sponsor

sponsor

Slider

Categories

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Blog Archive

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Archive

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Author Details

Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.

Breaking

Fashion

News

Food

Sports

Food

Technology

Featured

Sponsor

ads

Videos

Text Widget

Sample Text

Contact Form

Name

Email *

Message *

Categories

Breaking News

Popular

Responsive Ads Here

Popular Posts

Recent Tube

Business

Technology

Life & style

Games

Sports

Fashion

যে কুকুরের দাম শুনলে চমকে উঠবেন!

কুকুরের মাথার দাম ৫৬ লাখ টাকা! খবরটি চমকে উঠার মতোই। কী এমন কুকুর যে, তার মাথার এত দাম? হবেই বা না কেন? কুকুরটি তো আর যেনতেন নয়। এটি পুলিশ কুকুর।

কুকুরটি কয়েক দিন আগে বেশ কয়েকটি অভিযানে পুলিশকে ব্যাপক সাহায্য করেছে। কুকুরটির সাহায্যের কারণেই প্রচুর পরিমাণ কোকেন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখন এই কুকুরটির পেছনেই পড়েছে কলম্বিয়ার কুখ্যাত অপরাধীরা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্নিফার ডগটির নাম সোমব্রা। যার অর্থ ছায়া। গত কয়েক বছর ধরে কলম্বিয়া পুলিশের সঙ্গে একের পর এক অভিযানে অংশ নিয়েছে সোমব্রা।

মূলত তার জন্যই প্রচুর পরিমাণে কোকেন উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ। পাশাপাশি সোমব্রার সাহায্যে ২৪৫ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পরেই মাদক পাচারকারীদের টার্গেটে পড়েছে এই কুকুরটি।

টেলিগ্রাফের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলম্বিয়ার কুখ্যাত গ্যাং উরাবেনোস কুকুরটির মাথার দাম রেখেছে ৭০ হাজার ডলার! যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫৬ লাখ টাকা।

এ ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। সোমব্রার জন্য নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কলম্বিয়া থেকে প্রত্যেক বছর প্রচুর পরিমাণে কোকেন পাচার হয়। এই জন্য কলম্বিয়ায় বেশকিছু মাদক পাচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে।

উরাবেনোস গ্যাংটি এর আগেও বেশকিছু নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করেছে। দলটির প্রধান দারিয়ো অ্যান্টোনিয়ো উসুগা কলম্বিয়ার মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল। ফলে কুকুরটির জন্য এই দলের হুমকি আসায় কড়া নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।

হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ব্লু হোয়েল ‘মমো’, সতর্কতা জারি

বার্তা আদান-প্রদানের জনপ্রিয় অ্যাপলিকেশন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মমো নামে একটি অনলাইন গেম নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকায়। নতুন এই গেমকে বিশ্লেষকরা ব্লু হোয়েলের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

গত ২৫ জুলাই আর্জেন্টিনার রাজধানীতে একটি মেয়েশিশুর আত্মহত্যার জন্য এই মমো গেমকে দায়ী করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এ খেলা মানুষকে মারাত্মক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। যদিও এর মধ্যেই এটি এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে।

মমো দেখতেই ভীতিকর। গায়ের চামড়া ফ্যাকাসে। চোখে অশুভ হাসি এবং বাইরের দিকে প্রসারিত লাল লাল চোখ। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তার চেহারা বিখ্যাত হয়ে উঠেছে সারা পৃথিবীতে।

হুট করে এটি আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিনে ভেসে উঠতে পারে এবং গেমে অংশ নিতে প্রলুব্ধ করতে পারে। কিন্তু সেটি করলেই আপনি বোকা বনে যাবেন।

এ গেম অন্যকে না পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার কর্তৃপক্ষ। কারণ তারা বলছেন- এই অনলাইন গেম কাউকে অনেক খারাপ অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

মেক্সিকোর একটি পুলিশ ইউনিট যারা অনলাইন অপরাধ নিয়ে কাজ করে, তারা বলছেন- এটি শুরু হয়েছে ফেসবুকে।

মেক্সিকোর পুলিশ বলছে, অনেক ব্যবহারকারী জানিয়েছে যে মমোতে বার্তা পাঠানোর পর সে সহিংস ছবি পাঠাবে। অনেকে হুমকিমূলক বার্তা পেয়েছেন। কখনও কখনও ব্যক্তিগত তথ্যও ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।

মমো ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী- আমেরিকা থেকে ফ্রান্স কিংবা আর্জেন্টিনা থেকে নেপাল। স্পেনে পুলিশও এ ধরনের গেম উপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে নাগরিকদের।

মেক্সিকোর মতো স্পেনও টুইটারে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে এবং লোকজনকে এ খেলায় অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

হ্যাশট্যাগ ইগনোর ননসেন্স দিয়ে চলছে প্রচার, যাতে বলা হচ্ছে- ডোন্ট অ্যাড মমো টু ইওর কন্টাক্টস।

মমোর এমন বিস্তার নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রেডিট বলছে- তাদের সবচেয়ে পড়া হয়েছে, এমন পোস্টগুলোর একটি হল হোয়াটসঅ্যাপ বালিকা মমো কি ও কে?

রেডিট বলছে, একটি ভিডিও পেয়েছি এটি সম্পর্কে এবং এটি ভীতিকর।

সবচেয়ে জনপ্রিয় জবাব ছিল, স্প্যানিশভাষী কোন দেশ থেকে একজন ইনস্টাগ্রাম থেকে একটি ছবি নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। লোকজন সেখান থেকে একটি কন্টাক্ট নাম্বার পায় ও গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে তুমি একে স্পর্শ করলে সে তোমাকে গ্রাফিক ছবি ও বার্তা দেবে। কেউ কেউ বলেন যে, আপনার সব ব্যক্তিগত তথ্যে তার প্রবেশাধিকারের সুযোগ আছে।

ইউটিউবার রেইনবট যার পাঁচ লাখেরও বেশি ফলোয়ার আছে তিনি এ বিষয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করে গত ১১ জুলাই।

এ ভিডিওটি দেখেছে পনেরো লাখেরও বেশি মানুষ কিন্তু তিনিও আসলে জানেন না কে এই মমোর স্রষ্ঠা। অর্থাৎ মমো কে তৈরি করেছেন সেটি তারও জানা নেই।

এখন যতটুকু জানা যাচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ গেমটি জাপানের কোডসংবলিত তিনটি ফোন নাম্বারের, কলম্বিয়ার কোডসংবলিত দুটি আর মেক্সিকোর কোডসংবলিত আরেকটি নাম্বারের সঙ্গে সংযুক্ত।

আর ছবিটি নেয়া হয়েছে টোকিওর একটি প্রদর্শনী থেকে।

মমোর ভীত চাহনির মুখ একটি পাখি মানবীর মূর্তিকে তুলে ধরে। ২০১৬ সালে টোকিওতে ভ্যানিলা গ্যালারিতে একটি প্রদর্শনীর অংশ ছিল এটি। দুই বছর আগে আরেকটি প্রদর্শনীতে মমো ছিল বিশেষ আকর্ষণ।

বহু মানুষ মমোর সঙ্গে পোজ দিয়ে ছবি তুলেছে এবং এমন বহু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত হয়েছে।

এখন মেক্সিকোর পুলিশ বলছে, কেউ ইনস্টাগ্রাম থেকে ওই অনুষ্ঠানের ছবি নিয়ে সেটিকেই কেটেকুটে এমন বানিয়েছে।

মেক্সিকোর পুলিশ বলছে, অপরিচিত কোনো নাম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ ভালো কিছু না। তবে এর বাইরেও অন্তত পাঁচটি কারণে মমোকে উপেক্ষা করা উচিত বলে মনে করে তারা।

• ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে

• সহিংসতা- এমনকি আত্মহত্যায় প্রলুব্ধ করতে পারে

• ব্যবহারকারী হয়রানির শিকার হতে পারেন

• ব্যবহারকারী চাঁদাবাজির শিকার হতে পারেন

• ব্যবহারকারী মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। এতে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা ও অনিদ্রা জেঁকে ধরতে পারে।

মমোকে ইতোমধ্যে অনেকে আলোচিত অনলাইন গেম ব্লু হোয়েলের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের আত্মহত্যায় প্রলুব্ধ করার দায়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় এসেছিল এটি।

যদিও মমো ছড়াচ্ছে শুধু হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে, কিন্তু এটি শিশুদের অনলাইন গেম মাইন ক্রাফটেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবহারকারীদের এ ধরনের বার্তা অনুসরণ করা উচিত নয় এবং কোনো অপরিচিত নাম্বারের সঙ্গে সংযোগ করা ঠিক হবে না।

উসকানিমূলক ,ভুয়া পোস্ট মুছে দেবে ফেসবুক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া, উসকানিমূলক, আপত্তিকর এবং বিতর্কিত পোস্ট দিলে- তা নিজে থেকেই সরিয়ে বা মুছে দেবে সংস্থাটির কর্তৃপক্ষ। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালির প্রধান কার্যালয়ে বুধবার এই নতুন নীতির বিষয়ে জানিয়েছেন ফেসবুকের এক মুখ্পাত্র।

সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করে সাফল্য মিলেছে বলে সংস্থাটির দাবি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সারা বিশ্বেই এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হবে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সংস্থার ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমরা একটি নীতি পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছি। এই পদ্ধতিতে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ছড়ানো বিদ্বেষ, হিংসা, গুজব এবং ভুল তথ্যে বাস্তব জগতে উত্তেজনা বা হিংসা ছড়াতে পারে এমন পোস্ট সরিয়ে দেয়া হবে। ফলে পোস্টের মালিক বা অন্য কেউ সেগুলো আর দেখতে পারবেন না।

