sponsor

sponsor

Slider

Categories

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Blog Archive

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Archive

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Author Details

Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.

Breaking

Fashion

News

Food

Sports

Food

Technology

Featured

Sponsor

ads

Videos

Text Widget

Sample Text

Contact Form

Name

Email *

Message *

Categories

Breaking News

Popular

Responsive Ads Here

Popular Posts

Recent Tube

Business

Technology

Life & style

Games

Sports

Fashion

সোনার দাম কমছে

বিশ্ববাজারে দাম হ্রাস পাওয়ায় দেশের বাজারে সোনার দর ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা পর্যন্ত কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সোনার নতুন দর আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে। 
সর্বশেষ গত মার্চে সোনার দর ভরিতে ১ হাজার ২৮৩ টাকা কমেছিল। এর আগে গত ১০ জানুয়ারিতে ভরিতে ১ হাজার ৩৯৯ টাকা ও ২৬ জানুয়ারি ১ হাজার ৫১৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছিল। 
দর হ্রাস পাওয়ায় কাল বৃহস্পতিবার থেকে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট সোনা ৪৯ হাজার ৮০৬ টাকা, ২১ ক্যারেট ৪৭ হাজার ৫৩১ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট সোনা বিক্রি হবে ৪২ হাজার ৪৫৭ টাকায়। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি বেড়ে দাঁড়াবে ২৭ হাজার ৫৮৬ টাকা।
আজ বুধবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ৫০ হাজার ৯৭২ টাকা, ২১ ক্যারেট ৪৮ হাজার ৬৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৪৩ হাজার ৬২৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি ২৬ হাজার ৪১৯ টাকায় বিক্রি হয়। দর পুনর্নির্ধারণ করায় প্রতি ভরি ২২, ২১ ও ১৮ ক্যারেট সোনার ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা দাম কমছে। অন্যদিকে ও সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি বাড়বে ১ হাজার ১৬৭ টাকা। তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত থাকবে, প্রতি ভরি ১ হাজার ৫০ টাকা। 
গত মার্চে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) সোনার দাম ছিল ১ হাজার ৩১১ ডলার। আজ বুধবার রাত আটটার দিকে প্রতি আউন্সের দাম ছিল ১ হাজার ২৭৪ ডলার।

রাশিয়ার বিমান হামলা, সিরিয়ায় নিহত ৪৪

সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশের একটি গ্রামে বিমান হামলার ঘটনায় অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতের ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে ছয় শিশুও রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বিমান হামলাটি চালিয়েছে রাশিয়া।

শুক্রবার একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, গত এক বছরে বিমান হামলায় একদিনে এটাই সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা। এর আগে একসঙ্গে এতগুলো মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

পর্যবেক্ষণ সংস্থাটির প্রধান রামি আবদেল রহমান জানান, ইদলিবের উত্তরের জারদানা গ্রামে গত রাতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বিমান হামলাটি চালিয়েছে রাশিয়া।

তিনি আরো বলেন, এতে এই এলাকায় গত এক বছরের মধ্যে একদিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে ১১ জন নারী এবং ছয় শিশু রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সংবাদপত্রেও বলা হচ্ছে, কোনো ধরনের বিমান হামলার সঙ্গে রাশিয়া সম্পৃক্ত নয়।

তবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওই পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার পক্ষে বলা হচ্ছে, ওই হামলা রাশিয়া ছাড়া অন্য কেউ চালায়নি। এতে অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশ শঙ্কাজনক। 

২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে দাম বাড়ছে যে সকল পণ্যের!

আগামী অর্থবছরে বেশকিছু পণ্যের ওপর সম্পুরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাবে দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত বিলাশ দ্রব্যের ব্যবহার হ্রাস ও দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় আমদানিপণ্যের ওপর এই শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন।

অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে দাম বাড়তে পারে এনার্জি ড্রিংক, প্রসাধন সামগ্রী, সানস্ক্রিন সানগ্লাস, আফটার শেভ লোশন, সিগারেট, সিরামিক বাথটাব, ফিলামেন ল্যাম্প, পলিথিন, ১ হাজার থেকে ১৬০০ স্কয়ার ফিট ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন ফি, লিপস্টিক, পুরনো ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রশন ফি, আমদানি মোবাইল ফোন, বিদেশি চকোলেট, কফি, গ্রিন টি, আমদানি করা বাদাম, আমদানি মধু, ইউপিএস, আইপিএস, স্টাবিলাইজার, ছাপাখানার পণ্য, প্লাস্টিক ব্যাগ, মোবাইল ব্যাটারি চার্জার, নেলপলিশ, অ্যালকোহল বিক্রয়কারী হোটেল রেস্তোরাঁর সেবার মান, হেলিকপ্টার সেবা, বিড়ি, জর্দা, গুল, সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন কেনাকাটায়।

বিশ্বকাপ মাতাবে ইরানের মেসি!

বর্তমানের সেরা ফুটবলার কে? এক বাক্যে অধিকাংশই বলবেন লিওনেল মেসি, রোনালদো কিংবা নেইমারের নাম? কারণ মাঠে তাদের জাদুকরি খেলা দেখে যে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। এদের মধ্যে এগিয়ে আর্জেন্টাইন তারকা। তাই তো দুর্বল কোনো দেশের বড় তারকাকে দেশটির অনেকেই মেসি বলেই ডাকেন। সরদার আজমুন তেমনই একজন।

মেসির তকমা পাওয়া সরদার আজমু ইরান জাতীয় দলের হয়ে ৩২ ম্যাচে করেছেন ২৩ গোল। গত বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম গোল ছিল ইরানের, মাত্র ৮টি। আর এবার রাশিয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আজমুনের একারই ১১টি গোল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিশ্বকাপে তার জাদুকরি ফুটবল দেখতে পাবে পুরো বিশ্ব।

রাশিয়ান ক্লাব রোস্তভের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগেই নিজের ঝলক দেখিয়েছেন এই ইরানিয়ান। ২০১৬-১৭ মৌসুমে গ্রুপ পর্বে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-২ গোলে হারায় রোস্তভ। সেই ম্যাচের অন্যতম সেরা পারফরমার ছিলেন আজমুন। ইউরোপের অনেক তারকা ক্লাব তাকে পেতে আগ্রহ দেখিয়েছে, কিন্তু দুইয়ে দুইয়ে শেষ পর্যন্ত চার হয়নি। তবে বিশ্বকাপে স্বরূপে ফিরতে পারলে চাহিদার তুলনায় আরও ভালো ক্লাব পেতে পারেন আজমুন- তা যে আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

কিন্তু সেটা পরের কথা। পর্তুগাল, স্পেন, মরক্কোর গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোতে জায়গা পেতে ইরানিরা তাকিয়ে আজমুনের দিকে। এখন সময়ই বলে দেবে তিনি ইরানিদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন কিনা। যদিও এই মুহূর্তে তাঁকে এশিয়ার সেরা স্ট্রাইকারও বলা হচ্ছে। ‘ইরানিয়ান মেসি’ খ্যাতি পেয়েছেন তো আরো আগেই। জাতীয় দলের হয়ে তাঁর গোল করার হারই বলছে তাঁকে নিয়ে সব। ইরানের ফুটবল ইতিহাসে এ পর্যন্ত যা সর্বোচ্চ। ১০৯ গোল করা আলী দায়িকেও একসময় ছাড়িয়ে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানিদের দাবি, আজমুন এমন একজন ফরোয়ার্ড, যিনি দৌড়ান মেসির মতো আর হেড করেন ইব্রাহিমোভিচের মতো। কিন্তু পার্থক্য হলো তিনি রাশিয়ান ক্লাব রুবিন কাজানে খেলেন। তাই তো তাদের সেরা খেলোয়াড় খেলেন না ইউরোপের শীর্ষ কোনো লিগে বড় কোনো ক্লাবে খেলেন বলে আক্ষেপে। যদিও তাঁদের বিশ্বাস এবারের বিশ্বকাপ দিয়েই আজমুন তার ঠিকানা বদলে ফেলবেন।

যৌনকর্মীদের সঙ্গে রাতভর উদ্দাম উৎসবে মেক্সিকান ফুটবলাররা!

