

Technology

Life & style

Games

Sports

Fashion

যে কুকুরের দাম শুনলে চমকে উঠবেন!

কুকুরের মাথার দাম ৫৬ লাখ টাকা! খবরটি চমকে উঠার মতোই। কী এমন কুকুর যে, তার মাথার এত দাম? হবেই বা না কেন? কুকুরটি তো আর যেনতেন নয়। এটি পুলিশ কুকুর।

কুকুরটি কয়েক দিন আগে বেশ কয়েকটি অভিযানে পুলিশকে ব্যাপক সাহায্য করেছে। কুকুরটির সাহায্যের কারণেই প্রচুর পরিমাণ কোকেন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখন এই কুকুরটির পেছনেই পড়েছে কলম্বিয়ার কুখ্যাত অপরাধীরা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্নিফার ডগটির নাম সোমব্রা। যার অর্থ ছায়া। গত কয়েক বছর ধরে কলম্বিয়া পুলিশের সঙ্গে একের পর এক অভিযানে অংশ নিয়েছে সোমব্রা।

মূলত তার জন্যই প্রচুর পরিমাণে কোকেন উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ। পাশাপাশি সোমব্রার সাহায্যে ২৪৫ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পরেই মাদক পাচারকারীদের টার্গেটে পড়েছে এই কুকুরটি।

টেলিগ্রাফের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলম্বিয়ার কুখ্যাত গ্যাং উরাবেনোস কুকুরটির মাথার দাম রেখেছে ৭০ হাজার ডলার! যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫৬ লাখ টাকা।

এ ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। সোমব্রার জন্য নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কলম্বিয়া থেকে প্রত্যেক বছর প্রচুর পরিমাণে কোকেন পাচার হয়। এই জন্য কলম্বিয়ায় বেশকিছু মাদক পাচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে।

উরাবেনোস গ্যাংটি এর আগেও বেশকিছু নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করেছে। দলটির প্রধান দারিয়ো অ্যান্টোনিয়ো উসুগা কলম্বিয়ার মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল। ফলে কুকুরটির জন্য এই দলের হুমকি আসায় কড়া নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।

হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ব্লু হোয়েল ‘মমো’, সতর্কতা জারি

বার্তা আদান-প্রদানের জনপ্রিয় অ্যাপলিকেশন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মমো নামে একটি অনলাইন গেম নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকায়। নতুন এই গেমকে বিশ্লেষকরা ব্লু হোয়েলের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

গত ২৫ জুলাই আর্জেন্টিনার রাজধানীতে একটি মেয়েশিশুর আত্মহত্যার জন্য এই মমো গেমকে দায়ী করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এ খেলা মানুষকে মারাত্মক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। যদিও এর মধ্যেই এটি এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে।

মমো দেখতেই ভীতিকর। গায়ের চামড়া ফ্যাকাসে। চোখে অশুভ হাসি এবং বাইরের দিকে প্রসারিত লাল লাল চোখ। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তার চেহারা বিখ্যাত হয়ে উঠেছে সারা পৃথিবীতে।

হুট করে এটি আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিনে ভেসে উঠতে পারে এবং গেমে অংশ নিতে প্রলুব্ধ করতে পারে। কিন্তু সেটি করলেই আপনি বোকা বনে যাবেন।

এ গেম অন্যকে না পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার কর্তৃপক্ষ। কারণ তারা বলছেন- এই অনলাইন গেম কাউকে অনেক খারাপ অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

মেক্সিকোর একটি পুলিশ ইউনিট যারা অনলাইন অপরাধ নিয়ে কাজ করে, তারা বলছেন- এটি শুরু হয়েছে ফেসবুকে।

মেক্সিকোর পুলিশ বলছে, অনেক ব্যবহারকারী জানিয়েছে যে মমোতে বার্তা পাঠানোর পর সে সহিংস ছবি পাঠাবে। অনেকে হুমকিমূলক বার্তা পেয়েছেন। কখনও কখনও ব্যক্তিগত তথ্যও ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।

মমো ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী- আমেরিকা থেকে ফ্রান্স কিংবা আর্জেন্টিনা থেকে নেপাল। স্পেনে পুলিশও এ ধরনের গেম উপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে নাগরিকদের।

মেক্সিকোর মতো স্পেনও টুইটারে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে এবং লোকজনকে এ খেলায় অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

হ্যাশট্যাগ ইগনোর ননসেন্স দিয়ে চলছে প্রচার, যাতে বলা হচ্ছে- ডোন্ট অ্যাড মমো টু ইওর কন্টাক্টস।

মমোর এমন বিস্তার নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রেডিট বলছে- তাদের সবচেয়ে পড়া হয়েছে, এমন পোস্টগুলোর একটি হল হোয়াটসঅ্যাপ বালিকা মমো কি ও কে?