কীভাবে সেগুলো চিহ্নিত করবে ফেসবুক? এ বিষয়ে ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব চিহ্নিত করতে স্থানীয় প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাসহ নানা স্তরের লোকজনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা হচ্ছে। সারা বিশ্বেই নেটওয়ার্ক আরও বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি নিজেদের নজরদারি পদ্ধতিও আরও জোরদার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই শ্রীলঙ্কায় সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ায়, বৌদ্ধদের হত্যার উদ্দেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন খাবারে বিষ মিশিয়ে বিক্রি করছে। এর জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই ফেসবুক শ্রীলঙ্কায় এই নীতি প্রয়োগ করে এবং সব উসকানিমূলক পোস্ট মুছে দিতে শুরু করেছে। এবার সেই পদ্ধতিই সারা বিশ্বে কার্যকর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

এত দিন পর্যন্ত সাধারণভাবে কোনো পোস্ট ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নিজে থেকে মুছে দিত না। কোনো পোস্ট নিয়ে কেউ রিপোর্ট করলে অর্থাৎ অভিযোগ জানালে তবেই সেগুলো সরিয়ে বা মুছে দিত। নতুন পদ্ধতিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নিজেই সরিয়ে বা মুছে দেবে এই ধরনের আপত্তিকর পোস্ট।

এর আগে বুধবারই নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, মিথ্যা খবর সরিয়ে নেবে না তারা। প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য ছিল, মনগড়া পোস্টগুলো সরিয়ে নেয়া বাক-স্বাধীনতার মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মিথ্যা খবর তাদের কমিউনিটে স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন করে না।

তারা জানায়, যেসব পোস্টকে ভুয়া খবর বলে মনে হবে, সেগুলোকে নিউজ-ফিডে নিচু অবস্থানে রাখা হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল রাশিয়া- এমন তথ্য আসার পর ভুয়া খবর বা মিথ্যা খবর ছড়ানোর ক্ষেত্রে ফেসবুকের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ শুরু হয়।

বুধবারই নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যে, তারা এ সমস্যা সমাধানে গুরুত্ব দিয়েছে।

রক্তদানের আগেই জেনে নিন জরুরি তথ্য

একজন মানুষ তার জীবদ্দশায় কতজন মানুষকে বাঁচানোর ক্ষমতা রাখেন? জেমস হ্যারিসন এমন এক ব্যক্তি যিনি একাই বাঁচিয়েছেন ২০ লাখ শিশুর প্রাণ। আসলেও তাই।

এতোগুলো শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছেন স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে নিজের রক্ত ও রক্তের উপাদান প্লাজমা দানের মাধ্যমে।

এজন্য গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নামও লিখিয়েছেন এই অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।

উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ৮১ বছর বয়সী হ্যারিসন গত ১১ই মে এক হাজার ১৭৩ বারের মতো রক্ত দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় রক্তদানের বয়সসীমা নির্ধারিত থাকায় এটাই ছিল তাঁর সবশেষ রক্তদান।

মাত্র ১৪ বছর বয়সে জরুরি অস্ত্রোপচারের কারণে ১৩ লিটার রক্তের প্রয়োজন হয়েছিলো হ্যারিসনের। সে যাত্রায় রক্ত পেয়ে প্রাণ বেঁচে যায় তাঁর।

এরপর বয়স ১৮ বছর হতেই নিয়মিত রক্তদান করতে শুরু করেন তিনি।
রক্ত দিয়ে একজন মানুষকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব। এজন্য একে বলা হয় পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও নি:স্বার্থ উপহার।
কারা রক্ত দিতে পারবেন?
চিকিৎসকদের মতে প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ নারী-পুরুষ চাইলেই নির্দিষ্ট সময় পরপর রক্ত দিতে পারেন।
 ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে শারীরিকভাবে সুস্থ নারী ও পুরুষ রক্ত দিতে সক্ষম।
এক্ষেত্রে পুরুষের ওজন থাকতে হবে অন্তত ৪৮ কেজি এবং নারীর অন্তত ৪৫ কেজি।
এছাড়া রক্তদানের সময় রক্তদাতার তাপমাত্রা ৯৯.৫ ফারেনহাইটের নিচে এবং নাড়ির গতি ৭০ থেকে ৯০ এর মধ্যে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকতে হবে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে রক্তের হিমোগ্লোবিন প্রতি ডেসিলিটারে ১৫ গ্রাম এবং নারীদের ক্ষেত্রে ১৪ গ্রাম হওয়া দরকার।
রক্তদাতাকে অবশ্যই ভাইরাসজনিত রোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ এবং চর্মরোগ মুক্ত থাকতে হবে।
সাধারণত ৯০ দিন পর পর, অর্থাৎ তিন মাস পর পর রক্ত দেওয়া যাবে।
সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের শরীরে ৪ থেকে ৬ লিটার পরিমাণ রক্ত থাকে। প্রতিবার ৪৫০ মিলিলিটার রক্ত দেয়া হয়।
এ কারণে রক্ত দিলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই নেই।
রক্ত দেয়ার পর কী হয়?
রক্ত দেয়ার পর কিছুটা মাথা ঘোরাতে পারে। এটা স্বাভাবিক।
তবে এ সময় হাঁটাহাঁটি না করে অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টা বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ড. সিরাজুল ইসলাম।
রক্তদাতা যদি ঘামতে থাকেন এবং অস্থিরতা হয়, তবে তাকে স্যালাইন খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
রক্ত দেয়ার পর লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে অন্তত এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে বলে উল্লেখ করেন ড. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রক্ত দেয়ার সময় শরীর থেকে রক্তের পাশাপাশি ২৫০-৩০০ মিলিগ্রাম আয়রন কমে যায় তাই তার ক্ষয়পূরণে আয়রন ও প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রক্ত দেয়ার উপকারিতা:
দেশের বিভিন্ন ব্লাডব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় নিয়মিত রক্ত দেয়ার কিছু উপকার রয়েছে। সেগুলো হলো:
১. এতে একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।
২. নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
৩. বছরে তিনবার রক্ত দিলে শরীরে নতুন লোহিত কণিকা তৈরির হার বেড়ে যায়। এতে অস্থিমজ্জা সক্রিয় থাকে। দ্রুত রক্ত স্বল্পতা পূরণ হয়।
৪. রক্তে কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে যায়, এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
৫. রক্ত দিলে যে ক্যালোরি খরচ হয়, তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৬. শরীরে হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি বা এইডসের মতো বড় কোন রোগ আছে কি না, সেটি বিনা খরচে জানা যায়।
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৮. রক্তদাতার যদি নিজের কখনো রক্তের প্রয়োজন হয় তাহলে ব্লাড ব্যাংকগুলো তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে রক্তের ব্যবস্থা করে দেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বের ৯ কোটি ২০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে থাকে। তবে উন্নত বিশ্বে স্বেচ্ছা রক্তদানের হার প্রতি এক হাজারে ৪০ জন হলেও উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রতি এক হাজারে ৪ জনেরও কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য ২০২০ সালের মধ্যে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে চাহিদার শতভাগ রক্তের সরবরাহ নিশ্চিত করা।
এই লক্ষ্যে প্রতিবছরের ১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস পালন হয়ে আসছে। মূলত যারা মানুষের জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করেন তাদের দানের মূল্যায়ন, স্বীকৃতি দিতে সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে রক্তদানে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে দিবসটি পালন করা হয়।

যখন জিতি তখন আমি জার্মান, আর যখন হারি তখন অভিবাসী, মুসলমান।

যখন জিতি তখন আমি জার্মান, আর যখন হারি তখন অভিবাসী, মুসলমান।মেসুত ওজিল

বর্ণবাদ ও অসম্মানের শিকার হওয়ায় কয়েক দিন আগে জার্মান জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন মেসুত ওজিল। গেল রোববার তাকে সমর্থন জানিয়ে দেশটির রাজধানী বার্লিনে বিক্ষোভ করেছেন শত শত ভক্ত।

আমিই ওজিল- এমন লেখা টি-শার্ট গায়ে দিয়ে বার্লিনের রাস্তায় প্রতিবাদে ফেটে পড়েন তারা। ওই সময় অনেকেই সেখানে উড়ান তুরস্কের পতাকা।

বিশ্বকাপের আগে তুরস্ক প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওজিল ও গুন্দোগান। পরে তার একটি ভিডিও ক্লিপ নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন ওজিল। তাতে দেখা যায়, এরদোগানকে আর্সেনালের জার্সি উপহার দিচ্ছেন তিনি।

বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি জার্মানরা। ডানপন্থী রাজনীতির কারণে এরদোগানের ভাবমূর্তি নিয়ে পশ্চিমাবিশ্বে প্রশ্ন আছে। এমন একজনের সঙ্গে ছবি তোলায় জার্মানদের মূল্যবোধ নষ্টের অভিযোগ তোলা হয় ওজিলের বিরুদ্ধে। তবু বিশ্বকাপের জার্মানি দলে সুযোগ পান তিনি।

বিপত্তিটা বাধে প্রথম রাউন্ড থেকে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা বিদায় নিলে। ব্যর্থতার দায় এসে পড়ে ওজিলের ঘাড়ে। ফলে উগ্র সমর্থকদের কাছ থেকে ঘৃণিত বার্তা হতে শুরু করে মৃত্যু হুমকিও পাচ্ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন ২৯ বছরের মিডফিল্ডার।

আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণার দিন বিশাল এক বিবৃতি দেন ওজিল। তাতে লেখেন- যখন জিতি তখন আমি জার্মান, আর যখন হারি তখন অভিবাসী, মুসলমান।

মূলত বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদেই অবসর নেন ওজিল। তবে তা শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন (ডিএফবি)।

ইনট্রাখট ফ্র্যাঙ্কফুর্টের বর্তমান স্পোর্টিং ডিরেক্টর ও সাবেক জার্মান স্ট্রাইকার ফ্রেডি বোবিচ ওজিলের অবসর নেয়াকে কাপুরুষতা হিসেবেই আখ্যায়িত করেছেন।

ওজিল তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক। জার্মানির গেলসেনকিরচেনে তার জন্ম। ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি।

স্বদেশে অবহেলিত হলেও পিতৃভূমি তুরস্ক, আর্সেনাল সতীর্থ ও কোচ উনাই এমরির আকুণ্ঠ সমর্থন পাচ্ছেন ওজিল। একদিকে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছেন তুর্কিরা, অন্যদিকে পরিবারের সদস্যের মতো তাকে আগলে রাখছেন গানাররা। এমনকি শোনা যাচ্ছে, তার হাতে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড তুলে দিতে যাচ্ছেন তারা।

চীন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভূ-পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে

চীন একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভূ-পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। দেশের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভূ-পর্যবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় মঙ্গলবার জাওফিন-১১ নামের অপটিক্যাল দূর নিয়ন্ত্রিত বোধ সম্পন্ন এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। খবর বার্তা সংস্থা সিনহুয়া’র।

শানজি প্রদেশের তাইওয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে জাওফিন-১১ স্যাটেলাইটটি বেইজিং সময় সকাল ১১ টায় দূরপাল্লার ৪বি রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপিত হয়। দূরপাল্লার উৎক্ষেপণ রকেটের মাধ্যমে এটি উৎক্ষেপণ করা হয় যা ছিল এর ২ শ’ ৮২ তম উড্ডয়ন অভিযান।

স্যাটেলাইটটি ভূমি জরিপ, নগর পরিকল্পনা, সড়ক যোগাযোগের নকশা প্রণয়ন, কৃষি এবং দুর্যোগে ত্রাণকার্যে ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও এর তথ্য বলয় ও সড়ক উদ্যোগে ব্যবহার করা হবে।

প্রকল্পটি ২০১০ সালে শুরুর পর থেকে চীন ক্রমবর্ধমান হারে এই গ্রহের পরিষ্কার ছবি পাচ্ছে। 

পুলিশ কর্তৃক নৌকা মার্কায় সিল!!!! রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অল্প কিছু লোক ভোট দিতে পারলেও এই তিন সিটি নির্বাচনে সেটিও সম্ভব হয়নি।
তিন সিটির নির্বাচনে আরেকটি সহিংস প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

বিকেল চারটায় ভোট শেষ হওয়ায় পাঁচ মিনিট আগে সংবাদ সম্মেলনে আসেন রিজভী। এর আগে তিনি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম দফায় সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। তখনো নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন রিজভীবিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনের আগে আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যে কথাগুলো বলেছিলাম, একটি অবৈধ সরকার ও তার আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন থাকলে নির্বাচন, ভোট ও মানুষের ভোটাধিকার যে নির্বাসনেই থাকবে, নির্বাসন থেকে যে প্রত্যাবর্তন করবে না, সেটা অক্ষরে অক্ষরে আপনারা দেখেছেন।

দিনভর সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার কোনো সংবাদ পাননি জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ ভোটের লেবাসে নির্বাচনের লেবাসে কীভাবে তাদের নাৎসিবাদকে প্রতিষ্ঠিত করছে; জনগণ তা আজ দেখেছে।

রিজভী বলেন, ‘অন্যান্য সময় পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় সরকারি দলের ক্যাডাররা তাণ্ডব করত। আর এবার পুলিশ নিজেই দায়িত্ব নিয়েছে। ওদেরকে আর সেই দায়িত্বে রাখেনি। নিজেরাই দেখাচ্ছে যে কতখানি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে পারি। তার নজির আমরাই সৃষ্টি করছি।’

বিএনপির মুখপাত্র রিজভী বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা ছড়িয়ে নাটকীয় ভোট-সন্ত্রাসের পরিস্থিতি দেশবাসী প্রত্যক্ষ করল। রাজ বেতনভোগী কর্মচারী নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল যে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নয়, তারা অবৈধ সরকারের প্রতিনিধি। সুতরাং অবৈধ সরকারের হুকুম তামিল করা ছাড়া তারা অন্য কোনো কাজের জন্য নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালন করতে আসেনি। তাই সরকারের ইঙ্গিত, আভাস, ইচ্ছায় নির্বাচন কমিশন আজ তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শ্বাসনিরুদ্ধ দুর্বৃত্তপনার নির্বাচনী প্রহসনের সহযোগী হলো। নির্বাচন কমিশন আইনের নয়, স্বাধীন নয়, নির্বাচন কমিশন রাজভৃত্য।


রিজভী বলেন, ‘আজ একজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেছেন, উৎসবের আমেজে নির্বাচন হচ্ছে। তিনি ঠিকই বলেছেন, দস্যুদল লুট করার পর উল্লাসে মেতে ওঠে। আওয়ামী লীগ লুটের মালের মতো একচেটিয়া জাল ভোট ও ভোটসন্ত্রাসের কৃতিত্বে আত্মপ্রসাদ লাভ করেছে, আর সে জন্যই তারা উৎসবে মেতে উঠেছে।’

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিয়েছে পুলিশ। তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই একচেটিয়া পুলিশ কর্তৃক নৌকা মার্কায় সিল মারার ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান হয়েছে। এটি আওয়ামী নাৎসিবাদের এক চূড়ান্ত রূপের আত্মপ্রকাশ।’

এ সময় তিন সিটির বিভিন্ন কেন্দ্র বিএনপির কর্মীদের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ও এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।

কিন্তু সত্য হলো আমি পড়িনি, আমি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছি !!!!নেইমার

 কিন্তু সত্য হলো আমি পড়িনি, আমি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছি !!!!নেইমার

রাশিয়া বিশ্বকাপটা দাগ রেখে গেছে সবার মনে। এতটা জমজমাট বিশ্বকাপ শেষ কবে দেখা গেছে? সেমিফাইনালের আগেই সম্ভাব্য সব তারকার বিদায়, সম্ভাব্য বিশ্বকাপজয়ীরাও বাদ পড়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। তবু আগ্রহের পারদ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চূড়ায় ছিল সবার। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছেন নেইমার। এবার ছিল নিজেকে মেসি-রোনালদোর কাতারে নিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু চোট থেকে ফেরা নেইমার বিশ্বকাপে আলোচনা জমিয়েছেন অতি-অভিনয় করে, আহত হয়ে মাঠে গড়িয়ে।

এ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। ‘নেইমার চ্যালেঞ্জ’ নামে মাঠে গড়ানোর প্রতিযোগিতাও চলেছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। এসব নিয়ে এত দিন কোনো কথা বলেননি নেইমার। অবশেষে পিএসজি ফরোয়ার্ড মুখ খুললেন এ নিয়ে। একটি স্পনসরের বিজ্ঞাপন করতে এসে অতি-অভিনয়ের দায় মেনে নিয়েছেন নেইমার। সেই সঙ্গে ঘুরে দাঁড়ানোরও প্রতিজ্ঞা করেছেন সে বিজ্ঞাপনে। দীর্ঘ সংলাপে নেইমার বলেছেন : 
‘হাঁটুতে বুটের আঘাত। মেরুদণ্ডে লাথি। পা মাড়ানো।’
‘আপনারা হয়তো ভাবেন আমি অতি অভিনয় করি এবং মাঝেমধ্যে আমি সেটা করি। কিন্তু সত্যি হলো মাঠে আমাকে অনেক ভুগতে হয়। বাইরে থেকে আপনারা ধারণাও করতে পারবেন না কীসের মধ্য দিয়ে যাই আমি। আমি যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলে বিদায় নিই, এর মানে এই নয় যে আমি শুধু জিততে ভালোবাসি বরং এ কারণে যে আমি এখনো হতাশ করতে শিখিনি।’
‘আমাকে দেখে দুর্বিনীত মনে হতে পারে, এর মানে এই নয় যে আ
মি বখে যাওয়া ছেলে। এর মানে আমি এখনো হতাশা মেনে নিতে শিখিনি। আমার মধ্যে এখনো একটি বালক লুকিয়ে আছে। মাঝেমধ্যে এর আলোয় বিশ্ব চমকে যায়, অন্য সময় সবাই বিরক্ত হয় এবং এ বালককে বাঁচিয়ে রাখতে আমি লড়ব, তবে সেটা আমার মধ্যেই মাঠের মধ্যে নয়।’ 
‘আপনাদের মনে হতে পারে আমি মাঠে অনেক বেশি পড়েছি। কিন্তু সত্য হলো আমি পড়িনি, আমি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছি এবং আমার সদ্য অপারেশন করা গোড়ালি মাড়িয়ে দেওয়ার চেয়েও বেশি ব্যথা এতে। আমি আপনাদের সমালোচনা গ্রহণ করতে একটু সময় নিয়েছি। এ সময়ে আমি আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়েছি এবং নতুন এক মানুষে পরিণত হয়েছি। কিন্তু এখন আমি এখানে, সবার সামনে নিজেকে উন্মুক্ত করে দিচ্ছি।’
‘আমি পড়ে গিয়েছি। কিন্তু তারাই উঠে দাঁড়ায়, যারা পড়েছে। আপনারা চাইলে আমার দিকে পাথর ছুড়ে মারা চালিয়ে যেতে পারেন অথবা সেগুলো অন্যদিকে ফেলে দিয়ে আমাকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করতে পারেন। কারণ, আমি যখন উঠে দাঁড়াই, পুরো দেশ সেই সঙ্গে উঠে দাঁড়ায়।’