আর মাত্র ৭ দিন পরেই শুরু হবে রাশিয়া বিশ্বকাপ। ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যেও রাশিয়া বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনা বেড়ে চলেছে। এদিকে, শেষ সময়ে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে মেক্সিকোর ফুটবলাররা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মেক্সিকোর বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ফুটবলাররা ৩০ জন যৌনকর্মীর সঙ্গে রাত কাটিয়ে সম্প্রতি জয় উদযাপন করেছে তারা। রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে প্রীতি ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারায় মেক্সিকোর ফুটবল দল।  তারপরই ৩০ জন যৌনকর্মীকে নিয়ে রাতভর উদ্দাম উৎসবে মেতেছিল ফুটবলাররা।
যদিও এরআগেও ম্যাচে জিতে হোটেলে যৌনকর্মীদের নিয়ে এসে ৬ মাসের জন্য নির্বাসনের মুখে পড়েছিল মেক্সিকান ফুটবলাররা। তবে এবারে কোনো শাস্তির সামনে পড়তে হচ্ছে না মেক্সিকোর ফুটবলারদের। কারণ, মেক্সিকান ফুটবলের কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, ওরা ফ্রি-টাইমেই এসব করেছে। এই ‘সেক্স পার্টির’ জন্য মেক্সিকান ফুটবলাররা ট্রেনিং মিস করেননি।  
এ ব্যাপারে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি কান্টু জানান, যেসব ফুটবলার এই পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন তাদের শাস্তি দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, ওরা ট্রেনিং মিস করেনি। একটা ছুটির দিন মানে ছুটির দিন। ফুটবলাররাই ঠিক করবেন তারা কিভাবে সে দিনটা কাটাবেন।
সূত্রে বলা হয়, বিশ্বকাপ খেলা সামনে রেখে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন এই ইস্যুতে ঝামেলায় যেতে চায়নি। তাই খেলোয়াড়দের পক্ষে তাদের বক্তব্য যে, ফুটবলাররা অবসর সময় পাওয়াতেই উৎসব করেছে।

নাসায় যাচ্ছেন শাহরুখ খান

 

নাসায় যাচ্ছেন বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান। একা যাচ্ছেন না, আনুশকা শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন কিং খান। এমন তথ্যই জানিয়েছে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম।

জানা গেছে, শাহরুখ-আনুশকা জুটির পরবর্তী ছবি ‘জিরো’র চিত্রায়ণে নাসায় যাচ্ছেন তারা। শিগগির যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাবে টিম। সেখানে টানা ৪৫ দিন চিত্রায়ণ হবে ছবিটির। এর মধ্যে নাসাতেও চিত্রায়ণের পরিকল্পনা করছেন পরিচালক আনন্দ এল রায়।

এর আগে ‘স্বদেশ’ ছবির চিত্রায়ণেও নাসায় গিয়েছিলেন শাহরুখ খান। ‘জিরো’ ছবিতে খর্বাকৃতি একজন ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করছেন শাহরুখ। অন্যদিকে, একজন বিজ্ঞানীর চরিত্রে দেখা যাবে আনুশকাকে।

চালে পাওয়া গেছে মাত্রাতিরিক্ত সিসা: ভয়ঙ্কর বিপদ

চাল, হলুদ ও এগ্রোকেমিক্যালে পাওয়া গেছে মাত্রাতিরিক্ত সিসা (লেড)। ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ এলাকা থেকে নেয়া ৩৮২টি এগ্রোকেমিক্যাল নমুনার মধ্যে ১২৯ জাতের চালে সিসা পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় ব্যবহৃত ১৭টি হলুদের নমুনা থেকে একটিতে মাত্রাতিরিক্ত সিসা ও ক্রোমিয়াম পেয়েছেন গবেষকেরা। সম্প্রতি আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা করেন। এ গবেষণাটি গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের পাবমেডি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। আইসিডিডিআরবির সাইফুল ইসলাম, পারভেজ, রাকিব, সাজাদুর রহমানসহ আটজন গবেষক সম্মিলিতভাবে গবেষণাটি করেন।

আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা ওই এলাকার মাটি, পানি, হলুদ, চাল, দেশীয় ওষুধ ও কৃষিজাত ও প্রক্রিয়াজাত পণ্যের বিভিন্ন ‘ক্যান’ পরীক্ষা করেছেন সিসার উপস্থিতি খুঁজে বের করতে।

আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা একই সাথে ৪৩০ জন গর্ভবতী মহিলার রক্ত পরীক্ষা করে ১৩২ জনের মধ্যে উচ্চমাত্রার সিসার উপস্থিতি পেয়েছেন। ক্যানজাত খাবার অথবা পণ্য থেকে গর্ভবতীরা ২.৫ শতাংশ বেশি সিসা পাচ্ছেন। ওই এলাকায় কীটনাশক হিসেবে ব্যবহৃত বাসুডিন থেকে ৩.৬ শতাংশের বেশি সিসা আসে মহিলাদের রক্তে। মেশিনে ভাঙানো চালে ৩.৩ শতাংশের বেশি এবং ২৮টি ক্যানজাত ফুডের মধ্যে পাঁচটিতেই পাওয়া গেছে মাত্রাতিরিক্ত সিসাযুক্ত রাং (ঝালাই করার রঙ)।

বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, সিসা শিশুদের মস্তিস্ক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে এবং ¯œায়ুবিক প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে থাকে। এ রাসায়নিকটি বয়স্কদের উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ ঘটায় এবং কিডনির ক্ষতি করে থাকে। গর্ভকালীন মায়েদের দেহে সিসার পরিমাণ বেশি থাকলে গর্ভপাত, মৃত বাচ্চা প্রসব বা ৩৭ সপ্তাহ অতিক্রমের আগেই শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। এসব শিশু কম ওজনের হয়ে থাকে এবং মায়ের গর্ভে শিশুর সঠিক গঠন হয় না।

এ ছাড়া সিসা গর্ভকালীন ও জন্মের পর শিশুর বোঝার ক্ষমতাকে নষ্ট করে। বিশ^ব্যাপী প্রতি বছর চার লাখ ৯৪ হাজার মানুষ সিসার ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে মারা যায়। তার ওপর প্রায় ৯৩ লাখ মানুষ সিসার কারণে দীর্ঘকালীন নানা সমস্যা যেমন নানা রকম দৈহিক বৈকল্যে ভোগে। বাংলাদেশেও মানুষ সিসার ক্ষতিকর প্রভাবে নানা দৈহিক ও মানসিক সমস্যা আক্রান্ত হচ্ছে।

বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, সিসা দেহের হাড় ও দাঁতে জমা হয়ে থাকে। পরে এটা লিভার, কিডনি ও ব্রেনে চলে যায়। এই রাসায়নিকটির বহুমাত্রিক টক্সিক (বিষাক্ত পদার্থ) দৈহিক সিস্টেমগুলোর ক্ষতি করে। সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। হাড়ে জমে থাকা সিসা গর্ভকালীন রক্তে চলে আসে এবং এটা মায়ের গর্ভে শিশুদের দৈহিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে।

সিসা ব্যবহার করা হয় মোটর গাড়িতে লেড এসিড ব্যাটারিতে, ঝালাই করার রাংয়ে, রঙ করা গ্লাসে, সিরামিকে, স্বর্ণালঙ্কারে, খেলনায়, কসমেটিকসে এবং দেশীয় ওষুধে। খাবার পানি প্রবাহিত করার পাইপেও সিসা ও রাং ব্যবহার করা হয়, সেখান থেকে মানব দেহে সিসা যেতে পারে।

কে সবচেয়ে দামি ফুটবলার???