রেডিট বলছে, একটি ভিডিও পেয়েছি এটি সম্পর্কে এবং এটি ভীতিকর।

সবচেয়ে জনপ্রিয় জবাব ছিল, স্প্যানিশভাষী কোন দেশ থেকে একজন ইনস্টাগ্রাম থেকে একটি ছবি নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। লোকজন সেখান থেকে একটি কন্টাক্ট নাম্বার পায় ও গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে তুমি একে স্পর্শ করলে সে তোমাকে গ্রাফিক ছবি ও বার্তা দেবে। কেউ কেউ বলেন যে, আপনার সব ব্যক্তিগত তথ্যে তার প্রবেশাধিকারের সুযোগ আছে।

ইউটিউবার রেইনবট যার পাঁচ লাখেরও বেশি ফলোয়ার আছে তিনি এ বিষয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করে গত ১১ জুলাই।

এ ভিডিওটি দেখেছে পনেরো লাখেরও বেশি মানুষ কিন্তু তিনিও আসলে জানেন না কে এই মমোর স্রষ্ঠা। অর্থাৎ মমো কে তৈরি করেছেন সেটি তারও জানা নেই।

এখন যতটুকু জানা যাচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ গেমটি জাপানের কোডসংবলিত তিনটি ফোন নাম্বারের, কলম্বিয়ার কোডসংবলিত দুটি আর মেক্সিকোর কোডসংবলিত আরেকটি নাম্বারের সঙ্গে সংযুক্ত।

আর ছবিটি নেয়া হয়েছে টোকিওর একটি প্রদর্শনী থেকে।

মমোর ভীত চাহনির মুখ একটি পাখি মানবীর মূর্তিকে তুলে ধরে। ২০১৬ সালে টোকিওতে ভ্যানিলা গ্যালারিতে একটি প্রদর্শনীর অংশ ছিল এটি। দুই বছর আগে আরেকটি প্রদর্শনীতে মমো ছিল বিশেষ আকর্ষণ।

বহু মানুষ মমোর সঙ্গে পোজ দিয়ে ছবি তুলেছে এবং এমন বহু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত হয়েছে।

এখন মেক্সিকোর পুলিশ বলছে, কেউ ইনস্টাগ্রাম থেকে ওই অনুষ্ঠানের ছবি নিয়ে সেটিকেই কেটেকুটে এমন বানিয়েছে।

মেক্সিকোর পুলিশ বলছে, অপরিচিত কোনো নাম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ ভালো কিছু না। তবে এর বাইরেও অন্তত পাঁচটি কারণে মমোকে উপেক্ষা করা উচিত বলে মনে করে তারা।

• ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে

• সহিংসতা- এমনকি আত্মহত্যায় প্রলুব্ধ করতে পারে

• ব্যবহারকারী হয়রানির শিকার হতে পারেন

• ব্যবহারকারী চাঁদাবাজির শিকার হতে পারেন

• ব্যবহারকারী মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। এতে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা ও অনিদ্রা জেঁকে ধরতে পারে।

মমোকে ইতোমধ্যে অনেকে আলোচিত অনলাইন গেম ব্লু হোয়েলের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের আত্মহত্যায় প্রলুব্ধ করার দায়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় এসেছিল এটি।

যদিও মমো ছড়াচ্ছে শুধু হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে, কিন্তু এটি শিশুদের অনলাইন গেম মাইন ক্রাফটেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবহারকারীদের এ ধরনের বার্তা অনুসরণ করা উচিত নয় এবং কোনো অপরিচিত নাম্বারের সঙ্গে সংযোগ করা ঠিক হবে না।

