sponsor

sponsor

Slider

Categories

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Archive

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Author Details

Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.

Breaking

Fashion

News

Food

Sports

Food

Technology

Featured

Sponsor

ads

Videos

Text Widget

Sample Text

Contact Form

Name

Email *

Message *

Categories

Breaking News

Popular

Responsive Ads Here

Popular Posts

Recent Tube

Business

Technology

Life & style

Games

Sports

Fashion

ভারতে দুই কোটি মুসলমান রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা


স্থানীয় মুসলিম নেতাদের অভিযোগ, এনআরসিকে ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের মতো তাদেরও রাষ্ট্রহীন করা হবে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সরকার বিতর্কিত ‘ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি)’ এর প্রথম খসড়া তালিকাটি আজ সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, মোট ৩.২৯ কোটির মধ্যে ১.৯ কোটি মানুষকে বৈধতা দেয়া হয়েছে, অর্থাৎ তাদেরকে ভারতের বৈধ নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হবে। বাকিদের নথিপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে। এনআরসির তালিকায় যাদের ঠাই হয়নি সেই দুই কোটি মুসলমানের এখন রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তালিকা প্রকাশের আগেই এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছিল। : এনআরসির স্টেট কোঅর্ডিনেটর প্রতিক হাজেলা জানান, যাদের নাম এই তালিকায় আসেনি তাদের দুঃশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তাদের নথিপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। তাই দেখা যেতে পারে একই পরিবারের কয়েকজনের নাম হয়ত প্রথম তালিকায় আসেনি। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বাকি নথিগুলো পরীক্ষার মধ্যে আছে। এই তালিকাটির পর কমপক্ষে আরো দুটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে আসাম সরকার। : মুসলিম জনসংখ্যার দিক থেকে আসামের অবস্থান ভারতে দ্বিতীয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গত বছর আসামে সরকার গঠন করে। অনুপ্রবেশকারীরা স্থানীয় হিন্দুদের কর্মসংস্থান নষ্ট করছে দাবি করে ‘অবৈধ’ মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার শপথ নিয়েছিল তারা। এরই ধারাবাহিকতায় একটি আদমশুমারি চালানো হয়। ১৯৫১ সালের পর এটিই আসামে পরিচালিত প্রথম আদমশুমারি। ওই আদমশুমারির ভিত্তিতে নিজস্ব নাগরিকদের আংশিক তালিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেয় আসাম সরকার। : নাগরিক নিবন্ধনের দায়িত্বে থাকা আসামের অর্থমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা সম্প্রতি বলেন, আসামে বসবাসরত ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ চিহ্নিত করতেই এনআরসি করা হয়েছে। এতে যাদের নাম থাকবে না, তাদের ফেরত পাঠানো হবে। তবে যেসব হিন্দু বাংলাদেশে নিপীড়নের শিকার হয়ে আসামে আশ্রয় নিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি অনুসারে তাদের আসামে আশ্রয় দেয়া হবে বলেও জানান বিশ্ব শর্মা। তার বক্তব্য অনুযায়ী, কেবল বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীকে বিতাড়িত করার জন্যই নাগরিক তালিকাটি প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপ আসামে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। স্থানীয় মুসলিম নেতাদের অভিযোগ, এনআরসিকে ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের মতো তাদেরও রাষ্ট্রহীন করা হবে। : :

ধর্মঘট প্রতিহতের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ



‘দখলদারদের’ উচ্ছেদ, নির্বাচিত নেতাদের কাছে টার্মিনাল হস্তান্তর, পরিবহন সংগঠনে ‘দলীয়করণ বন্ধ’সহ পাঁচ দফা দাবিতে মানিকগঞ্জে আগামী ২ জানুয়ারি পরিবহন ধঘট (হরতাল) র্মডাকা হয়েছে। মানিকগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে জেলা আওয়ামী লীগের একাংশ এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

এদিকে মানিকগঞ্জ বাস, মিনিবাস, ট্যাম্পো ওনার্স গ্রুপের ব্যানারে ধর্মঘট প্রতিহতের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগের অন্য একটি অংশ। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির মাধ্যমে পরিবহন খাতের কর্তৃত্ব নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব আরো তীব্রতা পেল।
হরতালের প্রচার করে সারা মানিকগঞ্জে সাঁটা হয়েছে পোস্টার। বিলি করা হচ্ছে প্রচারপত্র (লিফলেট)। পাঁচ দফা দাবি সংবলিত প্রচারপত্রে বলা হয়েছে, গত ১৩ অক্টোবর অবৈধ দখলদাররা মানিকগঞ্জ জেলা বাস টার্মিনালে অবস্থিত মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসসহ বাস টার্মিনাল দখল করে বৈধ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের বের করে দিয়েছে। নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। প্রচারপত্রে দাবি করা হয়েছে, অবৈধ দখলদারদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। মানিকগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে এবং দলীয় পরিচয়ে তাঁরা এই ‘অবৈধ’ কাজ করছেন। মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিনসহ নেতারা বৈধ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের কাছে টার্মিনালের দায়িত্ব এবং অফিস হস্তান্তরের সুপারিশ করেছেন বলেও দাবি করা হয় প্রচারপত্রে।

মানিকগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন টিপু বলেন, এর আগেও ধর্মঘটের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এবং নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুজন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে পরিবহন খাত মুক্ত করার সুপারিশ করেছেন। কিন্তু অবৈধ দখলদাররা কোনো কিছুই তোয়াক্কা করছে না। তিনি বলেন, ‘দখলদাররা আওয়ামী লীগ নেতাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা না হলে ২ জানুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টা হরতাল চলবে। ’

এদিকে বাস, মিনিবাস, ট্যাম্পো ওনার্স গ্রুপ ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, কাজী টিপু ও জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকার এত দিন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নামে টার্মিনাল দখল করে পরিবহন খাত থেকে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছিলেন। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা তাঁদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে টার্মিনাল থেকে তাঁদের বের করে দিয়েছে। এখন কোনো মালিক-শ্রমিক তাঁদের পক্ষে নেই। ফলে ‘অবৈধ’ হরতাল সফল হবে না বলে দাবি করেন জাহিদুল। তিনি জানান, হরতালের বিরুদ্ধে আজ রবিবার মানববন্ধন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তার পরও কাজ না হলে তাঁরা ২ জানুয়ারি রাস্তায় গাড়ি নামাবেন। তিনি বলেন, ‘প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আমরাই হরতালকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। ’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, পরিবহন খাত নিয়ে দলের মধ্যে যা হচ্ছে, তা লজ্জাজনক ও আত্মঘাতী। দলের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে দুই পক্ষই অনড় অবস্থান নিয়েছে। যেকোনো সময় এ নিয়ে সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে। তাঁদের মতে, এই দ্বন্দ্বের পেছনে রয়েছে পরিবহনের কর্তৃত্ব দখল ও চাঁদাবাজি। এতে সাধারণ মানুষের কাছে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। ফলে আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের উচিত যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টির একটি সমাধান দেওয়া।


কোটির ক্লাবে ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়


বলিউডের টাইগার খ্যাত সালমান খান ও লাস্যময়ী নায়িকা ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত ‘‌টাইগার জিন্দা হ্যায়' মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ব্যবধানে ৩০০ কোটির ক্লাবে পৌঁছে গেছে। দেড়শ কোটি বাজেটে নির্মিত ছবিটি গত ২২ ডিসেম্বর ৫ হাজার ৭০০ স্ক্রিনে মুক্তি পায়। 
 এর আগে, মাত্র তিন দিনে ১০০ কোটির ক্লাবে ঢুকে নিজেদের অভিনীত আগের ছবিগুলোর সব রেকর্ড ভেঙে দেন বলিউডের এই হিট জুটি।
ভারতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সারাবিশ্ব মিলিয়ে ছবিটির মোট আয় ৩০২ কোটি সাত লাখ রুপি। এর মধ্যে ভারতে ছবিটি আয় করেছে ২৪৪ কোটি ৩৮ লাখ রুপি।  