বিশ্বকাপের বছরে অনেক তারকা ফুটবলারের বাজারদর হঠাৎ করে বেড়ে যায়, আবার কারো কমে যায়। বিশ্বকাপ শুরুর আগে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ফুটবল গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্পোর্টস স্টাডিজ (সিইএস) নিজস্ব জরিপের ভিত্তিতে প্রকাশ করেছে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারদের তালিকা।

আগামী মৌসুমে যাদের বাজারদর থাকবে অনেক উঁচুতে। বিস্ময়করভাবে এ তালিকায় প্রথম ২০ জনের মধ্যে নাম নেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর! তিনি আছেন ২৪ নম্বরে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় এখন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন। টটেনহ্যাম ফরোয়ার্ডের সম্ভাব্য বাজারমূল্য ২০১.২ মিলিয়ন ইউরো। এমনকি লিওনেল মেসিও এ তালিকায় চার নম্বরে। দু’নম্বরে আছেন নেইমরা। তার বাজারমূল্য ১৯৫.৭ মিলিয়ন ইউরো।
তিন নম্বরে থাকা ফ্রান্সের উদীয়মান তারকা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পের দাম ১৮৬.৫ মিলিয়ন ইউরো। মেসির দাম ধরা হয়েছে ১৮২.২ মিলিয়ন ইউরো। তার পেছনেই আছেন মোহামেদ সালাহ। মিসর ও লিভারপুল তারকার দাম ১৭১.৩ মিলিয়ন ইউরো।

এছাড়া শীর্ষ দশে আছেন ডেলে আলি, কেভিন ডি ব্রুইন, আঁতোয়া গ্রিজমান, পাওলো দিবালা এবং রোমেলু লুকাকু। ২০ নম্বরে আছেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। ২৪ নম্বরে থাকা রোনাল্ডোর বর্তমান বাজারদর ১০৩.৪ মিলিয়ন ইউরো।



ফুটবলার হলে বোল্ট হতেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ!

পেশাদার ফুটবলার হলে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর সম্মিলিত দক্ষতা থাকতো বলে দাবি করেছেন স্প্রিন্ট কিং উসাইন বোল্ট।

মেসি কিংবা রোনাল্ডো হতে চান কিনা- প্রশ্নের জবাবে আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ভাইভাকে কিংবদন্তী এই স্প্রিন্ট সুপারস্টার বলেন, ‘আমি হতাম তাদের দুই জনের ভালো সংমিশ্রণ। এই দুই জনের মেধার সংমিশ্রনে যা হতো সেটি হতাম আমি। যার সঙ্গে আমার গতিকে কাজে লাগিয়ে আমি হতাম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ।’

বোল্ট প্রায়ই স্বপ্ন দেখেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ফুটবল খেলার। বিশ্বের দ্রুততম এই মানব বলেন, ‘তারা যদি আমাকে ডেকে বলতো, এখন আমাদের তোমাকে দরকার, তাহলে পরের ফ্লাইটেই আমি ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে উড়াল দিতাম।’

সাবেক ফুটবলার উইয়াহ লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট
রয়টার্স

আফ্রিকার একমাত্র ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার জর্জ উইয়াহ লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৫ সালে ইউরোপের বাইরের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি’অর জেতেন পিএসজি ও এসি মিলানের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার উইয়াহ। ১৮ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ার শেষ হয় ২০০৩ সালে। পরে যোগ দেন রাজনীতিতে। বর্তমানে তিনি লাইবেরিয়ার পার্লামেন্টের একজন সিনেটর।

বৃহস্পতিবার লাইবেরিয়ার জাতীয় নির্বাচন কমিশন উইয়াহকে জয়ী ঘোষণা করে। ৯৮.১ শতাংশ ভোট গণনা শেষে ৫১ বছর বয়সী উইয়াহ ৬১.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। উইয়াহকে বিজয় ঘোষণার পর রাজধানী মনরোভিয়ায় তার সমর্থকেরা উৎসব শুরু করেছেন। লাইবেরিয়ার নির্বাচিত প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন স্যারলিফের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।

নির্বাচনে জয়লাভের পর এক টুইটে তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় লাইবেরিয়াবাসী, পুরো জাতির জন্য আমি আবেগাপ্লুত। আমাকে আজ যে বিশাল দায়িত্ব দেয়া হলো তার গুরুত্ব ও দায়দায়িত্ব আমি বুঝতে পারছি।’ নব্বইয়ের দশকে উইয়াহ ছিলেন বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন। তিনি ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার পুরস্কারও জিতেছেন।

১৯৮৮ সালে মোনাকোর হয়ে খেলতে প্রথম ইউরোপে আসেন উইয়াহ, সেখানে তিনি ৪৭ গোল করেন। মোনাকো থেকে ফ্রান্সেরই আরেক দল পিএসজিতে যোগ দিয়ে ১৯৯৪ সালে লিগ শিরোপা জেতেন। পরের বছর হন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা। সে বছরই যোগ দেন ইতালির দল এসি মিলানে। এসি মিলানের হয়ে প্রথম মওসুমেই জেতেন সেরি আর শিরোপা। দ্বিতীয়বার জেতেন ১৯৯৯ সালে। পরে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। অল্প সময়ের জন্য খেলেন চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটিতে।

১৯৯৫ সালের আগে ইউরোপের বাইরে কোনো ফুটবলারকে ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করার হতো না। নিয়ম বদলানোর পর উইয়াহ তা জেতেন। তার পর আফ্রিকার আর কোনো ফুটবলার এ সম্মান পাননি। তবে কাবে দারুণ সাফল্য পেলেও কখনো বিশ্বকাপের চূড়ান্তে পর্বে খেলা হয়নি তার।

মেসির কোলে ছাগল কেন? তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়ায় ...

যোগাযোগ ফুটবল রাজপুত্র লিওনেল মেসির কিছু ছবি ঘোরাফেরা করছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ছাগল কোলে, কাঁধে নিয়ে পোজ দিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। এতো কিছু থাকতে ছাগল নিয়ে কেন ছবি তুলেছেন মেসি?
উত্তর - বিশ্বকাপ শুরুর আগে একটি ম্যাগাজিনের জন্য ছবিগুলো তুলেছেন মেসি।
তবে মজার ব্যাপার হলো, ছাগল নিয়ে মেসির এই ছবি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিলেও, তিনি কিন্তু রসিকতা করে যাচ্ছেন।
অনেকেই যখন তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে মানেন। তিনি কিন্তু তা মনে করেন না। নিজেকে মাটির কাছেই রাখছেন তিনি। বলেছেন, 'Goat নিয়ে ছবি তুললেও নিজেকে G.O.A.T (গ্রেটেস্ট অফ অলটাইম) মানি না।'


তবে মেসির এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে। মেসির কথায়, 'ছোটবেলা থেকেই জন্তু জানোয়ার আমার খুবই প্রিয়। ছাগলগুলোকে নিয়ে ছবি তুলে দারুণ লাগল।'

এরপরই মেসি বলেন, 'আমি নিজেকে সেরা বলে মানি না। আমি একজন খেলোয়াড় মাত্র।'

দ্রুত চিকিৎসা না হলে খালেদা জিয়া পঙ্গু-দৃষ্টিহীন হতে পারেন:

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। দ্রুত চিকিৎসা করা না হলে তিনি পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন, দৃষ্টিহীন হয়ে যেতে পারেন। সরকার চায় তিনি পঙ্গু হয়ে যান, দৃষ্টিহীন হয়ে যান। 

নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা রাজনীতি করি। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারি। কিন্তু শত্রু তো নই। সরকার যেভাবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আচরণ করছে তা কোনোভাবে আশা করা যায় না। খালেদা জিয়াকে আপনারা ভয় পান বলেই এসব করছেন। কারণ তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তাকে মুক্ত করে আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়ায় না হলে আমরা অন্য পন্থায় যাবো। 


আর সে পন্থা হবে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক আন্দোলন। আগামী দিনে শক্তিশালী আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
 সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রমিকদল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম প্রমুখ।

নজরুল বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তাকে মুক্ত করার জন্য যা করা প্রয়োজন আমাদের তাই করতে হবে। তার জন্য সর্বোচ্চ যে পর্যায়ে যাওয়া প্রয়োজন সেখানেই যেতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার। গণতন্ত্র শেষ, বিচার বিভাগ শেষ, পার্লামেন্ট আগে থেকেই নেই। শেয়ারবাজার, ব্যাংক লুট করেছে। এসবের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলন করছিলেন বলেই তাকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে। একটি পরিত্যাক্ত কারাগারে বন্দী তিনি। সে কারাগারে আর কোনো কয়েদি নেই। তিনি অসুস্থ। তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়ার সুপারিশ করেছিলো ডাক্তারেরা। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। চিকিৎসা দেয়া হয়নি। 

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমরা আইয়ুব খান এবং ইয়াহিয়া খানের পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু আজ আমাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী। যারা ১৯৭৫ সালে গণতন্ত্র হরণ করেছিল এবং ১৯৮২ সালে যারা গণতন্ত্র হরণ করেছিল তারা এক হয়েছে। তাদের পতন ঘটাতে হবে।

নেতা কিম জং–উনের শাসনে কতটা ভালো আছে উত্তর কোরিয়ার জনগণ?

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে ১২ জুন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের ঐতিহাসিক বৈঠক। ধারণা করা হচ্ছে আলোচনার টেবিলে মূল বিষয় হয়ে উঠবে কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ করার বিষয়টি। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, উত্তর কোরিয়ার লোকজন প্রতিনিয়ত, ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে; অথচ তাদের মানবাধিকারের বিষয়টি আলোচনার টেবিলে নিশ্চিতভাবেই ঠাঁই পাবে না। উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ অবস্থা এখন কেমন—তা নিয়ে আজ রোববার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। সেখানকার উল্লেখযোগ্য কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।

সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণে:
পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়াকে তিন প্রজন্ম ধরে কিম পরিবার শাসন করে আসছে। এখানকার জনগণকে বর্তমান শাসক কিম জং-উনসহ এই পরিবারের প্রতি পুরোপুরি অনুগত থাকতে হয়। এখানকার সরকার নাগরিকদের ওপর ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি করে। শুধু যে জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করে তা-ই নয়, কঠোরভাবে অর্থনীতিকেও নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন দেশটিতে খাদ্য, জ্বালানিসহ মৌলিক পণ্যের ব্যাপক ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও সরকার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ঢালে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বিবিসিকে বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া কেবল ব্যয়বহুল পরমাণু কর্মসূচির উন্নয়নই করতে পারে, কারণ এটি একটি সর্বগ্রাসী রাষ্ট্র। এটি করতে গিয়ে দেশটির সরকার উত্তর কোরিয়ার ক্ষুধার্ত জনগণের খাবার কেড়ে নেয়।’

গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ
বলা হয় বিশ্বে সবচেয়ে শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমকে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)-এর ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে দেশটির অবস্থান সবচেয়ে নিচের দিকে।
উত্তর কোরিয়ার জনগণ মূলত রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের কাছ থেকে সব ধরনের খবর, বিনোদন ও তথ্য পেয়ে থাকে। সেসব খবরে থাকে সরকারের অবিরাম প্রশংসা। আরএসএফের তথ্য অনুযায়ী, কেউ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কোনো খবর দেখলে, শুনলে বা পড়লে, তাকে কারাগারেও পাঠানোর ঘটনা ঘটে। 
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক গবেষক আর্নল্ড ফ্যাং বিবিসিকে বলেন, ‘এখানে মোবাইলে কথা বলা যায়। তবে দেশের বাইরে ফোন করা খুব সহজ নয়।’
এ ছাড়া এখানে ইন্টারনেটও সবার জন্য সহজলভ্য নয়। রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে কতিপয় অভিজাত ব্যক্তি শুধু তা ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেখানেও রয়েছে সীমাবদ্ধতা। দেশটির নিজস্ব ইন্টারনেট রয়েছে। তবে বেশির ভাগ মানু্ষই অনলাইনে ঢোকে না।

ধর্মীয় স্বাধীনতা
দেশটির সংবিধান অনুযায়ী ‘নিজস্ব বিশ্বাস বজায়’ রাখার অধিকার আছে। দেশটিতে বৌদ্ধ, সামানিস্ট ও চন্দোইজমে বিশ্বাসী লোকজন রয়েছে, এমনকি রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রিত গির্জাও আছে। কিন্তু ফ্যাং বলেছেন, এগুলো সবই লোক দেখানো। সত্যি হলো, এখানে কোনো ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই। এখানে প্রত্যেককে কিম পরিবারের বন্দনা করতে শেখানো হয়।
২০১৪ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গির্জার বাইরে অন্য গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা উপাসনা করায় তাদের ‘নিপীড়ন ও গুরুতর শাস্তি’ দেওয়া হয়।

কারা ক্যাম্প ও বন্দিদশা
বলা হয়, উত্তর কোরিয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্মুক্ত কারাগার। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটিতে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ কারাগারে আছে। যেকোনো কিছুর জন্য এখানে কারাদণ্ড হতে পারে। যেমন কেউ দক্ষিণ কোরিয়ার ডিভিডি দেখলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়বলা হয়, উত্তর কোরিয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্মুক্ত কারাগার। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটিতে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ কারাগারে আছে। যেকোনো কিছুর জন্য এখানে কারাদণ্ড হতে পারে। যেমন কেউ দক্ষিণ কোরিয়ার ডিভিডি দেখলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আর রাজনৈতিক অপরাধের দায়ে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খনিতে বা গাছ কাটার কাজ করতে হয় বন্দীকে।
অ্যামনেস্টি জানায়, কারারক্ষীরা বন্দীদের নানাভাবে নির্যাতন করে। নারীদের ওপর যৌন নিপীড়নসহ জোরজবরদস্তি চালানো হয়। এখানে একজন অপরাধ করলে পুরো পরিবারকে অপরাধী হিসেবে শাস্তি দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় অহরহ। এমনকি প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদও দেওয়া হয়।

বিদেশি বন্দী
দেশটিতে রাজনৈতিক কারণে বিদেশিদের গ্রেপ্তার করে লম্বা সময় বন্দী করে রাখা হয়। পরে সুযোগ বুঝে তাদের ব্যবহার করা হয়। যেমন রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তিন মার্কিন নাগরিককে কারাগারে লেবার ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হতে যাওয়া ঐতিহাসিক বৈঠকের অংশ হিসেবে সম্প্রতি তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এখনো দেশটিতে দক্ষিণ কোরিয়ার ছয় নাগরিক আটক আছেন। অন্যদিকে ১৯৭০-এর দশকে উত্তর কোরিয়া থেকে ১৩ জাপানিকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাদের জাপানি ভাষায় গুপ্তচরদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে বলা হয়। এমনকি সে সময় উত্তর কোরিয়ার চলচ্চিত্র তৈরির জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত এক অভিনেত্রী ও তাঁর সাবেক স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছিল। তবে তাঁরা পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন।

জোরপূর্বক শ্রম
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক বিশাল সংখ্যক লোককে জীবনের কোনো একটা সময়ে বিনা মূল্যে কাজ করতে হয়। উত্তর কোরিয়া থেকে বেরিয়ে এসেছে—এমন এক সাবেক শিক্ষার্থী এইচআরডব্লিউকে বলেছে, বছরে তাদের দুই বার স্কুল থেকে জোর করে বিনা মূল্যে খেতে-খামারে কাজ করতে পাঠানো হতো। চাষবাস ও ফসল কাটার এক মাস করে তাদের কাজ করতে হতো।
দেশটি খুবই কম পারিশ্রমিকের বিনিময়ে হাজারো মানুষকে চীন, কুয়েত, কাতারে কাজ করতে পাঠায়। তাদের অনেককেই সেখানে ক্রীতদাসের মতো জীবনযাপন করতে হয়। তারা সেখান থেকে নামমাত্র যে বেতন পায়, তার সিংহভাগই রাষ্ট্র কেড়ে নেয়। তবে এসব দেশ জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার কারণে এখন উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের ওয়ার্ক ভিসা নবায়ন করছে না।

নারী অধিকার
নারীদের প্রতি বৈষম্য এখানে চরম। তবে ছেলেমেয়ের মধ্যে এই বৈষম্য পরিমাপের কোনো মাপকাঠি নেই। উত্তর কোরিয়া নিজেকে সমতাভিত্তিক সমাজ হিসেবে দাবি করলেও এখানে নারীরা শিক্ষা ও কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। 
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, এখানে যৌন হয়রানিসহ নানা কারণে নারীদের অবস্থা খুবই নাজুক। কেউ কোনো নারীকে নাজেহাল করলে অভিযোগ শোনার কেউ নেই।
বন্দী অবস্থায় থাকার সময় নির্যাতন, ধর্ষণসহ নানা যৌন হয়রানির শিকার হয় নারীরা। আর সেনাবাহিনীতে তা ব্যাপক হারে হয়ে থাকে।