উসকানিমূলক ,ভুয়া পোস্ট মুছে দেবে ফেসবুক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া, উসকানিমূলক, আপত্তিকর এবং বিতর্কিত পোস্ট দিলে- তা নিজে থেকেই সরিয়ে বা মুছে দেবে সংস্থাটির কর্তৃপক্ষ। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালির প্রধান কার্যালয়ে বুধবার এই নতুন নীতির বিষয়ে জানিয়েছেন ফেসবুকের এক মুখ্পাত্র।

সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করে সাফল্য মিলেছে বলে সংস্থাটির দাবি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সারা বিশ্বেই এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হবে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সংস্থার ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমরা একটি নীতি পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছি। এই পদ্ধতিতে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ছড়ানো বিদ্বেষ, হিংসা, গুজব এবং ভুল তথ্যে বাস্তব জগতে উত্তেজনা বা হিংসা ছড়াতে পারে এমন পোস্ট সরিয়ে দেয়া হবে। ফলে পোস্টের মালিক বা অন্য কেউ সেগুলো আর দেখতে পারবেন না।

কীভাবে সেগুলো চিহ্নিত করবে ফেসবুক? এ বিষয়ে ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব চিহ্নিত করতে স্থানীয় প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাসহ নানা স্তরের লোকজনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা হচ্ছে। সারা বিশ্বেই নেটওয়ার্ক আরও বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি নিজেদের নজরদারি পদ্ধতিও আরও জোরদার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই শ্রীলঙ্কায় সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ায়, বৌদ্ধদের হত্যার উদ্দেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন খাবারে বিষ মিশিয়ে বিক্রি করছে। এর জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই ফেসবুক শ্রীলঙ্কায় এই নীতি প্রয়োগ করে এবং সব উসকানিমূলক পোস্ট মুছে দিতে শুরু করেছে। এবার সেই পদ্ধতিই সারা বিশ্বে কার্যকর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

এত দিন পর্যন্ত সাধারণভাবে কোনো পোস্ট ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নিজে থেকে মুছে দিত না। কোনো পোস্ট নিয়ে কেউ রিপোর্ট করলে অর্থাৎ অভিযোগ জানালে তবেই সেগুলো সরিয়ে বা মুছে দিত। নতুন পদ্ধতিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নিজেই সরিয়ে বা মুছে দেবে এই ধরনের আপত্তিকর পোস্ট।

এর আগে বুধবারই নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, মিথ্যা খবর সরিয়ে নেবে না তারা। প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য ছিল, মনগড়া পোস্টগুলো সরিয়ে নেয়া বাক-স্বাধীনতার মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মিথ্যা খবর তাদের কমিউনিটে স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন করে না।

তারা জানায়, যেসব পোস্টকে ভুয়া খবর বলে মনে হবে, সেগুলোকে নিউজ-ফিডে নিচু অবস্থানে রাখা হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল রাশিয়া- এমন তথ্য আসার পর ভুয়া খবর বা মিথ্যা খবর ছড়ানোর ক্ষেত্রে ফেসবুকের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ শুরু হয়।

বুধবারই নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যে, তারা এ সমস্যা সমাধানে গুরুত্ব দিয়েছে।

রক্তদানের আগেই জেনে নিন জরুরি তথ্য

একজন মানুষ তার জীবদ্দশায় কতজন মানুষকে বাঁচানোর ক্ষমতা রাখেন? জেমস হ্যারিসন এমন এক ব্যক্তি যিনি একাই বাঁচিয়েছেন ২০ লাখ শিশুর প্রাণ। আসলেও তাই।

এতোগুলো শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছেন স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে নিজের রক্ত ও রক্তের উপাদান প্লাজমা দানের মাধ্যমে।

এজন্য গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নামও লিখিয়েছেন এই অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।

উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ৮১ বছর বয়সী হ্যারিসন গত ১১ই মে এক হাজার ১৭৩ বারের মতো রক্ত দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় রক্তদানের বয়সসীমা নির্ধারিত থাকায় এটাই ছিল তাঁর সবশেষ রক্তদান।