আর্জেন্টিনা কোচ সাম্পাওলি আর থাকছেন না


হোর্হে সাম্পাওলির অধীনে বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছে আর্জেন্টিনা। এরপরই প্রশ্নটা উঠেছিল, কোচ নিজে সরে দাঁড়াবেন, নাকি তাঁকে ছাঁটাই করা হবে? পরে শোনা গিয়েছিল, আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। কিন্তু নতুন গুঞ্জন এসে হাজির হয়েছে আজ, আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে নাকি আর দেখা যাবে না সাম্পাওলিকে।

সোমবার এএফএ সভাপতি ক্লদিও তাপিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেন সাম্পাওলি। সেখানেই নাকি সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের দায়িত্ব নেবেন তিনি। ২৮ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় বয়সভিত্তিক দলের একটি টুর্নামেন্ট আছে। সেখানে অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ হিসেবে সাম্পাওলির পারফরম্যান্স দেখেই তাঁকে মেসিদের কোচ হিসেবে রাখা হবে কি না, এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গতকাল প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, সাম্পাওলি নাকি ভেবেচিন্তে দেখেছেন, এ দায়িত্ব নেওয়া তাঁর মাপের কোচের সঙ্গে ঠিক যায় না। আর এ কারণেই অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে টুর্নামেন্টে যাবেন না তিনি। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন নাকি এ ঘটনার পর সাম্পাওলির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাচ্ছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নাকি সাম্পাওলির বিদায়ের ঘোষণা আসতে পারে। সমস্যা হচ্ছে, সাম্পাওলির সঙ্গে এএফএর যে চুক্তি, সে অনুযায়ী চাকরিচ্যুত হলে ২০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ পাবেন সাম্পাওলি! তবে, এএফএ সর্বোচ্চ এই বছরের শেষ পর্যন্ত বেতন দিতে আগ্রহী।

মেদ না কমালে চাকরি যাবে পুলিশের!!!!

পুলিশের মেদ নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। এ-ও শোনা যায়, মেদ থাকায় দৌড়াতে পারেন না অনেক পুলিশ সদস্য, পালিয়ে যায় অপরাধী। তাই পুলিশ সদস্যদের মেদ কমাতে বলা হয়েছে। আর তা না করলে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হবে।

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রিজার্ভ পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর রাও সদস্যদের হুঁশিয়ারি করে দিয়ে বলেছেন, নিজেদের মেদ কমান, নইলে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হবে। তিনি বলেন, শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা গত দেড় বছরে অকালে মারা যাওয়ার পর এ ধরনের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। বলা হচ্ছে, মারা যাওয়া ওই পুলিশ কর্মকর্তারা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে জীবনযাপনের কারণে অসুস্থ হয়ে মারা যান।

ভাস্কর রাওয়ের অধীনে ১৪ হাজার পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন। তাঁরা সবাই ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্তে মাঠে নামেন। কিন্তু ব্যায়াম ও ডায়েট না করার কারণে অনেকের মেদ জমে গেছে। তাঁদের সচেতন করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে মেদওয়ালাদের চিহ্নিত করে ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ভাস্কর রাও বলেন, যাঁদের মেদভুঁড়ি হয়ে গেছে; স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, তাঁদের শরীরে চিনির মাত্রা কেমন। সে অনুযায়ী ব্যায়াম করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, যাঁরা এরপরেও সচেতন হবেন না। তাঁদের প্রতিদিনের ভাতা কেটে রাখা হবে। এরপরও সচেতন না হলে চাকরিচ্যুত করা হবে ওই পুলিশ সদস্যদের। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যাপারটি নজরদারির মধ্য রেখেছি।’

ভাস্কর রাও বলেন, ৪০-৫০ বছর বয়সের প্রায় ১৫০ জন পুলিশ সদস্য জীবনযাপন ও স্বাস্থ্যগত কারণে প্রতিবছর মারা যান। এঁদের অনেকেই হার্টের সমস্যা, রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। এ ছাড়া তাঁরা অতিরিক্ত পানের এবং ধূমপানের অভ্যাসও ছিল। পুলিশ সদস্যদের এমন মৃত্যুর হার মেনে নেওয়া যায় না। তাই শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের মাধ্যমে এটা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।

মিয়ানমারে ৫.০ স্কেলে মাত্রায় ভূমিকম্প হেনেছে

মিয়ানমারের দক্ষিণ উপকূলের কাছে আজ বৃহস্পতিবার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.০। আবহাওয়া বিভাগ এ কথা জানিয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। খবর সিনহুয়ার।
 ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ইয়াঙ্গুনের কবা আয়ি ভূ-কম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে ২৫৯ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানা যায়নি।

সোনার দাম কমছে

বিশ্ববাজারে দাম হ্রাস পাওয়ায় দেশের বাজারে সোনার দর ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা পর্যন্ত কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সোনার নতুন দর আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে। 
সর্বশেষ গত মার্চে সোনার দর ভরিতে ১ হাজার ২৮৩ টাকা কমেছিল। এর আগে গত ১০ জানুয়ারিতে ভরিতে ১ হাজার ৩৯৯ টাকা ও ২৬ জানুয়ারি ১ হাজার ৫১৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছিল। 
দর হ্রাস পাওয়ায় কাল বৃহস্পতিবার থেকে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট সোনা ৪৯ হাজার ৮০৬ টাকা, ২১ ক্যারেট ৪৭ হাজার ৫৩১ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট সোনা বিক্রি হবে ৪২ হাজার ৪৫৭ টাকায়। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি বেড়ে দাঁড়াবে ২৭ হাজার ৫৮৬ টাকা।
আজ বুধবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ৫০ হাজার ৯৭২ টাকা, ২১ ক্যারেট ৪৮ হাজার ৬৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৪৩ হাজার ৬২৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি ২৬ হাজার ৪১৯ টাকায় বিক্রি হয়। দর পুনর্নির্ধারণ করায় প্রতি ভরি ২২, ২১ ও ১৮ ক্যারেট সোনার ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা দাম কমছে। অন্যদিকে ও সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি বাড়বে ১ হাজার ১৬৭ টাকা। তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত থাকবে, প্রতি ভরি ১ হাজার ৫০ টাকা। 
গত মার্চে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) সোনার দাম ছিল ১ হাজার ৩১১ ডলার। আজ বুধবার রাত আটটার দিকে প্রতি আউন্সের দাম ছিল ১ হাজার ২৭৪ ডলার।

রাশিয়ার বিমান হামলা, সিরিয়ায় নিহত ৪৪

সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশের একটি গ্রামে বিমান হামলার ঘটনায় অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতের ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে ছয় শিশুও রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বিমান হামলাটি চালিয়েছে রাশিয়া।

শুক্রবার একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, গত এক বছরে বিমান হামলায় একদিনে এটাই সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা। এর আগে একসঙ্গে এতগুলো মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

পর্যবেক্ষণ সংস্থাটির প্রধান রামি আবদেল রহমান জানান, ইদলিবের উত্তরের জারদানা গ্রামে গত রাতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বিমান হামলাটি চালিয়েছে রাশিয়া।

তিনি আরো বলেন, এতে এই এলাকায় গত এক বছরের মধ্যে একদিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে ১১ জন নারী এবং ছয় শিশু রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সংবাদপত্রেও বলা হচ্ছে, কোনো ধরনের বিমান হামলার সঙ্গে রাশিয়া সম্পৃক্ত নয়।

তবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওই পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার পক্ষে বলা হচ্ছে, ওই হামলা রাশিয়া ছাড়া অন্য কেউ চালায়নি। এতে অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশ শঙ্কাজনক। 

২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে দাম বাড়ছে যে সকল পণ্যের!

আগামী অর্থবছরে বেশকিছু পণ্যের ওপর সম্পুরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাবে দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত বিলাশ দ্রব্যের ব্যবহার হ্রাস ও দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় আমদানিপণ্যের ওপর এই শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন।

অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে দাম বাড়তে পারে এনার্জি ড্রিংক, প্রসাধন সামগ্রী, সানস্ক্রিন সানগ্লাস, আফটার শেভ লোশন, সিগারেট, সিরামিক বাথটাব, ফিলামেন ল্যাম্প, পলিথিন, ১ হাজার থেকে ১৬০০ স্কয়ার ফিট ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন ফি, লিপস্টিক, পুরনো ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রশন ফি, আমদানি মোবাইল ফোন, বিদেশি চকোলেট, কফি, গ্রিন টি, আমদানি করা বাদাম, আমদানি মধু, ইউপিএস, আইপিএস, স্টাবিলাইজার, ছাপাখানার পণ্য, প্লাস্টিক ব্যাগ, মোবাইল ব্যাটারি চার্জার, নেলপলিশ, অ্যালকোহল বিক্রয়কারী হোটেল রেস্তোরাঁর সেবার মান, হেলিকপ্টার সেবা, বিড়ি, জর্দা, গুল, সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন কেনাকাটায়।

বিশ্বকাপ মাতাবে ইরানের মেসি!