শৈত্য প্রবাহ আসছে দেশে

শৈত্য প্রবাহ আসছে দেশে

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আর তাপমাত্রা কমে আসায় শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, দেশের পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর, সৈয়দপুর ও টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এর জন্য রাজধানীতে তাপমাত্রা কমছে। তিনি জানান, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে শৈত্যপ্রবাহ বলে গণ্য করা হয়ে থাকে। এখন ঢাকায় ১৩ ডিগ্রি রয়েছে। আজ অথবা আগামীকালই রাজধানী ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহ নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে দুই দিনের হঠাৎ শীতে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে রাস্তার ধারে বসবাসকারী দরিদ্র মানুষরা। তাদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টায় ঢাকা ও আশপাশের এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে হাল্কা কুয়াশা পড়তে পারে। উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার। দিনের তাপমাত্রা হালকা হ্রাস পেতে পারে। সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ।

বিএনপির কর্মসূচির বিষয়ে সতর্ক থাকুন : হাছান মাহমুদ



আগামী ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র রক্ষা দিবসে দেশব্যাপী বিএনপির কর্মসূচির প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে ওই মিছিল থেকে বিএনপি দেশে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিরোধ করতেও বলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-পরিষদের এক বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।  এ সময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, গোলাম রব্বানী চীনু ও মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, সমাবেশের অনুমতি না পাওয়া সত্ত্বেও কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে তাঁরা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টির ছক এঁকেছে। তাই নেতা-কর্মীদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র রক্ষা দিবস উপলক্ষে ৬ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীতে বিএনপি জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাসের খণ্ডচিত্র প্রকাশ করা হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, এ উপলক্ষে একই স্থানে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সরকারের ৪ বছর পূর্তি ১২ জানুয়ারি উন্নয়নের খন্ডচিত্র প্রকাশ ও ১৪ জানুয়ারি সরকারের ৯ বছরের উন্নয়নের ডকুমেন্টারি প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।


৫ জানুয়ারি ঘিরে উত্তেজনা
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের চতুর্থ বর্ষপূর্তির দিন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আবার উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি এদিন আলাদা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তবে বিএনপি এদিন রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি এখনো পায়নি। তবে দলটি বলছে, বিএনপি সমাবেশের সব প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে। তবে ডিএমপি সূত্র জানায়, এরই মধ্যে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি নামের একটি দলকে ৫ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে শেষ পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘পত্রিকায় এসেছে, একটা অপরিচিত নাম-গোত্রহীন ইসলামি পার্টিকে সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, এই সরকার আসলে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ভবিষ্যতে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার সব উদ্যোগকে বাধা দিচ্ছে।’

৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের পর থেকে দিনটিকে বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দিনটিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে।

গতকাল সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ৫ জানুয়ারির কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি শুক্রবার বিএনপি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ এবং দেশব্যাপী জেলা, মহানগর, উপজেলা পর্যায়ে কালো পতাকা মিছিল করবে।

রুহুল কবির বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে গত শনিবার বিএনপি পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছে। গতকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে বিএনপিকে কিছু জানানো হয়নি। তবে বিএনপি সমাবেশের সব প্রস্তুতি রাখছে।

গত বছরও বিএনপি ঢাকায় ৫ জানুয়ারির সমাবেশ করতে পারেনি। দলটি গত বছরের ৭ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না হলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কোথাও অনুমতি দেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে ৫ জানুয়ারি সামনে রেখে গত রোববার নিজেদের কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। ওইদিন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর গুলশানে এবং মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে বিজয় শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করা হবে। সারা দেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা পর্যায়েও একই কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ।


 ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে বড় শোডাউন করতে চায় বিএনপি

একতরফা নির্বাচনের দিন ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে বড় শোডাউন করতে চায় বিএনপি। তবে অনুমতি না মিললে ঘরোয়া আলোচনা সভা এবং তাও সম্ভব না হলে দেশব্যাপী কালো পতাকা প্রদর্শনের কর্মসূচি দিবে দলটি। 
জানা গেছে, এর আগে ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে কঠোর আন্দোলন করে দফায় দফায় ব্যর্থ হওয়া বিএনপি এবার একেবারে শান্ত্মিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত্ম নিয়েছে। বিগত আন্দোলনের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারে প্রথমেই অলআউট আন্দোলনে না গিয়ে ধীরে ধীরে আন্দোলনকে বেগবান করতে চায় তারা। 

 বিএনপি সূত্রমতে, দলের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে আবারো কঠোর আন্দোলনে নামতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে খালেদা জিয়া তাতে রাজি হননি। কারণ, ২০১৫ সালের মতো আন্দোলন ব্যর্থ হলে বিএনপিকে তার মূল্য দিতে হবে; যার পরিণতি ভোগ করতে হবে অনেক বছর ধরে। এজন্য এবার একেবারেই শান্ত্মিপূর্ণ উপায়ে কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত্ম অনুযায়ী দলটি ৫ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে সমাবেশ করতে চায়। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে শিগগির আবেদন করা হতে পারে। একইভাবে ঢাকার বাইরের জেলা সদর ও মহানগরে সমাবেশ করার পরিকল্পনা আছে। সমাবেশের অনুমতি না দিলেও হরতাল বা অবরোধের মতো কর্মসূচি দিয়ে কঠোর অবস্থানে যাবে না বিএনপি। সেক্ষেত্রে মহানগরের থানায় থানায় বিক্ষোভ অথবা ঘরোয়াভাবে আলোচনা সভা করবে। পাশাপাশি ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস আখ্যা দিয়ে এই দিনটিতে কালো পতাকা হাতে যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ জানাবেন দলের নেতাকর্মীরা। 
বিএনপির সিনিয়র এক নেতা বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাতে যেতে চায় না বিএনপি। তবে ব্যাপক জমায়েত ঘটিয়ে দিনটিতে কালো পতাকা হাতে রাজপথে থেকে কর্মসূচি করার প্রস্তুতি চলছে। 
৫ জানুয়ারির কর্মসূচির বিষয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রম্নহুল কবির রিজভী যায়যায়দিনকে বলেন, গণতন্ত্র হত্যার এই দিনে বিএনপি অবশ্যই কর্মসূচি পালন করবে। তবে কী কর্মসূচি হবে তা এখনও চূড়ান্ত্ম হয়নি। দ্রম্নত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত্ম হবে। 
একই বিষযে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, গণতন্ত্র হত্যা দিবসের এ দিনটির প্রতিবাদে কর্মসূচি করা গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে ঢাকায় সমাবেশসহ দিনটিতে কালো পতাকা হাতে নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার শান্ত্মিপূর্ণ কর্মসূচি নেয়া হতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ জানুয়ারি শান্ত্মিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত্ম থাকলেও পর্যায়ক্রমে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। বিশেষ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের বিষয়টি দেখে কর্মসূচি দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত্ম সংঘাতপূর্ণ কোনো কর্মসূচিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত্ম আছে তাদের। এই মামলাগুলোর রায় খালেদা জিয়ার বিপক্ষে গেলে কালবিলম্ব না করে বড় ধরনের আন্দোলনের যাবে বিএনপি। যার ধারাবাহিকতা থাকতে পারে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত্ম। আর মামলার রায় যদি খালেদা জিয়ার পক্ষে আসে সেক্ষেত্রে সমঝোতার মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের ইসু্যটি সমাধানের জন্য সরকারকে আরো সময় দিবে। আর তাতেও কাজ না হলে আগামী জুলাই-আগস্টে অলআউট আন্দোলনে যাবে বিএনপি।
প্রসঙ্গত, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বন্ধে ২০১৩ সালের শেষ দিকে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরম্ন করে বিএনপি। হরতালের পাশাপাশি লাগাতার অবরোধ কর্মসূচিও ঘোষণা করে দলটি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরও বেশ কিছু দিন আন্দোলন অব্যাহত রাখে দলটি। পরে আন্দোলন থেকে সরে এলেও নির্বাচনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আবারও কর্মসূচিতে যায় তারা। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সভা করতে না দেয়ায় ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি আবারও অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। কর্মসূচি চলাকালে বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হন দলের অধিকাংশ শীর্ষ নেতা। ফলে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে বিএনপি। এরপর থেকে আর কোনো আন্দোলন যেতে পারেনি দলটি।