মাত্র ১৪ বছর বয়সে জরুরি অস্ত্রোপচারের কারণে ১৩ লিটার রক্তের প্রয়োজন হয়েছিলো হ্যারিসনের। সে যাত্রায় রক্ত পেয়ে প্রাণ বেঁচে যায় তাঁর।

এরপর বয়স ১৮ বছর হতেই নিয়মিত রক্তদান করতে শুরু করেন তিনি।
রক্ত দিয়ে একজন মানুষকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব। এজন্য একে বলা হয় পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও নি:স্বার্থ উপহার।
কারা রক্ত দিতে পারবেন?
চিকিৎসকদের মতে প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ নারী-পুরুষ চাইলেই নির্দিষ্ট সময় পরপর রক্ত দিতে পারেন।
 ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে শারীরিকভাবে সুস্থ নারী ও পুরুষ রক্ত দিতে সক্ষম।
এক্ষেত্রে পুরুষের ওজন থাকতে হবে অন্তত ৪৮ কেজি এবং নারীর অন্তত ৪৫ কেজি।
এছাড়া রক্তদানের সময় রক্তদাতার তাপমাত্রা ৯৯.৫ ফারেনহাইটের নিচে এবং নাড়ির গতি ৭০ থেকে ৯০ এর মধ্যে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকতে হবে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে রক্তের হিমোগ্লোবিন প্রতি ডেসিলিটারে ১৫ গ্রাম এবং নারীদের ক্ষেত্রে ১৪ গ্রাম হওয়া দরকার।
রক্তদাতাকে অবশ্যই ভাইরাসজনিত রোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ এবং চর্মরোগ মুক্ত থাকতে হবে।
সাধারণত ৯০ দিন পর পর, অর্থাৎ তিন মাস পর পর রক্ত দেওয়া যাবে।
সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের শরীরে ৪ থেকে ৬ লিটার পরিমাণ রক্ত থাকে। প্রতিবার ৪৫০ মিলিলিটার রক্ত দেয়া হয়।
এ কারণে রক্ত দিলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই নেই।
রক্ত দেয়ার পর কী হয়?
রক্ত দেয়ার পর কিছুটা মাথা ঘোরাতে পারে। এটা স্বাভাবিক।
তবে এ সময় হাঁটাহাঁটি না করে অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টা বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ড. সিরাজুল ইসলাম।
রক্তদাতা যদি ঘামতে থাকেন এবং অস্থিরতা হয়, তবে তাকে স্যালাইন খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
রক্ত দেয়ার পর লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে অন্তত এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে বলে উল্লেখ করেন ড. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রক্ত দেয়ার সময় শরীর থেকে রক্তের পাশাপাশি ২৫০-৩০০ মিলিগ্রাম আয়রন কমে যায় তাই তার ক্ষয়পূরণে আয়রন ও প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রক্ত দেয়ার উপকারিতা:
দেশের বিভিন্ন ব্লাডব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় নিয়মিত রক্ত দেয়ার কিছু উপকার রয়েছে। সেগুলো হলো:
১. এতে একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।
২. নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
৩. বছরে তিনবার রক্ত দিলে শরীরে নতুন লোহিত কণিকা তৈরির হার বেড়ে যায়। এতে অস্থিমজ্জা সক্রিয় থাকে। দ্রুত রক্ত স্বল্পতা পূরণ হয়।
৪. রক্তে কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে যায়, এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
৫. রক্ত দিলে যে ক্যালোরি খরচ হয়, তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৬. শরীরে হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি বা এইডসের মতো বড় কোন রোগ আছে কি না, সেটি বিনা খরচে জানা যায়।
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৮. রক্তদাতার যদি নিজের কখনো রক্তের প্রয়োজন হয় তাহলে ব্লাড ব্যাংকগুলো তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে রক্তের ব্যবস্থা করে দেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বের ৯ কোটি ২০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে থাকে। তবে উন্নত বিশ্বে স্বেচ্ছা রক্তদানের হার প্রতি এক হাজারে ৪০ জন হলেও উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রতি এক হাজারে ৪ জনেরও কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য ২০২০ সালের মধ্যে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে চাহিদার শতভাগ রক্তের সরবরাহ নিশ্চিত করা।
এই লক্ষ্যে প্রতিবছরের ১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস পালন হয়ে আসছে। মূলত যারা মানুষের জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করেন তাদের দানের মূল্যায়ন, স্বীকৃতি দিতে সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে রক্তদানে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে দিবসটি পালন করা হয়।