অপুষ্টির শিকার শিশুরা
দেশটির শিশুরা স্কুলে গেলেও অনেককে অল্প দিনের মধ্যেই ঝরে পড়তে হয়। কারণ পরিবারকে সাহায্য করতে তাদের স্কুল ছাড়তে হয়। স্কুলের পাঠ্যক্রম দেশটির রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। খুব অল্প বয়স থেকে শিশুদের জানার পরিধিকে সীমিত করে দেওয়া হয়।
ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, ২ লাখ শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। আর এর মধ্যে ৬০ হাজার ‘গুরুতরভাবে অপুষ্টিতে’ ভুগছে।
তবে উত্তর কোরিয়া বরাবরই অধিকারবিষয়ক তাদের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা বলে, তাদের জনগণ ‘বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর মানবাধিকার’ পেয়ে গর্বিত। কিন্তু মানবাধিকারকর্মী অ্যাডামস বলেন, উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার হলো ‘তলাবিহীন গভীর কূপ’।

অ্যাডামস বলেন, ‘প্রত্যেকে তার নিজের স্বার্থ নিয়ে কথা বলার অপেক্ষায় আছে। কেউ উত্তর কোরিয়ার জনগণের স্বার্থ নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী নয়।’



উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক হচ্ছে না!!!!!

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক হচ্ছে না। ১২ জুন সিঙ্গাপুরে এই দুই নেতার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আজ বৃহস্পতিবার ওই বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাম্প এই বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। ট্রাম্প ওই বিবৃতিকে ‘প্রকাশ্যে শত্রুতা’ বলেও আখ্যা দেন।

বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, উনের সঙ্গে ১২ জুন বৈঠক করা যুক্তিযুক্ত হবে না। কিমের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্প বলেছেন, অন্য কোনো দিন কিমের সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় থাকবেন তিনি।

ট্রাম্পের বৈঠক বাতিলের বিপরীতে এখনো উত্তর কোরিয়ার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই নানা কথা চলছিল। এ বৈঠক ভেস্তে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছিল।

ট্রাম্প প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং-উনের বৈঠকের আগে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক চাইছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এ ছাড়া শীর্ষ দুই নেতার বৈঠকের আগেই উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসার নিশ্চয়তাও চাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র।

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। উত্তর কোরিয়া অবশ্য আগেই হুমকি দিয়েছিল—ওই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হলে তারা ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক থেকে সরে যাবে। আবার পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে যাওয়ার জন্য চাপ অব্যাহত রাখলেও একই পরিণতির হুমকি দিয়ে রেখেছিল পিয়ংইয়ং।

এর আগে ট্রাম্প নিজেই এক টুইট বার্তায় আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে কিম জং-উনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার অবশ্য ট্রাম্প বলেন, বৈঠকের জন্য উত্তর কোরিয়াকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যদি তারা সেটা না করে, তাহলে আগামী মাসের পরিবর্তে অন্য কোনো সময়ে বৈঠকটি হতে পারে। তবে কোনো নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি তিনি। 

বিবিসি জানিয়েছে, কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা কমাতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ডেকে তাঁদের সামনে একমাত্র পারমাণবিক পরীক্ষাকেন্দ্রের সুড়ঙ্গ ধ্বংস করেছে উত্তর কোরিয়া। এ স্থাপনার সুড়ঙ্গগুলো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া ছবিতেও দৃশ্যমান হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে বাছাই করা ২০ জন সাংবাদিক এ সুড়ঙ্গ ধ্বংসের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।

রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১০

দেশজুড়ে র‍্যাব ও পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে রোববার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময় রাজধানীসহ সাত জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরও ১০ নিহত হয়েছেন।

পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরায় মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন চারজন। বাকিদের মধ্যে পাঁচজন পুলিশের সঙ্গে ও একজন র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

এ নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর ১৪ দিনে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১০১। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই মাদক ব্যবসায়ী।

গতকাল রাতের বন্দুকযুদ্ধের পর দু-একটি ছাড়া প্রতিটি ঘটনাস্থল থেকেই ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য, দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করার হয় বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল বলেন, যতক্ষণ না মাদকের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে আসবে, তত দিন পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। এটি নিয়মিত অভিযান। মাদক নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত এই ‘যুদ্ধ’ অব্যাহত থাকবে।

চলমান ‘বন্দুকযুদ্ধ’ মাদকের আগ্রাসন বন্ধ করবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে গতকাল বলেন, ‘যে পদ্ধতি ভালো হয়, সেটাই করে যাব। আমরা কাউকে ছাড় দেব না। আমাদের এক সাংসদ (আমানুর রহমান খান) জেলে আছেন। প্রধানমন্ত্রী মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তাই মাদকবিরোধী অভিযান চলবে।’

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

কুমিল্লা: দেবীদ্বার ও সদর দক্ষিণ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন দেবীদ্বার উপজেলার পশ্চিম ভিংলাবাড়ি এলাকার এনামুল হক ভূইয়া প্রকাশ দোলন ওরফে দুলাল (৩৫)। আরেক জন হলেন সদর দক্ষিণ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মো.নূরু মিয়া (৫৫)। এর মধ্যে এনামুলের বিরুদ্ধে ১২টি এবং নূরুর বিরুদ্ধে ১১টি মাদকের মামলা রয়েছে। এনামুল জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। নূরুর নাম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক ব্যবসায়ীদের আগের তালিকায় রয়েছে বলে পুলিশ দাবি করছে। এ ঘটনায় দেবীদ্বার ও সদর দক্ষিণ মডেল থানায় পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা, মাদক ও অস্ত্র আইনে তিনটি করে মামলা হয়েছে।

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ডিবির ভাষ্য, নিহত ব্যক্তি রাজধানীর মিরপুরের চলন্তিকা বস্তির শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর নাম নজরুল ইসলাম ওরফে নজু সর্দার। তাঁর বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

পিরোজপুর: পুলিশের সঙ্গে পৃথক কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. ওহিদুজ্জামান (৩৭) ও মিজানুর রহমান সরদার (৩৫) নামের দুজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, দুজনই মাদক ব্যবসায়ী। নিহত ওহিদুজ্জামান নেছারাবাদ উপজেলার কৌড়িখাড়া গ্রামের এবং মিজানুর রহমান সরদার মঠবাড়িয়া উপজেলার খায়ের ঘটিচোরা গ্রামের বাসিন্দা। ডিবি পুলিশের ভাষ্য, গতকাল দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশ পিরোজপুর পৌরসভার কৃষ্ণপুর এলাকা থেকে ওহিদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে নিয়ে রাতে পুলিশ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে বের হয়। সদর উপজেলার টোনা বেইলি সেতু এলাকায় পৌঁছালে ওহিদুজ্জামানের সহযোগীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এতে ওহিদুজ্জামান গুলিবিদ্ধ হয়ে যারা যায়। আহত হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দুই সদস্য।

ডিবি পরিদর্শক এ কে এম মিজানুল হক জানান, ওহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আটটি মাদক মামলা রয়েছে। গতকাল পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত একটি মাদক মামলায় তাঁকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।

আরেকটি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন মিজানুর রহমান। পুলিশের দাবি মিজানুরের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকের ছয়টি মামলা রয়েছে। মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার জানান, উপজেলার বড়মাছুয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ি এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি গুলিতে মিজানুর নিহত হয়। আহত হয় ছয় পুলিশ সদস্য।

নাটোর: গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের ভাগনাগরকান্দি গ্রামের ভাটোপাড়া এলাকায় র‍্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবদুল খালেক (৩২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মাদক ভাগাভাগি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে র‍্যাব সেখানে গিয়েছিল। এ সময় দুই পক্ষের মধ্য গুলি বিনিময় হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনরে মৃতদেহ পাওয়া যায়। সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, নিহত আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে মাদক,চোরাচালান,অস্ত্র ও অপহরণসহ ২০টি মামলা রয়েছে। ঘটনার পর তার বুকে দুটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।

তবে খালেকের বাড়ির এক প্রতিবেশী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, গতকাল রাতে তারাবির নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে তারা শোনতে পান আব্দুল খালেককে কারা যেন ধরে নিয়ে গেছে। আজ সকালে তাঁরা জানতে পারেন খালেক বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে।

মুন্সিগঞ্জ: পৌর এলাকার কাজলা সেতু থেকে সুমন বিশ্বাস ওরফে কানা সুমন (৩২) নামের এক নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমন নৈদীঘির পাথর গ্রামের বাবুল বিশ্বাসের ছেলে। পুলিশের দাবি, মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মীরকাদিম পৌরসভায় দুই মাদক ব্যবসায়ী চক্রের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে সুমন নিহত হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন জানান, সুমনের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় ২৫টি মাদক মামলা রয়েছে।

ঝিনাইদহ: সদর উপজেলায় জাড়গ্রাম এলাকায় গতকাল রাতে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জাড়গ্রামের ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কে তাঁর লাশ উদ্ধার হয়। পুলিশ বলছে, দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর গোলাগুলিতে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। তবে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ জানাতে পারেননি।

সাতক্ষীরা: সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের আগুনপুর গ্রাম থেকে দুটি গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের পাশ থেকে একটি পিস্তল ও ১০৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তিরা হচ্ছেন খলিলুর রহমান ওরফে পুটে সরদার (৪০) ও এমদাদুল কারিগর (৪৫)। খলিলুর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তসংলগ্ন লক্ষ্মীদাড়ি গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। আর এমদাদুল সাতক্ষীরা শহরের মধুরডাঙ্গীর এরফান আলী কারিগরের ছেলে।

পুলিশের উপপরিদর্শক প্রবীর কুমার রায় জানান, নিহত দুজনের গলায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীদের নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে পৃথকভাবে এ দুজন নিহত হয়েছে।

নিহত পুটে সরদারের বাবা আজগর আলী জানান, একটি মামলায় পুটে গতকাল সাতক্ষীরা আদালতে হাজিরা দিতে যায়। আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে সাতক্ষীরা শহর থেকে দুপুর একটার দিকে সাদা পোশাকের কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। আজ সকালে শুনছেন ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।


মানবাধিকার কমিশন র‍্যাবের জন্য নির্দেশিকা বানাতে ব্যস্ত

চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর করণীয় নিয়ে ‘নির্দেশিকা’ বানাচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশন বলছে, অভিযানের সময় বিচারবহির্ভূত এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন। এসব ‘অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানি’ রোধ করতে প্রচলিত একাধিক আইনের আলোকে এ নির্দেশিকা তৈরি হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কমিশনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে মানবাধিকারকর্মীরা কমিশনের এই উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁদের কথা, কমিশনের উচিত অভিযানে নিহত হওয়ার অন্তত একটি ঘটনা হলেও এর তথ্যানুসন্ধান করা। এখন যে কাজ তারা করছে, তা লোকদেখানো এবং দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা মাত্র।
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, নির্দেশিকা তৈরি নামকাওয়াস্তে একটি লোকদেখানো কাজ ছাড়া আর কিছু না।
মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে গতকাল বুধবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৩২ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন। তাঁদের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৬৮ জন এবং র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩৫ জন নিহত হন। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ১০২। আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাষ্য, বাকি ২৯ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে।
মাদকবিরোধী অভিযানে এভাবে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একের পর এক নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশের মানবাধিকারকর্মীরা। তবে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেই চলেছেন সরকারের শীর্ষ ব্যক্তি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা। বন্দুকযুদ্ধের বিষয়ে সরকারে তরফের বক্তব্য কমবেশি এমনই যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আত্মরক্ষার্থেই গুলি করে। আর তাতেই প্রাণহানি হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গত ২২ মে এক বিবৃতিতে বলে, তারা এসব বিচারবহির্ভূত হত্যা সমর্থন করে না। তাদের বক্তব্য, মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে । তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মানবাধিকার ও দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি লক্ষ রেখে এ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আর এসব আইনকে একত্র করে একটি নির্দেশিকা বানানোর কাজ করছে কমিশন। এ নিয়ে গত রোববার কমিশনের কার্যালয়ে এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
মানবাধিকার কমিশন মনে করে, এসব অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পর্কে কিছু ক্ষেত্রে সচেতন নয়। প্রচলিত নানা আইনে বাহিনীর সদস্যদের আচরণ ও কর্তব্য নির্দিষ্ট আছে। এমন কিছু আইনের মধ্যে আছে ফৌজদারি কার্যবিধি, পুলিশ অ্যাক্ট ১৮৬১ এবং পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল। এসব আইন থাকার পরও নির্দেশিকা তৈরি কেন?
কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, ‘আমরা নতুন কোনো আইন করছি না। এসব অভিযানে পুলিশ, র‍্যাব বা অন্য বাহিনীর সদস্যদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত, নির্দেশিকায় সেই বিষয়গুলো থাকবে। শুধু এসব অভিযানের সময় প্রচলিত আইনের কী বিধান আছে বা এসব বাহিনীর সদস্যদের কর্তব্য কী, তা–ই থাকবে নির্দেশিকায়।’
নির্দেশিকা তৈরির সুফল কী হতে পারে? জবাবে রিয়াজুল হক বলেন, ‘আইনগুলোকেই এক জায়গায় ও সহজভাবে তুলে ধরা হবে এই নির্দেশিকায়। আইনের যে প্রক্রিয়া আছে, তা তুলে ধরা বা জানানোই এর লক্ষ্য।’
নির্দেশিকা তৈরির পক্ষে যুক্তি দিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, আত্মরক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালাতে পারেন। তবে এর প্রয়োগ কখন বা কোন পরিস্থিতিতে তা করা যায়, তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা আছে। এসব প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে। এর ফলে যত্রতত্র অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হবে বলে মনে করেন তিনি।
মানবাধিকার কমিশন এই নির্দেশিকা তৈরি করে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিতরণের জন্য।
মানবাধিকার কমিশন এ পর্যন্ত বন্দুকযুদ্ধের একটি ঘটনা নিয়েও কোনো তথ্যানুসন্ধান করেনি। এমনকি টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মো. একরামুল হক নিহত হওয়া ঘটনার রেকর্ড করা অডিও প্রকাশ এবং এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হওয়ার পরও কমিশন তা নিয়ে কোনো তথ্যানুসন্ধান করেনি। মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, একরাম নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে কোনো তথ্যানুসন্ধানের কাজ কমিশন করছে না।
নির্দেশিকা তৈরির না করে বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে পর্যাপ্ত অনুসন্ধান করে তা জনসমক্ষে প্রকাশকেই সঠিক কাজ হবে বলে মনে করেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘টেকনাফের একরাম নিহত হওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে, এখানে বন্দুকযুদ্ধের নামে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। অন্তত এই একটি ঘটনা ধরে তথ্যানুসন্ধান করতে পারত কমিশন।’ মিজানুর রহমান বলেন, এই নির্দেশিকা প্রচার বা শিক্ষামূলক উপাদান হিসেবে ভালো। কিন্তু যখন মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, তখন সে বিষয়ে কোনো তথ্যানুসন্ধান না করা অন্যায্য।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কমিশনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের প্রশিক্ষণের সময়েই এসব আইন সম্পর্কে জানতে পারেন। আর তাঁরা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কেও সচেতন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইনগুলোকে এক জায়গায় করে একটি নির্দেশিকা তৈরি করলে ভালো হয়।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় বড় ঘটনা নিয়ে এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একাধিকবার জানিয়ে কোনো সাড়া পায়নি মানবাধিকার কমিশন। এর উদাহরণ আছে। ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ১৮৫টি ঘটনার ক্ষেত্রে প্রতিবেদন চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু মন্ত্রণালয় এই সময়ে একটি চিঠিরও কোনো জবাব দেয়নি। নির্দেশিকা তৈরি করে তা কতটা কাজে লাগবে, তা নিয়ে সন্দিহান মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের নির্বাহী পরিচালক নাসিরউদ্দিন এলান। তিনি বলেন, যে মন্ত্রণালয় কমিশনের কথায় পাত্তা দেয় না, তাদের জন্য নির্দেশিকায় কী হবে? আর এসব নির্দেশিকা না করে বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে তথ্যানুসন্ধানের সঠিক কাজটি করা উচিত কমিশনের।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক অবশ্য মনে করেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোও একটা বড় কাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাব।’