জেরুজালেম ইস্যু,মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তুরস্ক ও সৌদির

অনলাইন ডেস্ক : জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার মার্কিন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম এবং সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল্লাজিজ।  তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এবং সৌদি বাদশাহ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রিয়াদে এক বৈঠকে জেরুজালেমের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।   তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের ভাইদের অধিকার রক্ষায় মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক এবং সৌদি আরব।  উভয় দেশই জেরুজালেম বিষয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে।  উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন।  এই সিদ্ধান্তের বিরদ্ধে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।   তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান একে মুসলিমদের জন্য সতর্কবার্তা বলে উল্লেখ করেন এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের হুমিক দেন।  অপরদিকে সৌদি বাদশাহ একে ভয়ংকর পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন এটি বিশ্বের মুসলিমদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত।   গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে জেরুজালেম বিষয়ে ভোটাভূটি হয়।  সেখানে ট্রাম্পের এ ঘোষণাকে বাতিল গণ্য করা হয়।  জাতিসংঘের এই রেজ্যুলেশন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি একটি শক্ত বার্তা হিসেবে মনে করেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এবং সৌদি বাদশাহ।  সূত্র: আল-জাজিরা

যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক হামলার হুমকি!পাকিস্তানের

যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক হামলার হুমকি!পাকিস্তানের


‘পাকিস্তানের পরমাণু বোমা ইসলামের সম্পদ। জেরুসালেম মুক্ত করার জন্য এই অস্ত্রই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে। এটা আমার প্রকাশ্য ঘোষণা।’ 
পাকিস্তানকে দেওয়া সামরিক অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার বার্তা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ট্যুইট করার পরই এমন কড়া ভাষাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিল পাকিস্তানের হাফিজ সাঈদ।


জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে হুমকিতে ভোটদানে বিরত ৩৫ দেশ!

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির আগে হুমকি দিয়েই রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই হুমকিতেই কি না, জেরুজালেম নিয়ে উত্থাপিত প্রস্তাব নিয়ে বৃহস্পতিবারের ভোটাভুটিতে ৩৫ সদস্যরাষ্ট্র ভোটদানে বিরত থাকল। যদিও পরিষদে ওই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতির বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ১২৮টি দেশ। প্রস্তাবের বিপক্ষে মাত্র ৯টি দেশ ভোট দিয়েছে। কিন্তু ৩৫টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়া দেশগুলো হলো: যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, মার্শাল আইল্যান্ডস, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পালাউ ও টোগো। অনুপস্থিত থাকা দেশগুলোর মধ্যে কানাডা ও মেক্সিকো রয়েছে।

যদিও এই প্রস্তাব মানার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। তবে এটা যে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

এই ভোটাভুটির আগেই সাধারণ পরিষদের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর প্রতি হুঁশিয়ারি বার্তা পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন স্থায়ী প্রতিনিধি নিক্কি হ্যালি ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ভোট দিলে সেই দেশগুলোকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন’ গত মঙ্গলবার। তিনি বলেছিলেন, সাধারণ পরিষদে ‘আমাদের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া দেশগুলোর’ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। এই মার্কিন দূত হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ভোটাভুটিকে ব্যক্তিগতভাবে নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট এই ভোটাভুটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। যারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভোট দেবে, আমার ওপর নির্দেশ আছে যাতে ওই দেশগুলোর নাম সংগ্রহ করে তাঁর (ট্রাম্প) কাছে একটা প্রতিবেদন দিই। আমরা জেরুজালেম প্রশ্নে প্রত্যেকটা ভোটের হিসাব রাখব।’
শুধু তা–ই নয়, যে দেশগুলো সাধারণ পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ভোট দেবে, তাদের অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধেরও হুমকি দেয় মার্কিন প্রশাসন।

এর আগে গত সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জেরুজালেম প্রশ্নে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করে মিসর। নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ সদস্য দেশ ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ায় ওই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১৪ দেশের ভোট ওয়াশিংটনের জন্য ‘অপমানজনক’ বলে মন্তব্য করেন হ্যালি।

৬ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানায় আরব বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।



 ৩ জেএমবির  সদস্য গ্রেপ্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তিন জেএমবির গায়েরে এহসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে জিহাদি বইও পাওয়া যায়।
গতকাল রবিবার রাত ৩টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চকআলমপুর-কালিনগর এলাকার কামারদহ ছোট সাঁকোসংলগ্ন একটি আমবাগানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ধোবরা মতিবাজার গ্রামের মৃত নেফাউর রহমানের ছেলে আজিবুল হক (৫৩), ধোবরা গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও লক্ষীপুর মোবারকপুর গ্রামের আইনাল হকের ছেলে তাজামুল হক (৪৬)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি জিহাদি বই, ২টি মোবাইল ফোন, ৩টি সিমকার্ড, একটি টর্চ লাইট, একটি গ্যাস লাইটার, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পানির বোতল উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাব জানিয়েছে, রবিবার রাত ৩টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চকআলমপুর-কালিনগর এলাকার কামারদহ ছোট সাঁকোসংলগ্ন একটি আমবাগানে অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় গোপন বৈঠক চলাকালে আজিবুল হক ও সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকজন র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে আজিবুল হক ও সাইফুল ইসলামের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শিবগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপুর মোবারকপুর গ্রামে পলাতক জঙ্গি মো. তাজামুল হকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে তার শয়নকক্ষের খাটের নিচে লুকানো অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।  

জানা গেছে, র‌্যাব ৫ ব্যাটালিয়ন এর উপ-অধিনায়ক মেজর এ এম আশরাফুল ইসলাম এবং সিপিসি ১, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাঈদ আব্দুল্লাহ আল-মুরাদ এর নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

ভূমিকম্প অনুভূত মিয়ানমারে
অনলাইন ডেস্ক : মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মনিওয়ায় শুক্রবার মাঝারি মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.২। দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এ কথা জানায়। খবরে বলা হয়, ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় রাত ০২:৫৩:৩৪ টায় ভূ-পৃষ্টের ৭৭ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মান্ডালের ১৮৫.৬ কিলোমিটার পশ্চিম এবং মনিওয়ার ৮৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

এ বছর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে ,খন্দকার মোশাররফ হোসেন

এ বছর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে ,খন্দকার মোশাররফ হোসেন


 স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় হোমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ সেন বলেছেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০১৮ সাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব বলেন। এ সময় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মাফরূহা সুলতানা, স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ইকরামুল হক (অতিরিক্ত সচিব), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আন্তরিকতার সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে কাজ করলে ২০১৮ সালের মধ্যেই আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পারব। '

মন্ত্রী তাঁর মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, 'এ মন্ত্রণালয় দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রায় ৮০ শতাংশের ভাগীদার।


জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী!বললেন,ট্রাম্প



একদিকে অন্যের ভূমি জবরদখল আর অন্যায্য আবদার ‘সবল’ ইসরায়েলের। অন্যদিকে দশকের পর দশক শোষণ-বঞ্চনা ভোগ আর স্বাধীন রাষ্ট্রের লড়াই ‘দুর্বল’ ফিলিস্তিনের। বিপরীতমুখী এ দুই শক্তির প্রথমটিকেই বেছে নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ৬ ডিসেম্বর তিনি পবিত্র জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই একতরফা ঘোষণায় আপত্তি জানায় জাতিসংঘ, রাশিয়া, আরব ও মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলোও। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, তাঁর সরকার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে না। এটি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি আলোচনার জন্য সহায়ক নয়। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ট্রাম্পের ঘোষণার সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্পের ঘোষণার নিন্দা করেছে সৌদি আরব, ইরান, সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান, মালয়েশিয়া, তুরস্ক।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের এক মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে বলেন, এ রকম সিদ্ধান্ত এ অঞ্চলে ‘বিপজ্জনক ফল’ বয়ে আনবে। হামাস ‘দ্বিতীয় ইন্তিফাদা’র ডাক দিয়ে মন্তব্য করে, ট্রাম্পের এই ঘোষণা ‘নরকের দরজা’ খুলে দিল। ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহরে প্রবল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়, মানুষ হতাহত হয়।

