sponsor

sponsor

Slider

Categories

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Blog Archive

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Archive

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Author Details

Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.

Breaking

Fashion

News

Food

Sports

Food

Technology

Featured

Sponsor

ads

Videos

Text Widget

Sample Text

Contact Form

Name

Email *

Message *

Categories

Breaking News

Popular

Responsive Ads Here

Popular Posts

Recent Tube

Business

Technology

Life & style

Games

Sports

Fashion

» »Unlabelled » চালে পাওয়া গেছে মাত্রাতিরিক্ত সিসা: ভয়ঙ্কর বিপদ

চাল, হলুদ ও এগ্রোকেমিক্যালে পাওয়া গেছে মাত্রাতিরিক্ত সিসা (লেড)। ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ এলাকা থেকে নেয়া ৩৮২টি এগ্রোকেমিক্যাল নমুনার মধ্যে ১২৯ জাতের চালে সিসা পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় ব্যবহৃত ১৭টি হলুদের নমুনা থেকে একটিতে মাত্রাতিরিক্ত সিসা ও ক্রোমিয়াম পেয়েছেন গবেষকেরা। সম্প্রতি আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা করেন। এ গবেষণাটি গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের পাবমেডি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। আইসিডিডিআরবির সাইফুল ইসলাম, পারভেজ, রাকিব, সাজাদুর রহমানসহ আটজন গবেষক সম্মিলিতভাবে গবেষণাটি করেন।

আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা ওই এলাকার মাটি, পানি, হলুদ, চাল, দেশীয় ওষুধ ও কৃষিজাত ও প্রক্রিয়াজাত পণ্যের বিভিন্ন ‘ক্যান’ পরীক্ষা করেছেন সিসার উপস্থিতি খুঁজে বের করতে।

আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা একই সাথে ৪৩০ জন গর্ভবতী মহিলার রক্ত পরীক্ষা করে ১৩২ জনের মধ্যে উচ্চমাত্রার সিসার উপস্থিতি পেয়েছেন। ক্যানজাত খাবার অথবা পণ্য থেকে গর্ভবতীরা ২.৫ শতাংশ বেশি সিসা পাচ্ছেন। ওই এলাকায় কীটনাশক হিসেবে ব্যবহৃত বাসুডিন থেকে ৩.৬ শতাংশের বেশি সিসা আসে মহিলাদের রক্তে। মেশিনে ভাঙানো চালে ৩.৩ শতাংশের বেশি এবং ২৮টি ক্যানজাত ফুডের মধ্যে পাঁচটিতেই পাওয়া গেছে মাত্রাতিরিক্ত সিসাযুক্ত রাং (ঝালাই করার রঙ)।

বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, সিসা শিশুদের মস্তিস্ক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে এবং ¯œায়ুবিক প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে থাকে। এ রাসায়নিকটি বয়স্কদের উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ ঘটায় এবং কিডনির ক্ষতি করে থাকে। গর্ভকালীন মায়েদের দেহে সিসার পরিমাণ বেশি থাকলে গর্ভপাত, মৃত বাচ্চা প্রসব বা ৩৭ সপ্তাহ অতিক্রমের আগেই শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। এসব শিশু কম ওজনের হয়ে থাকে এবং মায়ের গর্ভে শিশুর সঠিক গঠন হয় না।

এ ছাড়া সিসা গর্ভকালীন ও জন্মের পর শিশুর বোঝার ক্ষমতাকে নষ্ট করে। বিশ^ব্যাপী প্রতি বছর চার লাখ ৯৪ হাজার মানুষ সিসার ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে মারা যায়। তার ওপর প্রায় ৯৩ লাখ মানুষ সিসার কারণে দীর্ঘকালীন নানা সমস্যা যেমন নানা রকম দৈহিক বৈকল্যে ভোগে। বাংলাদেশেও মানুষ সিসার ক্ষতিকর প্রভাবে নানা দৈহিক ও মানসিক সমস্যা আক্রান্ত হচ্ছে।

বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, সিসা দেহের হাড় ও দাঁতে জমা হয়ে থাকে। পরে এটা লিভার, কিডনি ও ব্রেনে চলে যায়। এই রাসায়নিকটির বহুমাত্রিক টক্সিক (বিষাক্ত পদার্থ) দৈহিক সিস্টেমগুলোর ক্ষতি করে। সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। হাড়ে জমে থাকা সিসা গর্ভকালীন রক্তে চলে আসে এবং এটা মায়ের গর্ভে শিশুদের দৈহিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে।

সিসা ব্যবহার করা হয় মোটর গাড়িতে লেড এসিড ব্যাটারিতে, ঝালাই করার রাংয়ে, রঙ করা গ্লাসে, সিরামিকে, স্বর্ণালঙ্কারে, খেলনায়, কসমেটিকসে এবং দেশীয় ওষুধে। খাবার পানি প্রবাহিত করার পাইপেও সিসা ও রাং ব্যবহার করা হয়, সেখান থেকে মানব দেহে সিসা যেতে পারে।

«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply