শৈত্য প্রবাহ আসছে দেশে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আর তাপমাত্রা কমে আসায় শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, দেশের পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর, সৈয়দপুর ও টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এর জন্য রাজধানীতে তাপমাত্রা কমছে। তিনি জানান, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে শৈত্যপ্রবাহ বলে গণ্য করা হয়ে থাকে। এখন ঢাকায় ১৩ ডিগ্রি রয়েছে। আজ অথবা আগামীকালই রাজধানী ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহ নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে দুই দিনের হঠাৎ শীতে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে রাস্তার ধারে বসবাসকারী দরিদ্র মানুষরা। তাদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টায় ঢাকা ও আশপাশের এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে হাল্কা কুয়াশা পড়তে পারে। উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার। দিনের তাপমাত্রা হালকা হ্রাস পেতে পারে। সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ।
বিএনপির কর্মসূচির বিষয়ে সতর্ক থাকুন : হাছান মাহমুদ
আগামী ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র রক্ষা দিবসে দেশব্যাপী বিএনপির কর্মসূচির প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে ওই মিছিল থেকে বিএনপি দেশে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিরোধ করতেও বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-পরিষদের এক বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। এ সময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, গোলাম রব্বানী চীনু ও মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, সমাবেশের অনুমতি না পাওয়া সত্ত্বেও কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে তাঁরা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টির ছক এঁকেছে। তাই নেতা-কর্মীদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র রক্ষা দিবস উপলক্ষে ৬ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীতে বিএনপি জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাসের খণ্ডচিত্র প্রকাশ করা হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, এ উপলক্ষে একই স্থানে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সরকারের ৪ বছর পূর্তি ১২ জানুয়ারি উন্নয়নের খন্ডচিত্র প্রকাশ ও ১৪ জানুয়ারি সরকারের ৯ বছরের উন্নয়নের ডকুমেন্টারি প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
৫ জানুয়ারি ঘিরে উত্তেজনা
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের চতুর্থ বর্ষপূর্তির দিন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আবার উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি এদিন আলাদা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তবে বিএনপি এদিন রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি এখনো পায়নি। তবে দলটি বলছে, বিএনপি সমাবেশের সব প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে। তবে ডিএমপি সূত্র জানায়, এরই মধ্যে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি নামের একটি দলকে ৫ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে শেষ পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘পত্রিকায় এসেছে, একটা অপরিচিত নাম-গোত্রহীন ইসলামি পার্টিকে সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, এই সরকার আসলে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ভবিষ্যতে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার সব উদ্যোগকে বাধা দিচ্ছে।’
৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের পর থেকে দিনটিকে বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দিনটিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে।
গতকাল সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ৫ জানুয়ারির কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি শুক্রবার বিএনপি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ এবং দেশব্যাপী জেলা, মহানগর, উপজেলা পর্যায়ে কালো পতাকা মিছিল করবে।
রুহুল কবির বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে গত শনিবার বিএনপি পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছে। গতকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে বিএনপিকে কিছু জানানো হয়নি। তবে বিএনপি সমাবেশের সব প্রস্তুতি রাখছে।
গত বছরও বিএনপি ঢাকায় ৫ জানুয়ারির সমাবেশ করতে পারেনি। দলটি গত বছরের ৭ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না হলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কোথাও অনুমতি দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে ৫ জানুয়ারি সামনে রেখে গত রোববার নিজেদের কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। ওইদিন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর গুলশানে এবং মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে বিজয় শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করা হবে। সারা দেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা পর্যায়েও একই কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ।
৫ জানুয়ারি রাজধানীতে বড় শোডাউন করতে চায় বিএনপি
একতরফা নির্বাচনের দিন ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে বড় শোডাউন করতে চায় বিএনপি। তবে অনুমতি না মিললে ঘরোয়া আলোচনা সভা এবং তাও সম্ভব না হলে দেশব্যাপী কালো পতাকা প্রদর্শনের কর্মসূচি দিবে দলটি।