এত দিন মার্কিন নীতি ছিল সমঝোতার মাধ্যমে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের সুরাহা। কিন্তু ট্রাম্প পূর্বসূরিদের সেই ধারাবাহিকতা থেকে সরে এলেন।

গত ১৮ ডিসেম্বর নিরাপত্তা পরিষদে জেরুজালেম প্রশ্নে মিসরের উত্থাপিত খসড়া প্রস্তাবে ১৪টি দেশ পক্ষে ভোট দেয়। শুধু যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়। ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জেরুজালেম বিষয়ে উত্থাপিত প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বীকৃতির বিপক্ষে ভোট দেয় ১২৮টি দেশ। বিপক্ষে মাত্র ৯টি দেশ। যদিও ৩৫টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে, তবু প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

সাধারণ পরিষদের ভোটাভুটির আগে তাঁর বিপক্ষে ভোট দিলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প। তারপরও বিশ্বসম্প্রদায় ট্রাম্পকে যেভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে, ট্রাম্প বললেই জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী হচ্ছে না। শহরটির বর্তমান মর্যাদা অপরিবর্তিতই থাকছে।


এবার বছরের শুরুতেই বাংলাদেশের সামনে না-জেতা ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি জয়ের সুযোগ। ফাইল ছবি
এবার বছরের শুরুতেই বাংলাদেশের সামনে না-জেতা ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি জয়ের সুযোগ। চলছে তারই অনুশীলন। ছবি: প্রথম আলো
২০১৭ সালে ব্যস্ত এক বছর কাটিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। এ বছরও বাংলাদেশের অপেক্ষায় ব্যস্ত সূচি। বাংলাদেশের সামনে আবারও বড় চ্যালেঞ্জ। বিদেশের মাটিতে সামর্থ্যের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে ২০১৮ সালেও।
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দেশের মাঠে খেলে টানা চারটা সিরিজ-টুর্নামেন্ট খেলতে হতে পারে বিদেশে। বাংলাদেশ দলের বছরটা শেষ হবে আবার দেশের মাটিতেই। নভেম্বরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের। আগামী জানুয়ারিতে আবারও বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে। 
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলা কঠিন। নানা কারণে হুটহাট পাল্টে যায় সূচি। এখন পর্যন্ত ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম), বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ ও টুর্নামেন্ট কমিটির সম্ভাব্য সূচি অনুযায়ী জানুয়ারিতে হওয়ার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)। ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। আর অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএল। ২০১৭ সালে জাতীয় লিগ শুরু হয়েছে সেপ্টেম্বরে, শেষ হয়েছে ডিসেম্বরে। ২০১৮ সালেও হয়তো একই সময় অনুসরণ করবে জাতীয় লিগ


জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা বলা উচিত হবে না : হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ 

বিএনপি বা অন্য কোন দলের সাথে জোট করার সম্ভাবনার বিষয়টি উড়িয়ে না দিয়ে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টিই হবে বড় ফ্যাক্টর। তিনি বলেন, কারও সাথে নির্বাচনী জোট হবে কিনা সে ব্যাপারে মন্তব্য করার সময় এখনও আসেনি। তবে জাতীয় পার্টি ৩শ’ আসনে এককভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গতকাল (বুধবার) বিকেলে নগরীর রেডিসন বøুতে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ। জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোটের বিষয়ে স¤প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি বক্তব্যের প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফখরুল ইসলাম কী বলেছেন সে সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। আপাতত আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে আছি। আগামীতে কী হবে, কিভাবে নির্বাচন হবে সে সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সবাই আমাদের চাচ্ছে। কিন্তু আমরা কোথায় যাব, কিভাবে নির্বাচন করবো, সেটা নির্ভর করবে আমাদের উপর। আমাদের কর্মীদের উপর, নেতাদের উপর। আমরা সিদ্ধান্ত নেব কিভাবে নির্বাচন করবো। কারও সাথে নির্বাচনী জোট করার সময় এখনও আসেনি।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এখন কথা বলা উচিত হবে না মন্তব্য করে এরশাদ বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী দল। আমরা সংগঠিত হচ্ছি। আমাদের ৩শ’ প্রার্থী আছে। তবে কতজন প্রার্থী জয়ী হতে পারবে সে সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই। আমাদের কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। আমার মনে হয় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমরা ভাল করবো। নির্বাচন কমিশনের জন্য রংপুর সিটি নির্বাচন বড় পরীক্ষা ছিল উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, সেই পরীক্ষায় নির্বাচন কমিশন উত্তীর্ণ হয়েছে। রংপুরে আদর্শ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সুষ্ঠু নির্বাচন হলো।

দেশের যুবসমাজে অসন্তোষ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ যুবকদের কর্মসংস্থান নেই, বিনিয়োগ নেই। তাই যুবসমাজ বিপথে চলে যাচ্ছে। অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এটা আমাদের জন্য সুখকর নয়। জাতির জন্য লজ্জাজনক কথা, শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে না পারলে সমাজে যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে তা আরও বৃদ্ধি পাবে। এসময় সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মাহজাবীন মোরশেদ এমপি, মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। একটি ব্যাংকের সভা ও কয়েকটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গতকাল চট্টগ্রাম আসেন এরশাদ।
শত শত পাচার হচ্ছে রোহিঙ্গা নারী

২০ ডিসেম্বর বেলা ২টা। উখিয়া টিএনটি এলাকায় যানবাহন তল্লাশিকালে সেনাবাহিনী সদস্যরা আটক করেন এক রোহিঙ্গা কিশোরী ও কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেলের এক কর্মচারীকে। তল্লাশির একপর্যায়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী একজন অপরজনকে না চেনার ভান করেন। উভয়ে বাংলাদেশি পরিচয় দেন। কিন্তু সেনা সদস্যদের জেরার মুখে বেরিয়ে আসে প্রকৃত সত্য। উক্ত হোটেল কর্মচারী কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার মো. আনোয়ার (৪০) ওই রোহিঙ্গা কিশোরীকে হোটেলে অনৈতিক কাজ করতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে তাদের উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরীর ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে উক্ত রোহিঙ্গা কিশোরীকে অভিভাবকের জিম্মায় ও পাচারকারী হোটেল কর্মচারীকে ১৫ দিনের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১টার দিকে উখিয়ার একই এলাকায় সেনা তল্লাশি চৌকির সদস্যরা যাত্রীবাহী যানবাহন তল্লাশি চালিয়ে কুতুপালংয়ে পারভীন (১৩) নামের এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করেন। এ সময় পাচারকাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সঙ্গীয় হাসিনা বেগমকে (৩৫) আটক করা হয়। হাসিনাকে পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়ে জেলে প্রেরণ করা হয়। প্রশাসনের সূত্র মতে উক্ত পুরনো রোহিঙ্গা হাসিনা সংঘবদ্ধ নারী ও শিশু পাচারকারী চক্রের সদস্য। ইতিপূর্বে তিনি এ ধরনের বেশ কয়েক রোহিঙ্গা নারী-শিশু পাচারের সঙ্গে জড়িত।