যখন জিতি তখন আমি জার্মান, আর যখন হারি তখন অভিবাসী, মুসলমান।

যখন জিতি তখন আমি জার্মান, আর যখন হারি তখন অভিবাসী, মুসলমান।মেসুত ওজিল

বর্ণবাদ ও অসম্মানের শিকার হওয়ায় কয়েক দিন আগে জার্মান জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন মেসুত ওজিল। গেল রোববার তাকে সমর্থন জানিয়ে দেশটির রাজধানী বার্লিনে বিক্ষোভ করেছেন শত শত ভক্ত।

আমিই ওজিল- এমন লেখা টি-শার্ট গায়ে দিয়ে বার্লিনের রাস্তায় প্রতিবাদে ফেটে পড়েন তারা। ওই সময় অনেকেই সেখানে উড়ান তুরস্কের পতাকা।

বিশ্বকাপের আগে তুরস্ক প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওজিল ও গুন্দোগান। পরে তার একটি ভিডিও ক্লিপ নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন ওজিল। তাতে দেখা যায়, এরদোগানকে আর্সেনালের জার্সি উপহার দিচ্ছেন তিনি।

বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি জার্মানরা। ডানপন্থী রাজনীতির কারণে এরদোগানের ভাবমূর্তি নিয়ে পশ্চিমাবিশ্বে প্রশ্ন আছে। এমন একজনের সঙ্গে ছবি তোলায় জার্মানদের মূল্যবোধ নষ্টের অভিযোগ তোলা হয় ওজিলের বিরুদ্ধে। তবু বিশ্বকাপের জার্মানি দলে সুযোগ পান তিনি।

বিপত্তিটা বাধে প্রথম রাউন্ড থেকে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা বিদায় নিলে। ব্যর্থতার দায় এসে পড়ে ওজিলের ঘাড়ে। ফলে উগ্র সমর্থকদের কাছ থেকে ঘৃণিত বার্তা হতে শুরু করে মৃত্যু হুমকিও পাচ্ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন ২৯ বছরের মিডফিল্ডার।

আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণার দিন বিশাল এক বিবৃতি দেন ওজিল। তাতে লেখেন- যখন জিতি তখন আমি জার্মান, আর যখন হারি তখন অভিবাসী, মুসলমান।

মূলত বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদেই অবসর নেন ওজিল। তবে তা শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন (ডিএফবি)।

ইনট্রাখট ফ্র্যাঙ্কফুর্টের বর্তমান স্পোর্টিং ডিরেক্টর ও সাবেক জার্মান স্ট্রাইকার ফ্রেডি বোবিচ ওজিলের অবসর নেয়াকে কাপুরুষতা হিসেবেই আখ্যায়িত করেছেন।

ওজিল তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক। জার্মানির গেলসেনকিরচেনে তার জন্ম। ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি।

স্বদেশে অবহেলিত হলেও পিতৃভূমি তুরস্ক, আর্সেনাল সতীর্থ ও কোচ উনাই এমরির আকুণ্ঠ সমর্থন পাচ্ছেন ওজিল। একদিকে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছেন তুর্কিরা, অন্যদিকে পরিবারের সদস্যের মতো তাকে আগলে রাখছেন গানাররা। এমনকি শোনা যাচ্ছে, তার হাতে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড তুলে দিতে যাচ্ছেন তারা।

চীন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভূ-পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে

চীন একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভূ-পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। দেশের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভূ-পর্যবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় মঙ্গলবার জাওফিন-১১ নামের অপটিক্যাল দূর নিয়ন্ত্রিত বোধ সম্পন্ন এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। খবর বার্তা সংস্থা সিনহুয়া’র।

শানজি প্রদেশের তাইওয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে জাওফিন-১১ স্যাটেলাইটটি বেইজিং সময় সকাল ১১ টায় দূরপাল্লার ৪বি রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপিত হয়। দূরপাল্লার উৎক্ষেপণ রকেটের মাধ্যমে এটি উৎক্ষেপণ করা হয় যা ছিল এর ২ শ’ ৮২ তম উড্ডয়ন অভিযান।