বর্তমানের সেরা ফুটবলার কে? এক বাক্যে অধিকাংশই বলবেন লিওনেল মেসি, রোনালদো কিংবা নেইমারের নাম? কারণ মাঠে তাদের জাদুকরি খেলা দেখে যে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। এদের মধ্যে এগিয়ে আর্জেন্টাইন তারকা। তাই তো দুর্বল কোনো দেশের বড় তারকাকে দেশটির অনেকেই মেসি বলেই ডাকেন। সরদার আজমুন তেমনই একজন।

মেসির তকমা পাওয়া সরদার আজমু ইরান জাতীয় দলের হয়ে ৩২ ম্যাচে করেছেন ২৩ গোল। গত বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম গোল ছিল ইরানের, মাত্র ৮টি। আর এবার রাশিয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আজমুনের একারই ১১টি গোল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিশ্বকাপে তার জাদুকরি ফুটবল দেখতে পাবে পুরো বিশ্ব।

রাশিয়ান ক্লাব রোস্তভের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগেই নিজের ঝলক দেখিয়েছেন এই ইরানিয়ান। ২০১৬-১৭ মৌসুমে গ্রুপ পর্বে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-২ গোলে হারায় রোস্তভ। সেই ম্যাচের অন্যতম সেরা পারফরমার ছিলেন আজমুন। ইউরোপের অনেক তারকা ক্লাব তাকে পেতে আগ্রহ দেখিয়েছে, কিন্তু দুইয়ে দুইয়ে শেষ পর্যন্ত চার হয়নি। তবে বিশ্বকাপে স্বরূপে ফিরতে পারলে চাহিদার তুলনায় আরও ভালো ক্লাব পেতে পারেন আজমুন- তা যে আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

কিন্তু সেটা পরের কথা। পর্তুগাল, স্পেন, মরক্কোর গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোতে জায়গা পেতে ইরানিরা তাকিয়ে আজমুনের দিকে। এখন সময়ই বলে দেবে তিনি ইরানিদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন কিনা। যদিও এই মুহূর্তে তাঁকে এশিয়ার সেরা স্ট্রাইকারও বলা হচ্ছে। ‘ইরানিয়ান মেসি’ খ্যাতি পেয়েছেন তো আরো আগেই। জাতীয় দলের হয়ে তাঁর গোল করার হারই বলছে তাঁকে নিয়ে সব। ইরানের ফুটবল ইতিহাসে এ পর্যন্ত যা সর্বোচ্চ। ১০৯ গোল করা আলী দায়িকেও একসময় ছাড়িয়ে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানিদের দাবি, আজমুন এমন একজন ফরোয়ার্ড, যিনি দৌড়ান মেসির মতো আর হেড করেন ইব্রাহিমোভিচের মতো। কিন্তু পার্থক্য হলো তিনি রাশিয়ান ক্লাব রুবিন কাজানে খেলেন। তাই তো তাদের সেরা খেলোয়াড় খেলেন না ইউরোপের শীর্ষ কোনো লিগে বড় কোনো ক্লাবে খেলেন বলে আক্ষেপে। যদিও তাঁদের বিশ্বাস এবারের বিশ্বকাপ দিয়েই আজমুন তার ঠিকানা বদলে ফেলবেন।

যৌনকর্মীদের সঙ্গে রাতভর উদ্দাম উৎসবে মেক্সিকান ফুটবলাররা!

আর মাত্র ৭ দিন পরেই শুরু হবে রাশিয়া বিশ্বকাপ। ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যেও রাশিয়া বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনা বেড়ে চলেছে। এদিকে, শেষ সময়ে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে মেক্সিকোর ফুটবলাররা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মেক্সিকোর বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ফুটবলাররা ৩০ জন যৌনকর্মীর সঙ্গে রাত কাটিয়ে সম্প্রতি জয় উদযাপন করেছে তারা। রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে প্রীতি ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারায় মেক্সিকোর ফুটবল দল।  তারপরই ৩০ জন যৌনকর্মীকে নিয়ে রাতভর উদ্দাম উৎসবে মেতেছিল ফুটবলাররা।
যদিও এরআগেও ম্যাচে জিতে হোটেলে যৌনকর্মীদের নিয়ে এসে ৬ মাসের জন্য নির্বাসনের মুখে পড়েছিল মেক্সিকান ফুটবলাররা। তবে এবারে কোনো শাস্তির সামনে পড়তে হচ্ছে না মেক্সিকোর ফুটবলারদের। কারণ, মেক্সিকান ফুটবলের কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, ওরা ফ্রি-টাইমেই এসব করেছে। এই ‘সেক্স পার্টির’ জন্য মেক্সিকান ফুটবলাররা ট্রেনিং মিস করেননি।  
এ ব্যাপারে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি কান্টু জানান, যেসব ফুটবলার এই পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন তাদের শাস্তি দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, ওরা ট্রেনিং মিস করেনি। একটা ছুটির দিন মানে ছুটির দিন। ফুটবলাররাই ঠিক করবেন তারা কিভাবে সে দিনটা কাটাবেন।
সূত্রে বলা হয়, বিশ্বকাপ খেলা সামনে রেখে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন এই ইস্যুতে ঝামেলায় যেতে চায়নি। তাই খেলোয়াড়দের পক্ষে তাদের বক্তব্য যে, ফুটবলাররা অবসর সময় পাওয়াতেই উৎসব করেছে।

নাসায় যাচ্ছেন শাহরুখ খান

 

নাসায় যাচ্ছেন বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান। একা যাচ্ছেন না, আনুশকা শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন কিং খান। এমন তথ্যই জানিয়েছে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম।

জানা গেছে, শাহরুখ-আনুশকা জুটির পরবর্তী ছবি ‘জিরো’র চিত্রায়ণে নাসায় যাচ্ছেন তারা। শিগগির যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাবে টিম। সেখানে টানা ৪৫ দিন চিত্রায়ণ হবে ছবিটির। এর মধ্যে নাসাতেও চিত্রায়ণের পরিকল্পনা করছেন পরিচালক আনন্দ এল রায়।

এর আগে ‘স্বদেশ’ ছবির চিত্রায়ণেও নাসায় গিয়েছিলেন শাহরুখ খান। ‘জিরো’ ছবিতে খর্বাকৃতি একজন ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করছেন শাহরুখ। অন্যদিকে, একজন বিজ্ঞানীর চরিত্রে দেখা যাবে আনুশকাকে।

চালে পাওয়া গেছে মাত্রাতিরিক্ত সিসা: ভয়ঙ্কর বিপদ

চাল, হলুদ ও এগ্রোকেমিক্যালে পাওয়া গেছে মাত্রাতিরিক্ত সিসা (লেড)। ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ এলাকা থেকে নেয়া ৩৮২টি এগ্রোকেমিক্যাল নমুনার মধ্যে ১২৯ জাতের চালে সিসা পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় ব্যবহৃত ১৭টি হলুদের নমুনা থেকে একটিতে মাত্রাতিরিক্ত সিসা ও ক্রোমিয়াম পেয়েছেন গবেষকেরা। সম্প্রতি আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা করেন। এ গবেষণাটি গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের পাবমেডি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। আইসিডিডিআরবির সাইফুল ইসলাম, পারভেজ, রাকিব, সাজাদুর রহমানসহ আটজন গবেষক সম্মিলিতভাবে গবেষণাটি করেন।

আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা ওই এলাকার মাটি, পানি, হলুদ, চাল, দেশীয় ওষুধ ও কৃষিজাত ও প্রক্রিয়াজাত পণ্যের বিভিন্ন ‘ক্যান’ পরীক্ষা করেছেন সিসার উপস্থিতি খুঁজে বের করতে।

আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা একই সাথে ৪৩০ জন গর্ভবতী মহিলার রক্ত পরীক্ষা করে ১৩২ জনের মধ্যে উচ্চমাত্রার সিসার উপস্থিতি পেয়েছেন। ক্যানজাত খাবার অথবা পণ্য থেকে গর্ভবতীরা ২.৫ শতাংশ বেশি সিসা পাচ্ছেন। ওই এলাকায় কীটনাশক হিসেবে ব্যবহৃত বাসুডিন থেকে ৩.৬ শতাংশের বেশি সিসা আসে মহিলাদের রক্তে। মেশিনে ভাঙানো চালে ৩.৩ শতাংশের বেশি এবং ২৮টি ক্যানজাত ফুডের মধ্যে পাঁচটিতেই পাওয়া গেছে মাত্রাতিরিক্ত সিসাযুক্ত রাং (ঝালাই করার রঙ)।

বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, সিসা শিশুদের মস্তিস্ক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে এবং ¯œায়ুবিক প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে থাকে। এ রাসায়নিকটি বয়স্কদের উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ ঘটায় এবং কিডনির ক্ষতি করে থাকে। গর্ভকালীন মায়েদের দেহে সিসার পরিমাণ বেশি থাকলে গর্ভপাত, মৃত বাচ্চা প্রসব বা ৩৭ সপ্তাহ অতিক্রমের আগেই শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। এসব শিশু কম ওজনের হয়ে থাকে এবং মায়ের গর্ভে শিশুর সঠিক গঠন হয় না।

এ ছাড়া সিসা গর্ভকালীন ও জন্মের পর শিশুর বোঝার ক্ষমতাকে নষ্ট করে। বিশ^ব্যাপী প্রতি বছর চার লাখ ৯৪ হাজার মানুষ সিসার ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে মারা যায়। তার ওপর প্রায় ৯৩ লাখ মানুষ সিসার কারণে দীর্ঘকালীন নানা সমস্যা যেমন নানা রকম দৈহিক বৈকল্যে ভোগে। বাংলাদেশেও মানুষ সিসার ক্ষতিকর প্রভাবে নানা দৈহিক ও মানসিক সমস্যা আক্রান্ত হচ্ছে।

বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, সিসা দেহের হাড় ও দাঁতে জমা হয়ে থাকে। পরে এটা লিভার, কিডনি ও ব্রেনে চলে যায়। এই রাসায়নিকটির বহুমাত্রিক টক্সিক (বিষাক্ত পদার্থ) দৈহিক সিস্টেমগুলোর ক্ষতি করে। সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। হাড়ে জমে থাকা সিসা গর্ভকালীন রক্তে চলে আসে এবং এটা মায়ের গর্ভে শিশুদের দৈহিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে।

সিসা ব্যবহার করা হয় মোটর গাড়িতে লেড এসিড ব্যাটারিতে, ঝালাই করার রাংয়ে, রঙ করা গ্লাসে, সিরামিকে, স্বর্ণালঙ্কারে, খেলনায়, কসমেটিকসে এবং দেশীয় ওষুধে। খাবার পানি প্রবাহিত করার পাইপেও সিসা ও রাং ব্যবহার করা হয়, সেখান থেকে মানব দেহে সিসা যেতে পারে।

কে সবচেয়ে দামি ফুটবলার???