১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অটোরিকশাযোগে বালুখালী-১ রোহিঙ্গা শিবির থেকে পাচার করে নিয়ে যাওয়ার সময় উখিয়া সেনা তল্লাশি চৌকিতে সেনা সদস্যরা খালেদা বেগম (১৭) নামের এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে উদ্ধার করেন। এ কিশোরীকে পাচার কাজে জড়িত থাকায় একই গাড়ি থেকে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি এলাকার মুফতি রফিকুল ইসলাম (৩৫) ও খুলনা জেলার পাইকগাছার বেতবুনিয়া এলাকার মৌলানা মো. হারুনুর রশিদকে (৩৭) আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে রোহিঙ্গা কিশোরীকে অভিভাবকের জিম্মায় এবং উক্ত দুই হুজুরকে সাত মাস করে কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে।

৩০ নভেম্বর জয়পুরহাটের পাঁচ বিবি সীমান্ত থেকে ভারতে পাচারকালে বিজিবি সদস্যরা আয়েশা খাতুনকে (৩০) আটক করেন। তিনি কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের আশ্রয়গ্রহণকারী সদ্য আসা রোহিঙ্গা। একই দিন ঢাকার ডেমরায় একটি বাসা থেকে সেতারা বেগম (১৫), জাহেদা বেগম (১৬), ও তার মেয়ে শফিকাকে (৬) পুলিশ আটক করে। তাদের মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে উখিয়া বালুখালী ও জামতলী আশ্রয় শিবির থেকে পাচারকারীচক্র নিয়ে গিয়েছিল। এ সময় দুই দালালকে আটক করা হয়। উদ্ধার রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের উখিয়া আশ্রয় শিবিরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

গত সপ্তাহে কক্সবাজার জনশক্তি ও অভিবাসন অফিস থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ নতুন আসা দুই রোহিঙ্গা তরুণী সেতারা বেগম ও নাজিবা বেগমকে আটক করা হয়। তাদের পাসপোর্ট দুটি জব্দ করে বাতিল করা হয়। তারা যে শুধু বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করেছিলেন তা নয় এর মধ্যে সৌদি আরবের ভিসাসহ সব কাগজপত্র প্রস্তুত করে ফেলেন। পরে তাদের উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে প্রেরণ করা হয়।

এভাবে গত চার মাসে দেশের প্রায় সব এলাকা থেকে কয়েকশ’ নারী ও শিশু উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় কয়েক হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে। এত তল্লাশি চৌকি, কড়াকড়ির পরও প্রতিদিন নানা কৌশলে পাচারকারীদের সহায়তায় অসংখ্য রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষ পাচার হয়ে যাচ্ছে।

উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক জানান, আগস্টের পর থেকে আগমন অব্যাহত থাকা লাখ লাখ রোহিঙ্গার কারণে ইতোমধ্যে উখিয়া-টেকনাফ, কক্সবাজার তো বটেই পুরো দেশের মানুষ কঠিন স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। কারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে এইচআইভি/এইডস, ডিপথেরিয়া, হাম, যক্ষ্মা, গনোরিয়া, সিফিলিসসহ নানা রকম চর্মরোগের প্রকোপ বিরাজমান। এগুলোসহ আরো কিছু রোগ রয়েছে যেগুলো সংক্রামক ও ছোঁয়াচে। তাছাড়া কক্সবাজার পর্যটন এলাকা হিসেবে দেশি/বিদেশি প্রচুর লোকজনের সমাগম ঘটে থাকে। যেভাবে নিম্ন, মাঝারিসহ প্রায় সব ধরনের হোটেল মোটেল, গেস্ট হাউসে রোহিঙ্গা নারীদের অবাধ যৌনাচার চলছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে তা খুবই উদ্বেগজনক। কারণ এসব ছোঁয়াচে রোগ ব্যাধির পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারীদের মাঝে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মরণ ব্যাধি এইডস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। অশনাক্ত কি পরিমানের রোগী রয়েছে তা বলা কঠিন। তাই যে কোনো মূল্যে রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে যাতায়াত, অবস্থান আরো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনা সম্ভব না হলে সারাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি ক্রমাম্বয়ে অবনতির দিকে ধাবিত হবে বলে তারা জানান।

উখিয়া উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভায় গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন তল্লাশি চৌকিতে অনেক রোহিঙ্গাকে আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র নানা কৌশলে রোহিঙ্গাদের পাচার করে যাচ্ছে। অনেক রোহিঙ্গা নানাভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে, জাল পরিচয়পত্র ও অন্যান্য ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে পাচার হচ্ছে।

 তাছাড়া রোহিঙ্গারা নির্দিষ্ট কোনো ঘেরের মধ্যে না থাকায় পাহাড়, জঙ্গল বেয়ে পায়ে হেঁটে ভিন্ন কৌশলে ইচ্ছাকৃতভাবে পাচারের শিকার হচ্ছে। কিছু কিছু এনজিও, আইএনজিওর বিলাসবহুল গাড়িতে কালো গ্লাসে ঢাকা থাকায় ও সংঘবদ্ধ পাচারকারীদের নানা কৌশল, রোহিঙ্গা সর্দার বা মাঝিদের মধ্যস্থতায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাচার অব্যাহত থাকায় সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এনজিওগুলোর গাড়িতে কালো গ্লাস ব্যবহারে বিধি নিষেধ আরোপসহ তল্লাশির আওতায় আনা ও রোহিঙ্গা মাঝিদের মধ্যে ঘন ঘন রদবদলের সুপারিশ করা হয়।

চুরি হয়ে গেছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ভদকা

চুরি হয়ে গেছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ভদকা

বিশ্বের সবচেয়ে দামি ভদকা ছিল ডেনমার্কের একটি বারে। তবে সম্প্রতি সে ভদকা মূল্যবান বোতলসহ চুরি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বার কর্তৃপক্ষ।সবচেয়ে দামি হিসেবে দাবি করা সে ভদকার মাত্র এক বোতলেরই দাম ছিল ১৩ লাখ ডলার (১০ কোটি টাকারও বেশি)।ডেনমার্কের পুলিশ বিশ্বের সবচেয়ে দামি ভদকা চুরির এ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।
শুধু ভদকাই নয়, ভদকার বোতলটিও অত্যন্ত দামি। সে ভদকার বোতলটি সোনা ও রুপা দিয়ে তৈরি। তবে এর ছিপিটি হীরাসজ্জিত। তাই সব মিলিয়ে অত্যন্ত মূল্যবান সে ভদকা।ক্যাফে ৩৩ বারের মালিক ব্রায়ান আইসবার্গ জানিয়েছেন, বোতলটিতে পলিটিকাল থ্রিলার হাউস অব কার্ডস অনুসারে অলংকৃত।
বার থেকে সেই বোতলটি চুরি হয়ে যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি বার থেকে বোতলটি চুরি করেছে তার কাছে বারের একটি চাবি ছিল কি-না, তা নিশ্চিত নয় তারা।
বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে। 

দেশের ফুটবল নিয়ে সাধারণ জনগণের খুব একটা আগ্রহ না থাকলেও ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর খেলা নিয়মিত দেখেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থক অনেক। এদের মত না হলেও জার্মান লিগে একক আধিপত্য বিস্তার করা বায়ার্ন মিউনিখেরও রয়েছে বিশাল সমর্থকগোষ্ঠী।


মুলার, রোবেন, রিবেরি, লেভানডফস্কিদের অনেক ভক্ত সমর্থক রয়েছে বাংলাদেশেও। নতুন বছরে বাংলাদেশি সমর্থকদের বাংলা ভাষায় শুভেচ্ছা জানিয়েছে জার্মান ক্লাবটি।

এফসি বায়ার্ন মিউনিখের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বছরের শেষ দিনে একটি শুভেচ্ছা বার্তা পোস্ট করা হয়। যাতে লেখা হয়, ‘বায়ার্ন মিউনিখের প্রিয় বাংলাদেশি সমর্থকরা, ২০১৭ সালে আপনাদের অনন্য সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।’

পোস্টের সঙ্গে একটি ছবিও দেয়া হয়েছে যাতে বায়ার্ন মিউনিখের লোগোর পাশে বাংলাদেশের পতাকার ছবি আর তার নিচে বাংলায় লেখা ‘ধন্যবাদ।’ ওয়েবসাইট।


সাধারণ লোকজনের পেঁয়াজ 

আমি পেঁয়াজ বলছি...
সাধারণ লোকজনের ‘অসাধারণ ফুটানি’ এইবার শেষ। এইবার তারা বুঝতে পারছে আমি কী জিনিস। নুন আনতে পান্তা ফুরায়, অথচ সময় নাই অসময় নাই বাড়ির বউ-ঝিকে ঝাড়ি মারে—‘ডাইল বাগার দেও কী দিয়া শুনি? পেঁয়াজ কই? পেঁয়াজ কম থাকে ক্যান? আমি কি ফকির হয়া গেছি? যখন ডাইলে বাগার দিবা আধা মাইল দূর থাইক্যা জানি পেঁয়াজের বাসনা পাই। পেঁয়াজ দিবা গায়েরে হিসাব। দরকার পড়লে খালি পেঁয়াজের তরকারি রান্না করবা!’