স্যাটেলাইটটি ভূমি জরিপ, নগর পরিকল্পনা, সড়ক যোগাযোগের নকশা প্রণয়ন, কৃষি এবং দুর্যোগে ত্রাণকার্যে ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও এর তথ্য বলয় ও সড়ক উদ্যোগে ব্যবহার করা হবে।

প্রকল্পটি ২০১০ সালে শুরুর পর থেকে চীন ক্রমবর্ধমান হারে এই গ্রহের পরিষ্কার ছবি পাচ্ছে। 

পুলিশ কর্তৃক নৌকা মার্কায় সিল!!!! রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অল্প কিছু লোক ভোট দিতে পারলেও এই তিন সিটি নির্বাচনে সেটিও সম্ভব হয়নি।
তিন সিটির নির্বাচনে আরেকটি সহিংস প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

বিকেল চারটায় ভোট শেষ হওয়ায় পাঁচ মিনিট আগে সংবাদ সম্মেলনে আসেন রিজভী। এর আগে তিনি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম দফায় সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। তখনো নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন রিজভীবিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনের আগে আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যে কথাগুলো বলেছিলাম, একটি অবৈধ সরকার ও তার আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন থাকলে নির্বাচন, ভোট ও মানুষের ভোটাধিকার যে নির্বাসনেই থাকবে, নির্বাসন থেকে যে প্রত্যাবর্তন করবে না, সেটা অক্ষরে অক্ষরে আপনারা দেখেছেন।

দিনভর সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার কোনো সংবাদ পাননি জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ ভোটের লেবাসে নির্বাচনের লেবাসে কীভাবে তাদের নাৎসিবাদকে প্রতিষ্ঠিত করছে; জনগণ তা আজ দেখেছে।

রিজভী বলেন, ‘অন্যান্য সময় পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় সরকারি দলের ক্যাডাররা তাণ্ডব করত। আর এবার পুলিশ নিজেই দায়িত্ব নিয়েছে। ওদেরকে আর সেই দায়িত্বে রাখেনি। নিজেরাই দেখাচ্ছে যে কতখানি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে পারি। তার নজির আমরাই সৃষ্টি করছি।’

বিএনপির মুখপাত্র রিজভী বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা ছড়িয়ে নাটকীয় ভোট-সন্ত্রাসের পরিস্থিতি দেশবাসী প্রত্যক্ষ করল। রাজ বেতনভোগী কর্মচারী নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল যে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নয়, তারা অবৈধ সরকারের প্রতিনিধি। সুতরাং অবৈধ সরকারের হুকুম তামিল করা ছাড়া তারা অন্য কোনো কাজের জন্য নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালন করতে আসেনি। তাই সরকারের ইঙ্গিত, আভাস, ইচ্ছায় নির্বাচন কমিশন আজ তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শ্বাসনিরুদ্ধ দুর্বৃত্তপনার নির্বাচনী প্রহসনের সহযোগী হলো। নির্বাচন কমিশন আইনের নয়, স্বাধীন নয়, নির্বাচন কমিশন রাজভৃত্য।


রিজভী বলেন, ‘আজ একজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেছেন, উৎসবের আমেজে নির্বাচন হচ্ছে। তিনি ঠিকই বলেছেন, দস্যুদল লুট করার পর উল্লাসে মেতে ওঠে। আওয়ামী লীগ লুটের মালের মতো একচেটিয়া জাল ভোট ও ভোটসন্ত্রাসের কৃতিত্বে আত্মপ্রসাদ লাভ করেছে, আর সে জন্যই তারা উৎসবে মেতে উঠেছে।’

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিয়েছে পুলিশ। তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই একচেটিয়া পুলিশ কর্তৃক নৌকা মার্কায় সিল মারার ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান হয়েছে। এটি আওয়ামী নাৎসিবাদের এক চূড়ান্ত রূপের আত্মপ্রকাশ।’

এ সময় তিন সিটির বিভিন্ন কেন্দ্র বিএনপির কর্মীদের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ও এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।