বিশ্বকাপের বছরে অনেক তারকা ফুটবলারের বাজারদর হঠাৎ করে বেড়ে যায়, আবার কারো কমে যায়। বিশ্বকাপ শুরুর আগে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ফুটবল গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্পোর্টস স্টাডিজ (সিইএস) নিজস্ব জরিপের ভিত্তিতে প্রকাশ করেছে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারদের তালিকা।

আগামী মৌসুমে যাদের বাজারদর থাকবে অনেক উঁচুতে। বিস্ময়করভাবে এ তালিকায় প্রথম ২০ জনের মধ্যে নাম নেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর! তিনি আছেন ২৪ নম্বরে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় এখন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন। টটেনহ্যাম ফরোয়ার্ডের সম্ভাব্য বাজারমূল্য ২০১.২ মিলিয়ন ইউরো। এমনকি লিওনেল মেসিও এ তালিকায় চার নম্বরে। দু’নম্বরে আছেন নেইমরা। তার বাজারমূল্য ১৯৫.৭ মিলিয়ন ইউরো।
তিন নম্বরে থাকা ফ্রান্সের উদীয়মান তারকা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পের দাম ১৮৬.৫ মিলিয়ন ইউরো। মেসির দাম ধরা হয়েছে ১৮২.২ মিলিয়ন ইউরো। তার পেছনেই আছেন মোহামেদ সালাহ। মিসর ও লিভারপুল তারকার দাম ১৭১.৩ মিলিয়ন ইউরো।

এছাড়া শীর্ষ দশে আছেন ডেলে আলি, কেভিন ডি ব্রুইন, আঁতোয়া গ্রিজমান, পাওলো দিবালা এবং রোমেলু লুকাকু। ২০ নম্বরে আছেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। ২৪ নম্বরে থাকা রোনাল্ডোর বর্তমান বাজারদর ১০৩.৪ মিলিয়ন ইউরো।



ফুটবলার হলে বোল্ট হতেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ!

পেশাদার ফুটবলার হলে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর সম্মিলিত দক্ষতা থাকতো বলে দাবি করেছেন স্প্রিন্ট কিং উসাইন বোল্ট।

মেসি কিংবা রোনাল্ডো হতে চান কিনা- প্রশ্নের জবাবে আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ভাইভাকে কিংবদন্তী এই স্প্রিন্ট সুপারস্টার বলেন, ‘আমি হতাম তাদের দুই জনের ভালো সংমিশ্রণ। এই দুই জনের মেধার সংমিশ্রনে যা হতো সেটি হতাম আমি। যার সঙ্গে আমার গতিকে কাজে লাগিয়ে আমি হতাম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ।’

বোল্ট প্রায়ই স্বপ্ন দেখেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ফুটবল খেলার। বিশ্বের দ্রুততম এই মানব বলেন, ‘তারা যদি আমাকে ডেকে বলতো, এখন আমাদের তোমাকে দরকার, তাহলে পরের ফ্লাইটেই আমি ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে উড়াল দিতাম।’

সাবেক ফুটবলার উইয়াহ লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট
রয়টার্স

আফ্রিকার একমাত্র ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার জর্জ উইয়াহ লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৫ সালে ইউরোপের বাইরের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি’অর জেতেন পিএসজি ও এসি মিলানের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার উইয়াহ। ১৮ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ার শেষ হয় ২০০৩ সালে। পরে যোগ দেন রাজনীতিতে। বর্তমানে তিনি লাইবেরিয়ার পার্লামেন্টের একজন সিনেটর।

বৃহস্পতিবার লাইবেরিয়ার জাতীয় নির্বাচন কমিশন উইয়াহকে জয়ী ঘোষণা করে। ৯৮.১ শতাংশ ভোট গণনা শেষে ৫১ বছর বয়সী উইয়াহ ৬১.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। উইয়াহকে বিজয় ঘোষণার পর রাজধানী মনরোভিয়ায় তার সমর্থকেরা উৎসব শুরু করেছেন। লাইবেরিয়ার নির্বাচিত প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন স্যারলিফের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।

নির্বাচনে জয়লাভের পর এক টুইটে তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় লাইবেরিয়াবাসী, পুরো জাতির জন্য আমি আবেগাপ্লুত। আমাকে আজ যে বিশাল দায়িত্ব দেয়া হলো তার গুরুত্ব ও দায়দায়িত্ব আমি বুঝতে পারছি।’ নব্বইয়ের দশকে উইয়াহ ছিলেন বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন। তিনি ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার পুরস্কারও জিতেছেন।

১৯৮৮ সালে মোনাকোর হয়ে খেলতে প্রথম ইউরোপে আসেন উইয়াহ, সেখানে তিনি ৪৭ গোল করেন। মোনাকো থেকে ফ্রান্সেরই আরেক দল পিএসজিতে যোগ দিয়ে ১৯৯৪ সালে লিগ শিরোপা জেতেন। পরের বছর হন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা। সে বছরই যোগ দেন ইতালির দল এসি মিলানে। এসি মিলানের হয়ে প্রথম মওসুমেই জেতেন সেরি আর শিরোপা। দ্বিতীয়বার জেতেন ১৯৯৯ সালে। পরে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। অল্প সময়ের জন্য খেলেন চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটিতে।

১৯৯৫ সালের আগে ইউরোপের বাইরে কোনো ফুটবলারকে ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করার হতো না। নিয়ম বদলানোর পর উইয়াহ তা জেতেন। তার পর আফ্রিকার আর কোনো ফুটবলার এ সম্মান পাননি। তবে কাবে দারুণ সাফল্য পেলেও কখনো বিশ্বকাপের চূড়ান্তে পর্বে খেলা হয়নি তার।

মেসির কোলে ছাগল কেন? তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়ায় ...

যোগাযোগ ফুটবল রাজপুত্র লিওনেল মেসির কিছু ছবি ঘোরাফেরা করছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ছাগল কোলে, কাঁধে নিয়ে পোজ দিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। এতো কিছু থাকতে ছাগল নিয়ে কেন ছবি তুলেছেন মেসি?
উত্তর - বিশ্বকাপ শুরুর আগে একটি ম্যাগাজিনের জন্য ছবিগুলো তুলেছেন মেসি।
তবে মজার ব্যাপার হলো, ছাগল নিয়ে মেসির এই ছবি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিলেও, তিনি কিন্তু রসিকতা করে যাচ্ছেন।
অনেকেই যখন তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে মানেন। তিনি কিন্তু তা মনে করেন না। নিজেকে মাটির কাছেই রাখছেন তিনি। বলেছেন, 'Goat নিয়ে ছবি তুললেও নিজেকে G.O.A.T (গ্রেটেস্ট অফ অলটাইম) মানি না।'


তবে মেসির এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে। মেসির কথায়, 'ছোটবেলা থেকেই জন্তু জানোয়ার আমার খুবই প্রিয়। ছাগলগুলোকে নিয়ে ছবি তুলে দারুণ লাগল।'

এরপরই মেসি বলেন, 'আমি নিজেকে সেরা বলে মানি না। আমি একজন খেলোয়াড় মাত্র।'

দ্রুত চিকিৎসা না হলে খালেদা জিয়া পঙ্গু-দৃষ্টিহীন হতে পারেন:

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। দ্রুত চিকিৎসা করা না হলে তিনি পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন, দৃষ্টিহীন হয়ে যেতে পারেন। সরকার চায় তিনি পঙ্গু হয়ে যান, দৃষ্টিহীন হয়ে যান। 

নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা রাজনীতি করি। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারি। কিন্তু শত্রু তো নই। সরকার যেভাবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আচরণ করছে তা কোনোভাবে আশা করা যায় না। খালেদা জিয়াকে আপনারা ভয় পান বলেই এসব করছেন। কারণ তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তাকে মুক্ত করে আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়ায় না হলে আমরা অন্য পন্থায় যাবো। 


আর সে পন্থা হবে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক আন্দোলন। আগামী দিনে শক্তিশালী আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
 সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রমিকদল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম প্রমুখ।

নজরুল বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তাকে মুক্ত করার জন্য যা করা প্রয়োজন আমাদের তাই করতে হবে। তার জন্য সর্বোচ্চ যে পর্যায়ে যাওয়া প্রয়োজন সেখানেই যেতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার। গণতন্ত্র শেষ, বিচার বিভাগ শেষ, পার্লামেন্ট আগে থেকেই নেই। শেয়ারবাজার, ব্যাংক লুট করেছে। এসবের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলন করছিলেন বলেই তাকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে। একটি পরিত্যাক্ত কারাগারে বন্দী তিনি। সে কারাগারে আর কোনো কয়েদি নেই। তিনি অসুস্থ। তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়ার সুপারিশ করেছিলো ডাক্তারেরা। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। চিকিৎসা দেয়া হয়নি। 

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমরা আইয়ুব খান এবং ইয়াহিয়া খানের পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু আজ আমাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী। যারা ১৯৭৫ সালে গণতন্ত্র হরণ করেছিল এবং ১৯৮২ সালে যারা গণতন্ত্র হরণ করেছিল তারা এক হয়েছে। তাদের পতন ঘটাতে হবে।

নেতা কিম জং–উনের শাসনে কতটা ভালো আছে উত্তর কোরিয়ার জনগণ?