কী মেজাজ ছিল! বাবারে! পয়সার গরমে তারা আমাদের ‘পেঁয়াজ’ বলেই মনে করত না। মসলা থেকে আমাদের টেনে সবজির কাতারে নামিয়ে এনেছিল প্রায়। 
মানির মান আল্লায় রাখে। এখন লাফালাফি বন্ধ। পয়সার গরম ঠান্ডা হয়ে গেছে। কেদ্দানি করে সকালে উঠে পান্তার সাথে আমাদের আঙুলের ডগায় দুমড়ায়ে মুচড়ায়ে কচ কচ করে খাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে। বাজারে গেলে এখন ভদ্দরলোকেরাও আমাদের গোনায় ধরে। ধরে, মানে ধরতে হয়। নইলে বাজারের অন্য আইটেমের টাইমলি সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যায়।

খুচরা বাজারের কেজিপ্রতি দাম হিসাবে আনলে আল্লাহর রহমতে আমাদের বংশমর্যাদা এখন শেখ, সৈয়দ, মুঘল, পাঠানেরও সাত মাকাম ওপরে। আর গভীরতা তো সাগরের কাছাকাছি। পর্তুগিজ অভিযাত্রী ফার্দিনান্দ ম্যাজেলান নাকি প্রশান্ত মহাসাগরের তল মাপতে দড়ির মাথায় কামানের গোলা বেঁধে ডুবিয়ে দেখছিলেন। গোলা ডুবতে থাকল। ম্যাজেলান দড়ি ছাড়তে থাকলেন। জাহাজের দড়ির গোডাউন খালি হয়ে গেল। কিন্তু তল পাওয়া গেল না।

আমার তল পাওয়ার চেষ্টায় এ পর্যন্ত বহু বেকুব একের পর এক আমার খোসা ছাড়িয়েছে। ঝাঁজের চোটে পোয়া খানিক চোখের পানি ঝরিয়েছে। কিন্তু আমি আপস করি নাই। নিজে ‘নাই’ হয়ে গেছি, কিন্তু তল পেতে দেইনি। আর এখন তো ‘ফকির‍্যা পার্টি’ আমাদের খোসা ছাড়ানোর সাহসই পাবে না।

বাঙালির ভাতের অভাব এখন আগের মতো নাই। কিন্তু পেঁয়াজের অভাব কী পরিমাণ বাড়ছে তা তারা ‘বোন টু বোন’, আই মিন, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। এখন আর বাঙালি হা-ভাতে নয়। বাঙালি এখন হা-পেঁয়াজে।

বর্তমান বাজারে আমাদের পেঁয়াজ সম্প্রদায়ের মধ্যে দুটো গোষ্ঠী আছে। একটা দেশি। আরেকটা ইন্ডিয়ান।

স্থানীয় গুন্ডাপাণ্ডার চোটপাট বেশি থাকে। লোকাল হওয়ার সুবাদে এলাকায় তারা বহিরাগত ভাড়াটে বাসিন্দাদের চেয়ে দাম পায় বেশি। বঙ্গ সংস্কৃতিতে যার চোটপাট, মানে হ্যাডম, মানে ঝাঁজ যত বেশি, তার দাম তত। তাকে তত বেশি মানুষ ডরায়। দেশি পেঁয়াজ যেহেতু লোকাল, সেহেতু স্থানীয় প্রভাবের কারণে তার ঝাঁজ বেশি। তার চোটপাট বেশি। তাই আইনত তার দাম বেশি। জাতির বিবেকের সামনে তারকাচিহ্নিত প্রশ্ন উঠতে পারে—দাম বেশি মানে কত বেশি?

ধরুন আপনি ছা-পোষা চাকরিজীবী। আপনার ঝাঁজ নাই। হ্যাডম নাই। চোটপাট নাই। উপরি-টুপরি নাই। ‘আউট ইনকাম’ নাই। মাসে এক দিন, মানে বেতন পাওয়ার দিন বা তার পরের দিন বউ-বাচ্চা নিয়ে অ্যামিউজমেন্ট পার্কেটার্কে যান; কোনো কোনো মাসে সাহস করে রুফটপ রেস্টুরেন্টে তাদের নিয়ে খাওয়াদাওয়া করেন। মাসের বাকি দিনগুলো টিফিন ক্যারিয়ার হাতে বাসে ঠাসাঠাসি করে অফিসে যান। একই তরিকায় বাসায় ফেরেন।

আপনার মতো এই লেভেলের ঝাঁজওয়ালা লোক যদি দেশি পেঁয়াজের লোকাল ঝাঁজ হিসাব ছাড়াই টেস্ট করতে যান, তাহলে তো অঙ্ক মিলবে না। আর অঙ্ক না মিললে টের পাবেন ‘হাউ মেনি প্যাডি মেক হাউ মেনি রাইস!’

এক শ টাকার ওপরে পেঁয়াজের কেজি শুনলে অ্যাবাউট টার্ন করা ছাড়া আর কোনো পথ আপনার সামনে থাকবে? ফলে আপনি আমাদের বিকল্প গোষ্ঠীকে খুঁজবেন।

এই ‘বিকল্প’ গোষ্ঠী হলো ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ। তারা ট্রাকে চেপে, কাস্টমসে নানা জায়গায় সেলামি (আসলে আক্কেলসেলামি) দিয়ে বর্ডার পার হয়। তারপর আবার ঘাটে ঘাটে সেলামি দিতে দিতে বাজারে আসে। তাদের দেখতে যতই নাদুশনুদুশ মনে হোক, আসলে তারা অত কাজের না। এমনিতেই বহিরাগত বলে ঝাঁজ মানে চোটপাট কম, তারওপর দীর্ঘ ভ্রমণজনিত হেনস্তা। ফলে তার দাম কম হওয়াটাই স্বাভাবিক। এটা আমরা নিখিল বঙ্গ পেঁয়াজ সম্প্রদায় মেনেও নিয়েছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি আমাদের এই গোষ্ঠীও চাটুজ্যে-বাড়ুজ্যের মানসম্মান পেয়েছে। যে পেঁয়াজের দাম ছিল ১৫-২০ টাকা, মাস ছয়েকের ব্যবধানে তার দাম এক শ টাকা ছুঁইছুঁই। মধ্যবিত্তের কপাল ভালো, এখনো রোজার মাস আসেনি। আসলে তারাও বুঝত, পেঁয়াজে ছুলে কত ঘা!