সৌদি আরবে নারী কর্মী পাঠাবেন না

ছোটবেলায় মা আমাকে তার স্বপ্নগুলো বলতো। মা’র স্বপ্নের মধ্যে সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল একবার স্বচক্ষে সৌদি আরব দেখা। পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র দেশ, মা মনে করতো সৌদি আরব। ওই দেশে জন্মেছেন আল্লাহর প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। ওই দেশে ইসলাম ধর্মের জন্ম। ওই দেশের ভাষা কোরআনের ভাষা। ওই দেশে কাবা শরিফ, রওজা শরিফ। মা মক্কা-মদিনার কথা বলতে বলতে আবেগে কাঁদতো। ওই পবিত্র দেশটির, ছোটবেলায় আমার মনে হতো, সব নিখুঁত; কোনও ভুল নেই, কোনও ত্রুটি নেই। যত বড় হচ্ছিলাম, যত চারদিক দেখছিলাম, পৃথিবীটাকে জানছিলাম, মা’র স্বপ্নের ওই দেশটি সম্পর্কে আমার মধুর মধুর ধারণাগুলো ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছিল। সৌদি আরবে গণতন্ত্র নেই, আছে রাজতন্ত্র। রাজপরিবার দেশটিকে নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করবে, কারও বাধা দেওয়ার অধিকার নেই। দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, নারীর অধিকার বলতে প্রায় কিছুই নেই। পাবলিক প্লেসে টেনে নিয়ে গিয়ে পাবলিককে দেখিয়ে তরবারির এক কোপে অভিযুক্তদের মুণ্ডু কেটে ফেলে সরকারি জল্লাদেরা। মুণ্ডুটা রাস্তার এক পাশ থেকে আরেক পাশে ফুটবলের মতো গড়িয়ে চলে যায়। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে পাবলিক। এই বীভৎসতা দেখা যায় না। সৌদি আরবে বাকস্বাধীনতা নেই, মত প্রকাশের স্বাধীনতা তো নেই-ই। সৌদি মুক্তচিন্তক রাউফ বাদাবিকে আজও জেলে ভরে রাখা হয়েছে। পুরুষগুলোর যত খুশি উপপত্নী। মেয়েদের কপালে দুটো চুল এসে পড়লে ধর্ম পুলিশ দোররা মারবে। 
মেয়েরা গাড়ি চালাতে পারবে না। মেয়েরা প্রতিবাদ করতে পারবে না। মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হলে মেয়েদেরই শাস্তি দেওয়া হবে। কোনও অমুসলমানের মক্কা আর মদিনায় যাওয়ার অধিকার নেই। অধিকার নেই সৌদি নাগরিকত্ব পাওয়ার, অধিকার নেই গির্জা মন্দির গড়ার। এই সৌদি আরবের তেলের খনিতে পঞ্চাশ-ষাট দশকে একসময় সৌদি শ্রমিকরা কাজ করতো। তারপর এলো প্রতিবেশী আরব দেশ থেকে শ্রমিক, তাও এক সময় বন্ধ হলো। আশির দশকের শুরু থেকে শুরু হলো এশিয়া থেকে শ্রমিক নেওয়া। এই শ্রমিকরা শ্রমিক হিসেবে তো নয়ই, মানুষ হিসেবেও সামান্য মর্যাদা পায় না সৌদি আরবে। নারী শ্রমিকরা যৌন হেনস্থা, শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার, আরও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। শ্রমিকের অধিকার আর নিরাপত্তার তো প্রশ্ন ওঠে না। কী করে সৌদি পুরুষেরা গৃহকর্মীদের পেটায়, কী করে যৌন নির্যাতন করে— সেসবের চিত্র গুগল আর ইউটিউব ঘাঁটলেই মেলে। বাংলাদেশের মেয়েরা যৌন নির্যাতনের শিকার এত বেশি হয়েছে যে আর আরবমুখো হতে চায় না। ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কার মেয়েদের আর সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে পাঠানো হচ্ছে না। কিন্তু বাংলাদেশের মেয়েদের নেওয়ার জন্য সমন পাঠিয়েছে সৌদি আরব। তারা মেয়ে-শ্রমিক চাইছে। মেয়ে-শ্রমিক না বলে আসলে ওদের ক্রীতদাসী বলা উচিত। সৌদি পুরুষেরা অত্যাচারী প্রভুর মতোই আচরণ করে গৃহশ্রমিকদের সঙ্গে। সেদিনও একটি ভিডিওতে দেখলাম এক বাঙালি মেয়েকে জনসমক্ষে পিটিয়ে চ্যাংদোলা করে এক দশাসই সৌদি পুরুষ তার গাড়িতে ওঠালো। মেয়েটি দুজন বাঙালি পুরুষের কাছে কাঁদছিল যেন তাকে বাঁচায়। না, কেউ তাকে বাঁচাতে চেষ্টা করেনি। বরং সৌদি পুরুষটিকেই সাহায্য করেছে মেয়েটিকে গায়ের জোরে গাড়িতে ওঠানোর জন্য। পুরুষ- শ্রমিকেরাও মেয়ে-শ্রমিকের পক্ষ না নিয়ে পুরুষ-মালিকের পক্ষ নেয়। শ্রেণির চেয়েও হয়তো বড় হয়ে ওঠে লিঙ্গ! অদ্ভুত একটা দেশ বটে। শ্রমিকদের কাজ করিয়ে টাকা পয়সা না দিলেও সৌদি নাগরিকদের কোনও শাস্তি হয় না। ধর্ষণ করলেও হয় না, নির্যাতন করলেও না। মালিকদের কোনও আন্তর্জাতিক শ্রমিক আইন মানতে হয় না, যত খুশি বর্বর হওয়ার অধিকার তাদের আছে। শ্রমিকেরা বন্দী জীবন থেকে বেরিয়ে নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে ওঠে, কিন্তু অনেক সময় খাঁচা থেকে বেরোনোর বা শেকল ছেঁড়ার কোনও ক্ষমতা তাদের থাকে না। সৌদি আইন শ্রমিকের পক্ষে যায় না, অত্যাচারিতা, ধর্ষিতদের পক্ষে যায় না। সৌদি আইন থাকে পুরুষের পক্ষে, ধনীর, শাসকের, মালিকের পক্ষে। সৌদি আরব দুই লাখ শ্রমিক চেয়েছে বাংলাদেশের কাছে। বাংলাদেশ থেকে মাসে দশ হাজার মেয়ে-শ্রমিক সৌদি আরবে পাঠানোর আয়োজন চলছে। সৌদি আরবে কোনও নিরাপত্তা মেয়েদের নেই। সৌদি মেয়েরাই নিরাপত্তা পায় না, শ্রমিক মেয়েরা কী করে পাবে! মেয়ে-শ্রমিকেরা কয়েক মাস পর পর দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে, কেউ কেউ গর্ভবতী হয়ে ফিরে আসছে। সামান্য টাকা পয়সার জন্য জলজ্যান্ত নরকে মেয়েদের আর পাঠানোর চেষ্টা না করাই ভালো। সৌদি পুরুষেরা যখন গৃহশ্রমিকদের মারে, মারে পা দিয়ে, পায়ের জুতো দিয়ে, চাবুক দিয়ে। ভেবে অবাক হই, মুসলমানেরা মুসলমানের দেশে পরাধীন, অথচ খ্রিস্টান-নাস্তিকদের দেশে তারা তুলনায় বেশি স্বাধীন, তাদের মানবাধিকার বেশি সম্মানিত, তাদের নিরাপত্তা বেশি জোটে। মুসলমানরা মুসলমানের ভাই, এ কথা বারবার ভুল প্রমাণিত হয়। অধিকাংশ ধনী-মুসলমানদের কোনও আগ্রহ নেই দরিদ্র-মুসলমানের দারিদ্র্য ঘোচানোর। সৌদি আরব গরিব মুসলিম দেশের শুভাকাঙ্ক্ষী কখনো ছিল না, এখনো নয়। শ্রমিক তারা নেয় বটে, শ্রমিকের স্বার্থে নয়, নেয় নিজেদের স্বার্থে। নিজেরা নোংরা কাজ, ছোট কাজ, করতে চায় না বলে নেয়। সৌদি আরবের নারী বিদ্বেষী পুরুষেরা নিজেদের নারীকেও অসম্মান করে, বহিরাগত নারীকেও অসম্মান করে। নারীরা সৌদি আরবে ততদিন নিরাপদ নয় যতদিন সৌদি পুরুষের মধ্যে নারী বিদ্বেষ থাকবে, যতদিন নারীকে তারা যৌনবস্তু বলে ভাববে। অদূর ভবিষ্যতে সৌদি পুরুষদের মানসিকতা আমূল বদলে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। যে নারীরা সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে যায়, তারা শ্রমিক, তারা পতিতা নয়। অথচ তাদের পতিতার মতো ব্যবহার করতে চায় পুরুষেরা। স্ত্রী ঘুমিয়ে গেলে পরিচারিকার ঘরে শুতে আসে গৃহকর্তা। পরিচারিকা রাজি না হলে তার ওপর চলে শারীরিক অত্যাচার। কোথায় বাংলাদেশের সরকার সৌদি সরকারকে বলে দেবে আমরা মেয়ে পাঠাবো না, তা নয়, বলছে মেয়েরা বাংলাদেশে আরও বেশি নির্যাতিত। তার মানে, মেয়েরা যেহেতু বাংলাদেশেও নির্যাতিত, সুতরাং সৌদি আরবে নির্যাতিত হলে কোনও অসুবিধে নেই। পুরুষেরা সাধারণত তাদের নারী বিদ্বেষ জনসমক্ষে আড়াল করে, কিন্তু বাংলাদেশের পুরুষদের এসব প্রকাশ করতে এতটুকু লজ্জা হয় না। সৌদি আরবের নারীবিদ্বেষী পুরুষেরা বাইরের লোক, বাংলাদেশের নারী বিদ্বেষী পুরুষেরা ঘরের লোক। ঘরে যারা মেয়েদের নির্যাতন করে, বাইরেও মেয়েরা নির্যাতিত হলে তাদের কিছু যায় আসে না। আমি ঘরের অত্যাচার মেনে নিয়ে বাইরের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি না। আমি ঘর এবং বাইরের দু’রকম অত্যাচারের বিরুদ্ধেই লড়তে চাইছি।