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে ১২ জুন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের ঐতিহাসিক বৈঠক। ধারণা করা হচ্ছে আলোচনার টেবিলে মূল বিষয় হয়ে উঠবে কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ করার বিষয়টি। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, উত্তর কোরিয়ার লোকজন প্রতিনিয়ত, ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে; অথচ তাদের মানবাধিকারের বিষয়টি আলোচনার টেবিলে নিশ্চিতভাবেই ঠাঁই পাবে না। উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ অবস্থা এখন কেমন—তা নিয়ে আজ রোববার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। সেখানকার উল্লেখযোগ্য কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।

সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণে:
পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়াকে তিন প্রজন্ম ধরে কিম পরিবার শাসন করে আসছে। এখানকার জনগণকে বর্তমান শাসক কিম জং-উনসহ এই পরিবারের প্রতি পুরোপুরি অনুগত থাকতে হয়। এখানকার সরকার নাগরিকদের ওপর ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি করে। শুধু যে জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করে তা-ই নয়, কঠোরভাবে অর্থনীতিকেও নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন দেশটিতে খাদ্য, জ্বালানিসহ মৌলিক পণ্যের ব্যাপক ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও সরকার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ঢালে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বিবিসিকে বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া কেবল ব্যয়বহুল পরমাণু কর্মসূচির উন্নয়নই করতে পারে, কারণ এটি একটি সর্বগ্রাসী রাষ্ট্র। এটি করতে গিয়ে দেশটির সরকার উত্তর কোরিয়ার ক্ষুধার্ত জনগণের খাবার কেড়ে নেয়।’

গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ
বলা হয় বিশ্বে সবচেয়ে শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমকে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)-এর ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে দেশটির অবস্থান সবচেয়ে নিচের দিকে।
উত্তর কোরিয়ার জনগণ মূলত রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের কাছ থেকে সব ধরনের খবর, বিনোদন ও তথ্য পেয়ে থাকে। সেসব খবরে থাকে সরকারের অবিরাম প্রশংসা। আরএসএফের তথ্য অনুযায়ী, কেউ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কোনো খবর দেখলে, শুনলে বা পড়লে, তাকে কারাগারেও পাঠানোর ঘটনা ঘটে। 
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক গবেষক আর্নল্ড ফ্যাং বিবিসিকে বলেন, ‘এখানে মোবাইলে কথা বলা যায়। তবে দেশের বাইরে ফোন করা খুব সহজ নয়।’
এ ছাড়া এখানে ইন্টারনেটও সবার জন্য সহজলভ্য নয়। রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে কতিপয় অভিজাত ব্যক্তি শুধু তা ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেখানেও রয়েছে সীমাবদ্ধতা। দেশটির নিজস্ব ইন্টারনেট রয়েছে। তবে বেশির ভাগ মানু্ষই অনলাইনে ঢোকে না।

ধর্মীয় স্বাধীনতা
দেশটির সংবিধান অনুযায়ী ‘নিজস্ব বিশ্বাস বজায়’ রাখার অধিকার আছে। দেশটিতে বৌদ্ধ, সামানিস্ট ও চন্দোইজমে বিশ্বাসী লোকজন রয়েছে, এমনকি রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রিত গির্জাও আছে। কিন্তু ফ্যাং বলেছেন, এগুলো সবই লোক দেখানো। সত্যি হলো, এখানে কোনো ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই। এখানে প্রত্যেককে কিম পরিবারের বন্দনা করতে শেখানো হয়।
২০১৪ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গির্জার বাইরে অন্য গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা উপাসনা করায় তাদের ‘নিপীড়ন ও গুরুতর শাস্তি’ দেওয়া হয়।

কারা ক্যাম্প ও বন্দিদশা
বলা হয়, উত্তর কোরিয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্মুক্ত কারাগার। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটিতে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ কারাগারে আছে। যেকোনো কিছুর জন্য এখানে কারাদণ্ড হতে পারে। যেমন কেউ দক্ষিণ কোরিয়ার ডিভিডি দেখলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়বলা হয়, উত্তর কোরিয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্মুক্ত কারাগার। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটিতে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ কারাগারে আছে। যেকোনো কিছুর জন্য এখানে কারাদণ্ড হতে পারে। যেমন কেউ দক্ষিণ কোরিয়ার ডিভিডি দেখলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আর রাজনৈতিক অপরাধের দায়ে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খনিতে বা গাছ কাটার কাজ করতে হয় বন্দীকে।
অ্যামনেস্টি জানায়, কারারক্ষীরা বন্দীদের নানাভাবে নির্যাতন করে। নারীদের ওপর যৌন নিপীড়নসহ জোরজবরদস্তি চালানো হয়। এখানে একজন অপরাধ করলে পুরো পরিবারকে অপরাধী হিসেবে শাস্তি দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় অহরহ। এমনকি প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদও দেওয়া হয়।

বিদেশি বন্দী
দেশটিতে রাজনৈতিক কারণে বিদেশিদের গ্রেপ্তার করে লম্বা সময় বন্দী করে রাখা হয়। পরে সুযোগ বুঝে তাদের ব্যবহার করা হয়। যেমন রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তিন মার্কিন নাগরিককে কারাগারে লেবার ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হতে যাওয়া ঐতিহাসিক বৈঠকের অংশ হিসেবে সম্প্রতি তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এখনো দেশটিতে দক্ষিণ কোরিয়ার ছয় নাগরিক আটক আছেন। অন্যদিকে ১৯৭০-এর দশকে উত্তর কোরিয়া থেকে ১৩ জাপানিকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাদের জাপানি ভাষায় গুপ্তচরদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে বলা হয়। এমনকি সে সময় উত্তর কোরিয়ার চলচ্চিত্র তৈরির জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত এক অভিনেত্রী ও তাঁর সাবেক স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছিল। তবে তাঁরা পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন।

জোরপূর্বক শ্রম
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক বিশাল সংখ্যক লোককে জীবনের কোনো একটা সময়ে বিনা মূল্যে কাজ করতে হয়। উত্তর কোরিয়া থেকে বেরিয়ে এসেছে—এমন এক সাবেক শিক্ষার্থী এইচআরডব্লিউকে বলেছে, বছরে তাদের দুই বার স্কুল থেকে জোর করে বিনা মূল্যে খেতে-খামারে কাজ করতে পাঠানো হতো। চাষবাস ও ফসল কাটার এক মাস করে তাদের কাজ করতে হতো।
দেশটি খুবই কম পারিশ্রমিকের বিনিময়ে হাজারো মানুষকে চীন, কুয়েত, কাতারে কাজ করতে পাঠায়। তাদের অনেককেই সেখানে ক্রীতদাসের মতো জীবনযাপন করতে হয়। তারা সেখান থেকে নামমাত্র যে বেতন পায়, তার সিংহভাগই রাষ্ট্র কেড়ে নেয়। তবে এসব দেশ জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার কারণে এখন উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের ওয়ার্ক ভিসা নবায়ন করছে না।

নারী অধিকার
নারীদের প্রতি বৈষম্য এখানে চরম। তবে ছেলেমেয়ের মধ্যে এই বৈষম্য পরিমাপের কোনো মাপকাঠি নেই। উত্তর কোরিয়া নিজেকে সমতাভিত্তিক সমাজ হিসেবে দাবি করলেও এখানে নারীরা শিক্ষা ও কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। 
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, এখানে যৌন হয়রানিসহ নানা কারণে নারীদের অবস্থা খুবই নাজুক। কেউ কোনো নারীকে নাজেহাল করলে অভিযোগ শোনার কেউ নেই।
বন্দী অবস্থায় থাকার সময় নির্যাতন, ধর্ষণসহ নানা যৌন হয়রানির শিকার হয় নারীরা। আর সেনাবাহিনীতে তা ব্যাপক হারে হয়ে থাকে।

অপুষ্টির শিকার শিশুরা
দেশটির শিশুরা স্কুলে গেলেও অনেককে অল্প দিনের মধ্যেই ঝরে পড়তে হয়। কারণ পরিবারকে সাহায্য করতে তাদের স্কুল ছাড়তে হয়। স্কুলের পাঠ্যক্রম দেশটির রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। খুব অল্প বয়স থেকে শিশুদের জানার পরিধিকে সীমিত করে দেওয়া হয়।
ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, ২ লাখ শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। আর এর মধ্যে ৬০ হাজার ‘গুরুতরভাবে অপুষ্টিতে’ ভুগছে।
তবে উত্তর কোরিয়া বরাবরই অধিকারবিষয়ক তাদের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা বলে, তাদের জনগণ ‘বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর মানবাধিকার’ পেয়ে গর্বিত। কিন্তু মানবাধিকারকর্মী অ্যাডামস বলেন, উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার হলো ‘তলাবিহীন গভীর কূপ’।

অ্যাডামস বলেন, ‘প্রত্যেকে তার নিজের স্বার্থ নিয়ে কথা বলার অপেক্ষায় আছে। কেউ উত্তর কোরিয়ার জনগণের স্বার্থ নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী নয়।’



উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক হচ্ছে না!!!!!