আমি একা না, উইকিপিডিয়াও বলেছে, মানবসভ্যতার ইতিহাসের আদি যুগ থেকেই আমাদের ব্যবহার শুরু। পৃথিবীর প্রায় সবখানে, সব সমাজের রান্নায় আমরা আছি। আমাদের কোষের আকার বড় বলে বিজ্ঞান শিক্ষায় মাইক্রোস্কোপের ব্যবহার ও কোষের গড়ন শেখাতে আমাদের কন্ট্রিবিউশন আছে। অথচ কেউ এত দিন আমাদের মূল্যায়ন করেনি। শেষ পর্যন্ত আমদানিকারক, আড়তদার, মজুতদার, খুচরা ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সরকারের বড় বড় মানি লোকেরা যৌথ প্রযোজনায় আমাদের মান বাড়িয়েছেন। আমাদের জাতে তুলেছেন।

সংসারে আমাদের সীমাহীন গুরুত্বের বিষয়টি বুঝতে পেরে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রেও আমাদের প্রসঙ্গ আনা হচ্ছে। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক প্রশ্নপত্রে ট্রান্সলেশন করতে বলা হয়েছে: ‘আজকাল হাতিরপুল কাঁচাবাজারে ১২০ টাকা সের দেশি পেঁয়াজে একটা বড় পরিবার ভালোরূপে চলে যায়। 
সমাজে আমাদের এই প্রতিষ্ঠায় শুনছি সরকার বাহাদুরের কিছু লোকের অবদান আছে। এতে আমরা যারপরনাই বিগলিত হয়েছি। এটুকু সহযোগিতা না পেলে তাদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা হারাতাম। আমাদের আজকের মানসম্মানটুকু না থাকলে তো আর ‘নালতের মিত্তির বলিয়া সমাজে মুখ বাহির করিবার জো-টি থাকিত না।’ এই মান্যগণ্য স্যারদের প্রতি পেঁয়াজ সম্প্রদায়ের ঝাঁজালো সংগ্রামী শুভেচ্ছা থাকল।



ভুলে সেমিতে খেলেছে বাংলাদেশ!


আসর শেষে হয়েছে গত জুনে। প্রায় ছয় মাস পর বিষ্ফরোক এক তথ্য দিল ক্রিকেটের নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির ভুল ব্যবহারের কারণেই নাকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ! দাবী ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির আবিষ্কারক ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ও টনি লুইসের। ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক কলামে এমনটাই উল্লেখ করেন তারা।
মনে করিয়ে দেওয়া ভালো, সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (২০১৭ সাল) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ১৮২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। রান তাড়া করতে নেমে ১৬ ওভারে এক উইকেটে ৮৩ রান করে অস্ট্রেলিয়া। এরপরে একটানা বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপরে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় মাশরাফি-সাকিবরা। আর এই ঘটনার অনেক মাস পরে একে ‘হিসেবের ভুল’ বলছেন স্বয়ং ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ও টনি লুইস, ‘বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটায় হিসেব অনুযায়ী জয়ী হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সে ক্ষেত্রে সেমিফাইনালেও বাংলাদেশ নয়, অস্ট্রেলিয়ার উঠে যাওয়ার কথা। আসরে বাংলাদেশ সেমি ফাইনালে যাওয়াটা ছিল হিসেবের ভুল।’
অবশ্য এই ব্যাপারে নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করেন তারা। সর্বোচ্চ ৩৪ ওভার থেকে সর্বনিম্ন ২২ ওভার পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্যের হিসেব দেন তারা। যেখানে দেখা যায় ম্যাচটি ২২ ওভার হলে লক্ষ্য দাড়ায় ৭৯ রান, যা তখনই পার করে ফেলেছিল অজিরা।
উল্লেখ্য, ওয়ানডে ক্রিকেটের বৃষ্টির এই আইনের ক্ষেত্রে কোনও ফলাফল আনতে হলে দুই পক্ষকে কমপক্ষে বিশ ওভার করে ব্যাট চালাতে হবে। অস্ট্রেলিয়া ১৬ ওভার ব্যাট করলেও ডাকওয়ার্থ ও লুইস দাবি করেন, সেই ম্যাচে নীতিমালা অনুযায়ীই অস্ট্রেলিয়াই জয়ী!
ডাকওয়ার্থ ও লুইস লিখেছেন, ‘বৃষ্টির জন্য ঘন ঘন পরিবর্তিত হচ্ছিল লক্ষ্যের, সেটা প্রতি ওভারেই। ম্যাচটা ৩০ ওভারে নেমে আসলে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য হতো ১২০। আর সেটা ২২ ওভারে নেমে আসলে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য হতো ৭৯, যা তখনই অস্ট্রেলিয়া পার করে ফেলেছিল। আর ম্যাচটা ২২ ওভারে নেমে আসার যে সময় সেটা কাট অফের আগেই ছিল। অর্থাৎ রাত ৯টা ৫১ মিনিটের সময় দুই আম্পায়ার যদি বৃষ্টির খোঁজ না নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পরিবর্তিত লক্ষ্যের হিসেব নিতেন, তাহলেই অস্ট্রেলিয়া বিজয়ী হয়ে যেত।’
সেই ম্যাচে রাত ৮টার সময় খেলা থামিয়ে দিয়ে রাত সাড়ে ৮টায় সেটা পুনরায় শুরু করার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা সম্ভব হয়নি। সাড়ে ৮ টায় খেলা হলে অজিদের ইনিংস থেকে সাত ওভার কেটে রাখা হতো শুরুতেই (নতুন লক্ষ্য ১৬৬)! আর বৃষ্টির জন্য এক ওভার করে কমতে কমতে লক্ষ্য কমে যেতো অজিদের। সেক্ষেত্রে কাট অফ সময় ৯টা ৫৯ মিনিটের আগে খেলা শুরু হলেই অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্যটা কমে আসতো অনেক।


২০১৭ সালে যেসব ‘মিথ্যা’কংগ্রেস প্রতিনিধিদের কাছে বলেছেন:: ট্রাম্প!




মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব কারণে বিশ্বব্যাপী কুখ্যাত হয়ে উঠেছেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অনর্গল মিথ্যা বলে যাওয়া। এনবিসি নিউজ ২০১৭ সালে ট্রাম্পের মুখ নিসৃত প্রধান কয়েকটি মিথ্যা কথার তালিকা প্রকাশ করেছে।

চ্যানেলটি বলেছে, ২০১৭ সালে ট্রাম্প আমেরিকার জনগণকে বহু মিথ্যা ও অবিশ্বাস্য কল্পকাহিনী শুনিয়েছেন। তিনি বছর শুরুই করেছেন মিথ্যা কথা দিয়ে। তিনি তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে নিয়ে প্রথম মিথ্যা কথা বলেছেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যত মানুষ উপস্থিত ছিল এর আগের কোনো প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে তত মানুষ উপস্থিত হয়নি।

এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ট্রাম্প দ্বিতীয় বড় মিথ্যাটি বলেছেন কংগ্রেস প্রতিনিধিদের কাছে। তিনি দাবি করেছেন, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিন্টন লাখ লাখ জাল ভোট পেয়েছেন। অথচ এ ধরনের কোনো প্রমাণ আমেরিকার নির্বাচনি কর্তৃপক্ষ পায়নি।

এনবিসি নিউজ আরো জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোর পক্ষ থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়ার সমালোচনা করতে গিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বলেন, আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখতে হবে এবং আজ রাতে জার্মানি ও সুইডেনে যা ঘটেছে তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পরদিন সুইডেনের একটি পত্রিকা খবর দেয়, ওই রাতে দেশটিতে বিশেষ কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

ট্রাম্পের মিথ্যার তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে এনবিসি নিউজ আরো জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, ট্রাম্প টাওয়ারে তার টেলিফোনালাপে আড়ি পেতেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু তার এই দাবি ছিল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং এ ধরনের কোনো প্রমাণ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পায়নি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে তার গোপন সম্পর্কের বিষয়টিকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে উল্লেখ করেছেন অথচ নিরাপত্তা বাহিনীর তদন্তে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ সত্য প্রমাণিত হয়েছে।

এনবিসি নিউজের মতে, ট্রাম্প দাবি করেছেন, ট্যাক্স সংস্কার পরিকল্পনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কিন্তু বাস্তবতা এর সম্পূর্ণ উল্টো।