বিশ্বকাপ জিতে নেইমার আমাকে বিয়ে করবে’

আর মাত্র ৮ দিন পর মাঠে গড়াচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল। নেইমারকে ঘিরে এতে হেক্সার (ষষ্ঠ শিরোপা) স্বপ্ন দেখছে ব্রাজিল। সেই স্বপ্নসাধ পূরণ হলে হাজারো করতালি ও বাহবা পাবেন তিনি। সেই সঙ্গে নগদ আরও একটি পুরস্কার পাবেন ফুটবলের রাজকুমার। তার গলায় মালা পরাবেন প্রেমিকা ব্রুনা মারকুইজিন। আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করবেন তারা।
স্পষ্টবাদী হিসেবে ব্রুনার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে। ফের এর প্রমাণ পাওয়া গেল। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে রাখলেন, নেইমার বিশ্বকাপ জিতলেই বিয়ের কাজটা সেরে ফেলব। এখন চুটিয়ে ডেটিং করছি। আপাতত তা দারুণ উপভোগ করছি। তার সঙ্গে সময় কাটানোর সাথে অন্য কিছুর তুলনা চলে না। আমার পৃথিবীতে এরকম সরল, নিষ্পাপ মানুষ দ্বিতীয়টি নেই। সে-ই আমার জীবনের স্বপ্নের পুরুষ।
প্রেমিকার এমন কথা শুনে মানসিকভাবে চাপ অনুভব করতে পারেন নেইমার! তবে তা আমলে না নিয়ে ব্রুনা বলেন,তার মানসিক দৃঢ়তা সম্পর্কে আমি জানি। এরকম ছোটখাট বিষয় তার মাথার মধ্যে থাকে না। এবার যেকোনো মূল্যে বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া সে।
আগামী ১৭ জুন সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে হেক্সা মিশনে নামবে ব্রাজিল। এবার শিরোপা ঘরে তুলবে বলেও বিশ্বাস নেইমার প্রেমিকার। তার বিশ্বাস, এবারের ব্রাজিল দল অনেক পরিণত ও শক্তিশালী। রাশিয়া থেকে শিরোপা নিয়ে ফিরবে নেইমারের দলই।
মাঠে ও মাঠের বাইরে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে মানসিক শক্তি জোগাতে ব্রুনার জুড়িমেলা ভার। বিশ্বকাপে প্রেমিকের পাশে থাকতে ব্রাজিলের জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘গড সেভ দ্য কিং’-এ অভিনয় থেকেও সরে এসেছেন তিনি।
এ নিয়ে ব্রুনার কোনো আক্ষেপও নেই। এ মুহূর্তে প্রেমিকের পাশে থাকাই জরুরি মনে করছেন তিনি, নেইমার চাপমুক্ত থাকলে ব্রাজিলের বিশ্বজয় সম্ভব হবে। এবার চ্যাম্পিয়ন হলে আবারও সাম্বায় মেতে উঠবে ব্রাজিল। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে আমিও দায়বদ্ধ।

বিশ্বকাপ মাতাবেন যে ১০ তরুণ ফুটবলার

President Trump, or King Donald I?

The Declaration of Independence is known mostly for its opening sentences, in which author Thomas Jefferson draws on enlightenment thinkers to proclaim a universal right to life, liberty and the pursuit of happiness.

But the bulk of the document is actually a scathing, 27-count list of the wrongs that British King George III had committed against the people of the American colonies.

Many of these grievances begin with the words “he has,” as in: “He has obstructed the administration of justice.” Many of the complaints are directed at a king who rules by fiat and makes little distinction between himself and his government.

Today, Americans look at the Declaration of Independence as a sacred document and remember King George as somewhere between villain and joke. But President Trump, with his increasingly outlandish ideas about the sweep of his presidential powers, keeps channeling the 18th century royal.

OPPOSING VIEW: Executive privilege may very well 'trump' all

On Monday, Trump proclaimed that he had the absolute power to pardon himself, and that special counsel Robert Mueller’s investigation into Russia’s role in the 2016 election is unconstitutional.  


This came as Trump attorney Rudy Giuliani declared that a president could commit murder (the hypothetical victim being former FBI director James Comey) and not face indictment until after he leaves office.

These assertions come on top of others that show a man who would be monarch rather than a man who was elected president. We don’t have space for 27 scathing critiques of Trump’s actions, but here are a handful:

►He has declared that his executive powers are so sweeping, he cannot be charged with obstruction of justice.

►He has proclaimed himself immune from subpoenas.

►He has repeatedly demeaned and debased the Justice Department and the FBI.

►He has fired a senior law enforcement officer after that officer (Comey) quite appropriately refused to pledge his loyalty to the president and go easy on a former top White House aide.

►He has granted pardons in an arbitrary and capricious manner.

In some cases, Trump is simply arguing one extreme in an ambiguous area of the law. Can he pardon himself? Who knows? It is not an issue the courts have ever been asked to address. In fact, it is not a power any previous president has had the nerve to assert. Perhaps the closest comparison was Richard Nixon, who famously told interviewer David Frost that "when the president does it, that means it is not illegal." 

It's a safe bet that had Democratic President Obama said or done any of these things, Republicans in Congress would be clamoring for his head. Instead, they remain remarkably reticent as President Trump acts more and more like King Donald I.

USA TODAY's editorial opinions are decided by its Editorial Board, separate from the news staff. Most editorials are coupled with an opposing view — a unique USA TODAY feature