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক হচ্ছে না। ১২ জুন সিঙ্গাপুরে এই দুই নেতার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আজ বৃহস্পতিবার ওই বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাম্প এই বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। ট্রাম্প ওই বিবৃতিকে ‘প্রকাশ্যে শত্রুতা’ বলেও আখ্যা দেন।

বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, উনের সঙ্গে ১২ জুন বৈঠক করা যুক্তিযুক্ত হবে না। কিমের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্প বলেছেন, অন্য কোনো দিন কিমের সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় থাকবেন তিনি।

ট্রাম্পের বৈঠক বাতিলের বিপরীতে এখনো উত্তর কোরিয়ার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই নানা কথা চলছিল। এ বৈঠক ভেস্তে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছিল।

ট্রাম্প প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং-উনের বৈঠকের আগে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক চাইছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এ ছাড়া শীর্ষ দুই নেতার বৈঠকের আগেই উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসার নিশ্চয়তাও চাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র।

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। উত্তর কোরিয়া অবশ্য আগেই হুমকি দিয়েছিল—ওই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হলে তারা ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক থেকে সরে যাবে। আবার পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে যাওয়ার জন্য চাপ অব্যাহত রাখলেও একই পরিণতির হুমকি দিয়ে রেখেছিল পিয়ংইয়ং।

এর আগে ট্রাম্প নিজেই এক টুইট বার্তায় আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে কিম জং-উনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার অবশ্য ট্রাম্প বলেন, বৈঠকের জন্য উত্তর কোরিয়াকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যদি তারা সেটা না করে, তাহলে আগামী মাসের পরিবর্তে অন্য কোনো সময়ে বৈঠকটি হতে পারে। তবে কোনো নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি তিনি। 

বিবিসি জানিয়েছে, কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা কমাতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ডেকে তাঁদের সামনে একমাত্র পারমাণবিক পরীক্ষাকেন্দ্রের সুড়ঙ্গ ধ্বংস করেছে উত্তর কোরিয়া। এ স্থাপনার সুড়ঙ্গগুলো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া ছবিতেও দৃশ্যমান হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে বাছাই করা ২০ জন সাংবাদিক এ সুড়ঙ্গ ধ্বংসের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।

রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১০

দেশজুড়ে র‍্যাব ও পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে রোববার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময় রাজধানীসহ সাত জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরও ১০ নিহত হয়েছেন।

পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরায় মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন চারজন। বাকিদের মধ্যে পাঁচজন পুলিশের সঙ্গে ও একজন র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

এ নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর ১৪ দিনে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১০১। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই মাদক ব্যবসায়ী।

গতকাল রাতের বন্দুকযুদ্ধের পর দু-একটি ছাড়া প্রতিটি ঘটনাস্থল থেকেই ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য, দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করার হয় বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল বলেন, যতক্ষণ না মাদকের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে আসবে, তত দিন পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। এটি নিয়মিত অভিযান। মাদক নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত এই ‘যুদ্ধ’ অব্যাহত থাকবে।

চলমান ‘বন্দুকযুদ্ধ’ মাদকের আগ্রাসন বন্ধ করবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে গতকাল বলেন, ‘যে পদ্ধতি ভালো হয়, সেটাই করে যাব। আমরা কাউকে ছাড় দেব না। আমাদের এক সাংসদ (আমানুর রহমান খান) জেলে আছেন। প্রধানমন্ত্রী মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তাই মাদকবিরোধী অভিযান চলবে।’

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

কুমিল্লা: দেবীদ্বার ও সদর দক্ষিণ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন দেবীদ্বার উপজেলার পশ্চিম ভিংলাবাড়ি এলাকার এনামুল হক ভূইয়া প্রকাশ দোলন ওরফে দুলাল (৩৫)। আরেক জন হলেন সদর দক্ষিণ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মো.নূরু মিয়া (৫৫)। এর মধ্যে এনামুলের বিরুদ্ধে ১২টি এবং নূরুর বিরুদ্ধে ১১টি মাদকের মামলা রয়েছে। এনামুল জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। নূরুর নাম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক ব্যবসায়ীদের আগের তালিকায় রয়েছে বলে পুলিশ দাবি করছে। এ ঘটনায় দেবীদ্বার ও সদর দক্ষিণ মডেল থানায় পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা, মাদক ও অস্ত্র আইনে তিনটি করে মামলা হয়েছে।

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ডিবির ভাষ্য, নিহত ব্যক্তি রাজধানীর মিরপুরের চলন্তিকা বস্তির শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর নাম নজরুল ইসলাম ওরফে নজু সর্দার। তাঁর বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

পিরোজপুর: পুলিশের সঙ্গে পৃথক কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. ওহিদুজ্জামান (৩৭) ও মিজানুর রহমান সরদার (৩৫) নামের দুজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, দুজনই মাদক ব্যবসায়ী। নিহত ওহিদুজ্জামান নেছারাবাদ উপজেলার কৌড়িখাড়া গ্রামের এবং মিজানুর রহমান সরদার মঠবাড়িয়া উপজেলার খায়ের ঘটিচোরা গ্রামের বাসিন্দা। ডিবি পুলিশের ভাষ্য, গতকাল দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশ পিরোজপুর পৌরসভার কৃষ্ণপুর এলাকা থেকে ওহিদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে নিয়ে রাতে পুলিশ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে বের হয়। সদর উপজেলার টোনা বেইলি সেতু এলাকায় পৌঁছালে ওহিদুজ্জামানের সহযোগীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এতে ওহিদুজ্জামান গুলিবিদ্ধ হয়ে যারা যায়। আহত হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দুই সদস্য।

ডিবি পরিদর্শক এ কে এম মিজানুল হক জানান, ওহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আটটি মাদক মামলা রয়েছে। গতকাল পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত একটি মাদক মামলায় তাঁকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।

আরেকটি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন মিজানুর রহমান। পুলিশের দাবি মিজানুরের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকের ছয়টি মামলা রয়েছে। মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার জানান, উপজেলার বড়মাছুয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ি এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি গুলিতে মিজানুর নিহত হয়। আহত হয় ছয় পুলিশ সদস্য।

নাটোর: গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের ভাগনাগরকান্দি গ্রামের ভাটোপাড়া এলাকায় র‍্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবদুল খালেক (৩২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মাদক ভাগাভাগি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে র‍্যাব সেখানে গিয়েছিল। এ সময় দুই পক্ষের মধ্য গুলি বিনিময় হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনরে মৃতদেহ পাওয়া যায়। সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, নিহত আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে মাদক,চোরাচালান,অস্ত্র ও অপহরণসহ ২০টি মামলা রয়েছে। ঘটনার পর তার বুকে দুটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।

তবে খালেকের বাড়ির এক প্রতিবেশী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, গতকাল রাতে তারাবির নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে তারা শোনতে পান আব্দুল খালেককে কারা যেন ধরে নিয়ে গেছে। আজ সকালে তাঁরা জানতে পারেন খালেক বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে।

মুন্সিগঞ্জ: পৌর এলাকার কাজলা সেতু থেকে সুমন বিশ্বাস ওরফে কানা সুমন (৩২) নামের এক নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমন নৈদীঘির পাথর গ্রামের বাবুল বিশ্বাসের ছেলে। পুলিশের দাবি, মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মীরকাদিম পৌরসভায় দুই মাদক ব্যবসায়ী চক্রের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে সুমন নিহত হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন জানান, সুমনের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় ২৫টি মাদক মামলা রয়েছে।

ঝিনাইদহ: সদর উপজেলায় জাড়গ্রাম এলাকায় গতকাল রাতে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জাড়গ্রামের ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কে তাঁর লাশ উদ্ধার হয়। পুলিশ বলছে, দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর গোলাগুলিতে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। তবে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ জানাতে পারেননি।

সাতক্ষীরা: সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের আগুনপুর গ্রাম থেকে দুটি গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের পাশ থেকে একটি পিস্তল ও ১০৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তিরা হচ্ছেন খলিলুর রহমান ওরফে পুটে সরদার (৪০) ও এমদাদুল কারিগর (৪৫)। খলিলুর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তসংলগ্ন লক্ষ্মীদাড়ি গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। আর এমদাদুল সাতক্ষীরা শহরের মধুরডাঙ্গীর এরফান আলী কারিগরের ছেলে।

পুলিশের উপপরিদর্শক প্রবীর কুমার রায় জানান, নিহত দুজনের গলায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীদের নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে পৃথকভাবে এ দুজন নিহত হয়েছে।

নিহত পুটে সরদারের বাবা আজগর আলী জানান, একটি মামলায় পুটে গতকাল সাতক্ষীরা আদালতে হাজিরা দিতে যায়। আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে সাতক্ষীরা শহর থেকে দুপুর একটার দিকে সাদা পোশাকের কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। আজ সকালে শুনছেন ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।