নববর্ষের বিরানী খেয়ে কক্সবাজারে অর্ধ শতাধিক ছাত্র অসুস্থ

নববর্ষের বিরানী খেয়ে কক্সবাজারে অর্ধ শতাধিক ছাত্র অসুস্থ


 কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও হোস্টেলে অবস্থানরত অর্ধ শতাধিক ছাত্র বিরানী খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।

ঈদগাঁও বাজারের ডিসি সড়কের পূর্বানী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের বিরানীতে বিষক্রিয়ার কারণে প্রশাসন হোটেলটি সিলগালা করে দিয়েছে।
জানা গেছে, ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে বিদ্যালয়ের হোস্টেলের ছাত্ররা ক্ষুদ্র আয়োজন করে। এ আয়োজনে প্রত্যেক ছাত্রদের জন্য একটি করে সর্বমোট ৬৫টি বিরানীর প্যাকেট উক্ত হোটেলে অর্ডার দেয়া হয়। এদিন তারা আনন্দফূর্তি করে। পরদিন সবাই একেক করে অসুস্থতা বোধ করলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। কিছুক্ষণ পরই অর্ধশতাধিক ছাত্রকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ডায়াবেটিস কেয়ার অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনাটি চাউর হলে হোটেল মালিক বাবু উত্তম রায় পূলক ধামাচাপা দিতে মোটা অংক নিয়ে মাঠে নামেন বলে অভিযোগ উঠে। খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন দ্রুত ওই হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি অসুস্থ ছাত্রদের বক্তব্য শুনে অভিযুক্ত হোটেলে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেন।

ইউএনও জানান, ঘটনাটি তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হবে।
অসুস্থ ছাত্র মুবিন, মোবারক, আয়মন, ফয়সালসহ অনেকে অভিযোগ করেন, 'দীর্ঘদিন ধরে ওই হোটেল থেকে আমরা খাওয়া দাওয়া করে আসছি। সে সুবাদে ৬৫টি বিরানীর প্যাকেটের অর্ডার দেই। সরলতার সুযোগে হোটেল কর্তৃপক্ষ বাসী বিরানী সরবরাহ করে। এগুলো খেয়ে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ি। ' এদিকে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর পুরো এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা খুরশিদুল জান্নাত জানান, বিষয়টি অনাকাঙ্খিত, তারপরও আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। হোটেল মালিক উত্তম রায় পুলকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুন দিয়ে ৮ জনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম জয়নব বেগম এ আদেশ দেন।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা দায়রা আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান লিটন।

এদিকে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা।

২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিয়ার বাজার এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ইউনিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রল বোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৮ জন মারা যান। আহত হন আরো অন্তত ২০ যাত্রী।

এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামী করে ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০ জনের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করে পুলিশ।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলটির শীর্ষস্থানীয় ছয় নেতাকে বিস্ফোরক ও হত্যা আইনে করা এ মামলায়  হুকুমের আসামী করা হয়।

মামলার ৭৮ আসামীর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। আর পাঁচজনকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

কুমিল্লা আদালতে খালেদা জিয়াসহ আরো ৬৯ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফিরোজ আহমেদ অভিযোগপত্র দেন।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে খালেদা জিয়াসহ বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতে ২০ জন আসামী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ৯ অক্টোবর একই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে কুমিল্লার একটি বিচারিক আদালত।


গত বছরের ৬ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইব্রাহীম।


‘পদ্মাবতী’ থেকে ছবির নাম ‘পদ্মাবত’

অনলাইন ডেস্ক : এবার 'পদ্মাবতী' বিতর্কের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। কিছু দৃশ্য বাদ দিলে এবং ছবির নাম বদলালে ইউ/এ সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হবে সঞ্জয় লীলা বানসালীর এই ছবিকে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ড সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। গত ২৮ ডিসেম্বর একটি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেন্সর বোর্ড বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে। জানা গেছে, এই ছবির কিছু অংশের পরিবর্তন করে তবেই মুক্তি দেয়া যাবে। পরিবর্তনগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ছবির নাম। ‘পদ্মাবতী’ থেকে ছবির নাম ‘পদ্মাবত’ করার সুপারিশ করেছে সেন্সর বোর্ড। মালিক মহম্মদ জয়শীর বিখ্যাত কবিতা ‘পদ্মাবত’ যার ওপর নির্ভর করে ছবিটি তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয় পরিবর্তন 'ঘুমর' গানটিতে করার নির্দেশ দিয়েছে সিবিএফসি। ওই গানে যে ভাবে রানি পদ্মাবতীর নাচ দেখানো হয়েছে তা পরিবর্তন করতে হবে। এর পরই কেবল মুক্তি পাবে বহুল আলোচিত এই ছবিটি। এতে অভিনয় করেছেন দিপীকা পাড়ুকোন, রণবীর সিং এবং শহীদ কাপুর।  সূত্র: আনন্দবাজা

উপজেলায় ডাক্তার না থাকলে চাকরিচ্যুতি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে ডাক্তারকেই আমরা উপজেলায় নিয়োগ দিচ্ছি, যেই আমরা তাদের উপজেলায় পাঠাচ্ছি, তারাই সেখানে না থেকে যে কোনোভাবে কায়দা করে ঢাকায় এসে বসে থাকে। তাহলে তাদের সরকারি চাকরির দরকার কি? জেলা বা উপজেলা হাসপাতালে নিয়োগ পেয়ে যেসব ডাক্তার সেখানে যান না, তাদেরকে আর সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হবে।

বৃহস্পতিবার গণভবনে বিভিন্ন হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ডাক্তাররা নিয়োগ পাওয়ার পর মফস্বলে পোস্টিং হলেই ঢাকায় চলে আসেন। এখন অনেক প্রাইভেট ক্লিনিক আছে, তাতে কোথাও যদি তারা চাকরি পেয়ে যায়, তাহলে খুব ভালো কথা। এভাবে চলে আসার ইচ্ছা থাকলে তাদের চাকরি ছেড়ে ঢাকার প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরি নেয়ায় ভাল। এমন হলে ট্রেইনিং দিয়ে আমরা নতুন নিয়োগ দেবো।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, গত এক দশকে দেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি হলেও চিকিৎসকদের মফস্বল শহর বা উপজেলা এবং গ্রাম এলাকায় না থাকার প্রবণতা রোধ করা যায়নি। বিশেষ করে দূর গ্রামের হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসকশূন্য অবস্থায় পড়ে থাকে। এমন অভিযোগও আছে, বেতন হওয়ার আগে এলাকায় গিয়ে উপস্থিতি খাতায় সই করে আসেন তারা।

শেখ হাসিনা বলেন, কারণ প্রতিনিয়ত আমাদের অনেক শিক্ষার্থী এখন পড়াশোনা করছেন। ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখে চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে আমার ওখানে দেবো, কিছু ট্রেইনিং করবে, কিছু সার্ভিস দেবে, আরেক জায়গায় যাবে, এটা কোনো বিষয়ই না, এটা নিয়ে মনে হয় এতটা মাথা ঘামানোর প্রয়োজনও নাই।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য ট্রাস্ট গঠন করা হবে। তা হলে কেউ ইচ্ছে করলেই এটি আর বন্ধ করতে পারবে না। এতে করে ভবিষ্যতেও জনগণ উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।

এই প্রশিক্ষণের জন্য একটি তহবিল করার কথাও জানানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নইলে অন্য কেউ সরকারে আসলে এই উদ্যোগ তারা বন্ধ করে দেবে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চালু হওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়ার উদারহণ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এখানে চিকিৎসা পেলে সবাই নৌকায় ভোট দেবে, আমাদেরকে কেউ ভোট দেবে না- এই কথাটা বলে (কমিউনিটি ক্লিনিক) বন্ধ করে দিয়েছিল। এ রকম আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেউ, এটা চিন্তাও করা যায় না। কেবল এই একটা ব্যাপারে না, আরো বহু ব্যাপারে এই রকম আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বিএনপি-জামায়াত নিয়ে গেছে যার জন্য আমাদের অনেক খেসারতও দিতে হয়েছে।