জানা গেছে, এর আগে ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে কঠোর আন্দোলন করে দফায় দফায় ব্যর্থ হওয়া বিএনপি এবার একেবারে শান্ত্মিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত্ম নিয়েছে। বিগত আন্দোলনের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারে প্রথমেই অলআউট আন্দোলনে না গিয়ে ধীরে ধীরে আন্দোলনকে বেগবান করতে চায় তারা।
বিএনপি সূত্রমতে, দলের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে আবারো কঠোর আন্দোলনে নামতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে খালেদা জিয়া তাতে রাজি হননি। কারণ, ২০১৫ সালের মতো আন্দোলন ব্যর্থ হলে বিএনপিকে তার মূল্য দিতে হবে; যার পরিণতি ভোগ করতে হবে অনেক বছর ধরে। এজন্য এবার একেবারেই শান্ত্মিপূর্ণ উপায়ে কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত্ম অনুযায়ী দলটি ৫ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে সমাবেশ করতে চায়। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে শিগগির আবেদন করা হতে পারে। একইভাবে ঢাকার বাইরের জেলা সদর ও মহানগরে সমাবেশ করার পরিকল্পনা আছে। সমাবেশের অনুমতি না দিলেও হরতাল বা অবরোধের মতো কর্মসূচি দিয়ে কঠোর অবস্থানে যাবে না বিএনপি। সেক্ষেত্রে মহানগরের থানায় থানায় বিক্ষোভ অথবা ঘরোয়াভাবে আলোচনা সভা করবে। পাশাপাশি ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস আখ্যা দিয়ে এই দিনটিতে কালো পতাকা হাতে যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ জানাবেন দলের নেতাকর্মীরা।
বিএনপির সিনিয়র এক নেতা বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাতে যেতে চায় না বিএনপি। তবে ব্যাপক জমায়েত ঘটিয়ে দিনটিতে কালো পতাকা হাতে রাজপথে থেকে কর্মসূচি করার প্রস্তুতি চলছে।
৫ জানুয়ারির কর্মসূচির বিষয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রম্নহুল কবির রিজভী যায়যায়দিনকে বলেন, গণতন্ত্র হত্যার এই দিনে বিএনপি অবশ্যই কর্মসূচি পালন করবে। তবে কী কর্মসূচি হবে তা এখনও চূড়ান্ত্ম হয়নি। দ্রম্নত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত্ম হবে।
একই বিষযে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, গণতন্ত্র হত্যা দিবসের এ দিনটির প্রতিবাদে কর্মসূচি করা গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে ঢাকায় সমাবেশসহ দিনটিতে কালো পতাকা হাতে নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার শান্ত্মিপূর্ণ কর্মসূচি নেয়া হতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ জানুয়ারি শান্ত্মিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত্ম থাকলেও পর্যায়ক্রমে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। বিশেষ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের বিষয়টি দেখে কর্মসূচি দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত্ম সংঘাতপূর্ণ কোনো কর্মসূচিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত্ম আছে তাদের। এই মামলাগুলোর রায় খালেদা জিয়ার বিপক্ষে গেলে কালবিলম্ব না করে বড় ধরনের আন্দোলনের যাবে বিএনপি। যার ধারাবাহিকতা থাকতে পারে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত্ম। আর মামলার রায় যদি খালেদা জিয়ার পক্ষে আসে সেক্ষেত্রে সমঝোতার মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের ইসু্যটি সমাধানের জন্য সরকারকে আরো সময় দিবে। আর তাতেও কাজ না হলে আগামী জুলাই-আগস্টে অলআউট আন্দোলনে যাবে বিএনপি।
প্রসঙ্গত, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বন্ধে ২০১৩ সালের শেষ দিকে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরম্ন করে বিএনপি। হরতালের পাশাপাশি লাগাতার অবরোধ কর্মসূচিও ঘোষণা করে দলটি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরও বেশ কিছু দিন আন্দোলন অব্যাহত রাখে দলটি। পরে আন্দোলন থেকে সরে এলেও নির্বাচনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আবারও কর্মসূচিতে যায় তারা। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সভা করতে না দেয়ায় ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি আবারও অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। কর্মসূচি চলাকালে বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হন দলের অধিকাংশ শীর্ষ নেতা। ফলে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে বিএনপি। এরপর থেকে আর কোনো আন্দোলন যেতে পারেনি দলটি।
জেরুজালেম ইস্যু,মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তুরস্ক ও সৌদির
অনলাইন ডেস্ক : জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার মার্কিন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম এবং সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল্লাজিজ। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এবং সৌদি বাদশাহ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রিয়াদে এক বৈঠকে জেরুজালেমের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের ভাইদের অধিকার রক্ষায় মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক এবং সৌদি আরব। উভয় দেশই জেরুজালেম বিষয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন। এই সিদ্ধান্তের বিরদ্ধে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান একে মুসলিমদের জন্য সতর্কবার্তা বলে উল্লেখ করেন এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের হুমিক দেন। অপরদিকে সৌদি বাদশাহ একে ভয়ংকর পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন এটি বিশ্বের মুসলিমদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে জেরুজালেম বিষয়ে ভোটাভূটি হয়। সেখানে ট্রাম্পের এ ঘোষণাকে বাতিল গণ্য করা হয়। জাতিসংঘের এই রেজ্যুলেশন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি একটি শক্ত বার্তা হিসেবে মনে করেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এবং সৌদি বাদশাহ। সূত্র: আল-জাজিরা